শেষ পর্যন্ত ড.ইউন তার আন্তর্জাতিক সক্ষমতা প্রদর্শন করে দেখালেন! উনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কখনোই কোন কাজ করেননি ।আমাদের কোনো দুর্যোগে কখনো পাশে দাঁড়িয়েছেন তার কোনো দৃষ্টান্ত নেই । যে ক্ষুদ্র ঋণের উদাহরণ টানা হয় ।আমি মনে করি তা পুরোপুরি তার ব্যাবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি । তিনি তার মাষ্টার’দের দ্বার পরিচালিত হয়ে তাদের স্বার্থ রক্ষায় শতভাগ কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন ।এই দেশের সরকারি করের টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে ।তার প্রভূদের জন্য তিনি একজন সম্মানিত ব্যবসায়ী ।
দেশের জন্য বিপর্যয় এখন শুধু সময়ের ব্যাপার । মানবিক সহায়তার জন্য যে কড়িডোর তিনি দিলেন । তার এখতিয়ার কি আছে বর্তমান অবৈধ দখলদার লুটেরাদের ⁉️তারা কি বাংলাদেশের নাগরিক দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি? তাদেরকে কি রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ⁉️
মানবিক সহায়তার কড়িডোর কি কাজে ব্যবহার হয় তার দৃষ্টান্ত অসংখ্য । এই কড়িডোর দিয়ে মাদক থেকে শুরু করে ভয়ংকর অপরাধিদের অবাধ যাতায়াতের ব্যবস্থা করা । এই কড়িডোর দিয়েই বিভিন্ন গোষ্ঠীর সৈন্যদের সংযোগ স্থাপন করা । অস্ত্র গোলা বারুদ প্রেরণ করা হয় ।মূলত এই কড়িডোর হবে সকল পক্ষের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু! মায়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য এই কড়িডোর। পরাশক্তি এভাবেই তাদের সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে বিগত সকল কনফ্লিক্ট জোনে ।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ঘটেছে ড.ইউনূসের তৎপরতায়। স্টার্লিংকে বাংলাদেশের জন্য নয় বরং মায়ানমারের সরকার বিরোধীদের জন্য আনা হয়েছে। এই স্টার্লিংকের মাধ্যমেই বাংলাদেশের সিম ব্যবহার করার সুযোগ করে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য!অর্থাৎ আমরা সাইবার হামলার মুখে পড়ে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে সকল পরাশক্তি সংযুক্ত থাকবে তাদের হীন স্বার্থ বাস্তবায়নের । বাংলাদেশ হবে ইউরোপের এবং আমেরিকার করায়ত্ব। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ব্যাবসা করার অনুমতি দেওয়ায় দুই শত বছরের ইতিহাস আমাদের জানা ।এদের সাথে তো সরাসরি কথা বলে অনুমতি দেওয়া হোচ্ছে । কাজেই এটা হবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । এবং এটাই হোচ্ছে এদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ।
৭১-এর পরাজয় মেনে নেয়নি তারা । যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই প্রতিশোধ নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে । ১৯৭৫/২০০৪/এবং ২০২৪ তার নগ্ন ছবি ।
বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের ঐক্য এখন খুবই জরুরী । ভাবুন ইতিহাসের কোথায় আপনি আছেন! আপনার অবস্থান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হয়ে দাঁড়াবে ।বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই হবে আপনার দেশপ্রেমের প্রমাণ ।
ধন্যবাদ,
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু ॥
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:৩১