
ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের নিজেদের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেছে। আগের সব ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারদের মতো একই ধারায় এগুচ্ছে তারা।
সন্ত্রাস করে ক্ষমতা দখল করো, বিরোধী সবাইকে হত্যা করো - তারপর একটা রাজনৈতিক দল করো - আর শেষে একটা প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখো। জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ একই কাজ করেছে - বিএনপি আর জাতীয় পার্টি করেছে তারপর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছে। একইভাবে এই সন্ত্রাসীরাও NCP - জাতীয় নাগরিক পার্টি করেছে, যাদের পরবর্তী টার্গেট একটা কারচুপির নির্বাচন করা।
তারা নাহিদকে 'ইমাম' উপাধি দিয়েছে!
আমরা বারবার বলে আসছি, এরা সব মৌলবাদী গোষ্ঠী, যার বড় প্রমাণ এই টাইটেল, যা ব্যবহার করে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীরা। এই #সন্ত্রাসীরা সরাসরি পুলিশ আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে - শত শত মানুষকে হত্যা করেছে।
যেই বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, যেখানে তাঁর পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে, সেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি তারা বুল্ডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যে তাদের পেছনের শক্তিগুলো চায়নি, এটা তারই প্রমাণ। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে মব পাঠিয়ে হামলা করছে এরাই।
কিছু প্রশ্ন
- জাতির পিতার বাড়ি ধ্বংস করার পর তারা কোন মুখে স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে?
- শত শত পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের হত্যা করার পর তারা কিভাবে নিজেদেরকে প্রতিহিংসাপরায়ণ নয় এই দাবি করে?
- সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করার পর তারা কিভাবে নিজেদেরকে বৈষম্যহীন দাবি করে?
মনে রাখবেন,আগের সব #ফ্যাসিস্টদের মতই, এরা জনগণের কোন ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতা দখল করে আছে। এখনতো বলাই যায় এই দখলদার সরকার একটি রাজনৈতিক সরকার, যেই সরকার কোন নির্বাচনের মাধ্যমে আসেনি। এই সরকার অবৈধ ও স্বৈরাচারের সরকার, আর স্বৈরাচার কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করেনি, করবেও না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


