
খালেদ মোশাররফের মৃত্যু, চার নেতার হত্যা ও সেনাবাহিনীর বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর খন্দকার মোশতাককে ক্ষমতাচ্যুত করে খালেদ মোশাররফ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেন। উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের সরিয়ে সেনা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। কিন্তু গ্রেপ্তার না করে তিনি তাদের বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন— সংঘর্ষ এড়ানোর আশায়। ফলেই হত্যাকারীরা পালানোর সুযোগ পায়।
এর মধ্যেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে খুন হন জাতীয় চার নেতা— তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও কামরুজ্জামান। মোশতাকপন্থী সেনা সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়, যেন আওয়ামী নেতৃত্ব সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়।
৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানে খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা ও লে. কর্নেল হায়দার নিহত হন।
এই হত্যার পরই জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ফিরে আসেন এবং শুরু হয় সামরিক শাসনের নতুন অধ্যায়।
দেশ তখন ডুবে যায় সেনা ষড়যন্ত্র, হত্যা ও বিশ্বাসঘাতকতার অন্ধকারে।
প্রশ্ন আজও রয়ে গেছে—
এই দেশের সেনাবাহিনীর ওপর আদৌ কি বিশ্বাস করা যায়?
© Deepanwita Roy Martin
#বঙ্গকথা
আমাদের কন্ঠে আপনার কথা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




