
বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারক নিয়োগ করা হয়েছিল তিনজন। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি এস এ রহমানকে চেয়ারম্যান করে দুইজন পূর্ব বাংলার বিচারপতির সমন্বয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করা যাবে না। বাঙালিরা বুঝে গিয়েছিলো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা আইউব খানের বিশেষ চাল। যে কোন মূল্যে শেখ মুজিবের ফাঁসি দিয়া দিবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পুষ্টি বিজ্ঞান ভবন ছিল বিচার পতির বাসভবন। একদিন জনতা দিনে দুপুরে গিয়ে পুরো বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বিচারপতি এস এ রহমান এক মুহূর্ত দেরি না করে তার ঘরোয়া পোশাক পরা অবস্থায় পিছনের দরজা দিয়া সোজা তৎকালীন তেজগাঁও বিমান বন্দরে চলে যায়। সেখান থেকে পাকিস্তান।
বিচারপতির গদিতো গেছেই, আইউব খানের টাও গেছে, উল্টো জীবন নিয়া টানাটানি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাও ডিসমিস। বাঙালরে হাইকোর্ট দেখাইতে গিয়া অবাঙালি পাঞ্জাবিদের লাল সুতা বের হয়ে গেছে।
সেদিনের সেই বিচারপতি সহ পাইক্কাদের সহযোগী রাজাকার, আল বদর, আল শামসের উত্তরসূরীরা আজ আবার বঙ্গবন্ধুর মেয়ের উপর বাপের উপরের প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে। বিচারপতি মোঃ গোলাম মর্তুজা মজুমদার, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি তো বাংলায় আইসা ঘরোয়া কাপড় নিয়ে কোন রকমে জান নিয়া পালাইতে পারলেও তুই কই পালাবি ? মনে রাখিস, এই রকম কিছু ঘটলে লুঙ্গি নিয়াও পালাইতে পারবে না।
বিচারপতি : মোঃ গোলাম মর্তুজা মজুমদার।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


