
যুদ্ধাক্রান্ত একাত্তর, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ । ভারতের দ্যা স্টেটসম্যান পত্রিকার সাংবাদিক, পরবর্তীতে সম্পাদক মানস ঘোষ একজন মুক্তিযোদ্ধার একটি ছবি প্রকাশ করলেন তাঁর পত্রিকায় । ছবিটি প্রকাশিত হবার পর ভারত ও বাংলাদেশের জনগণ জানল ছবিটি একজন নারীর ।
যিনি পুরুষের বেশে পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ রেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে রুখে দাঁড়িয়েছে । সশস্ত্র যুদ্ধ করেছে পাবনার বিভিন্ন রণাঙ্গনে । এই মহীয়সী নারী একাত্তরের প্রীতিলতা শিরিন বানু মিতিল ।
অকুতোভয় এই নারী পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে বাঙলায় স্নাতক পড়াকালীন সময়ে সমাজ, প্রথা ও বাধা ভেঙে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মাত্র ২০ বছর বয়সে পুরুষের পোশাক পরে অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে নেমেছিলেন ।
রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আলোয় উদ্ভাসিত মিতিলের পূর্ববর্তী দুই প্রজন্ম । মাতামহ খানবাহাদুর ওয়াসিম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন পাবনার প্রথিতযশা আইনজীবী, সমাজসেবী এবং পাবনা পৌরসভার প্রথম সভাপতি ও জেলা বোর্ডের আজীবন সভাপতি ।
শিরিন বানু মিতিলের মা সেলিনা বানু ও বাবা খন্দকার শাহজাহান মুহম্মদ ছাত্রজীবন থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত কম্যুনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন । মা ছিলেন পাবনা জিলার ন্যাপ সভানেত্রী এবং ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সেলিনা বানু এমএলএ নির্বাচিত হয়েছিলেন ।
সেলিনা বানুর এক ভাইও সেই সময়ে মহাত্মা গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন ।
আজ একাত্তরের প্রীতিলতা খ্যাত শিরিন বানু মিতিলের জন্মদিন ।।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



