সূত্রঃ যুগান্তর
ছাত্রলীগ-যুবলীগের অপকর্ম এত নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে যে, নতুন করে কিছু বলার থাকে না। আওয়ামী লীগের এই দুই সহযোগী সংগঠন শুধু টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি বা দখলদারিত্বের সঙ্গেই যুক্ত নয়, আধিপত্য বিস্তারে এরা ঝাঁপিয়ে পড়ছে নিজেরাই নিজেদের ওপর। জামায়াত আহূত বৃহস্পতিবারের হরতালে রাজধানীর রামপুরায় হরতালবিরোধী মিছিলের কর্তৃত্ব নিয়ে এই দুই ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, গোলাগুলিও করেছে একে অন্যের প্রতি। অনতিদূরেই ছিল পুলিশ, কিন্তু কে কাকে পাত্তা দেয়? গোলাগুলিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ওদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে ঘটেছে আরেক কাণ্ড। মুখে গামছা ও রুমাল পেঁচিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা করেছে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। ঘটনায় আহত হয়েছে তিনজন। হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের এক কক্ষ থেকে মূল্যবান সামগ্রী ও টাকাও লুট করে নিয়ে যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মাঝে মাঝেই অন্তর্কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে এবং কখনও কখনও সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রায় নিষ্ক্রিয় থাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা এখন নিজেরাই নিজেদের শত্রু। বলাবাহুল্য, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই ঘটছে সংঘর্ষ। আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি, যুবলীগ ও ছাত্রলীগে আদর্শ বলে এখন অবশিষ্ট কিছুই নেই, যা আছে তা হল টাকা কামাইয়ের ধান্দা। ভাবতে অবাক লাগে, ছাত্রলীগের নিুস্তরের অনেক কর্মীও কোটি না হলেও লাখ লাখ টাকার মালিক। উপরের স্তরের নেতারা তো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে চলাফেরা করে। প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক, এই টাকা তারা কোথায় পায়? উত্তরও আছে- টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি অথবা দখলবাজিই হচ্ছে এ টাকার উৎস।