somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

:D ক্রিকেট রস =p~

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কদিন আগেও ক্রিকেটের অভিজাত আসর ছাই সিরিজে (অ্যাশেজ) একজন বিশ্ববিখ্যাত ক্রিকেটারের পুংজননেন্দ্রিয়ে বল লেগে অনেককেই হাসিয়েছিল । সেকথা নিয়ে আমি আজকে বলগাইতে আসি নি ।

♦ সে শ-খানেক বছরেরও আগের কথা । যেসময়ের কথা বলছি, বৃষ্টি হলে পিচ ঢেকে দেবার নিয়মটাই ছিল না । মেঘ বাদলের দিনে পিচ খোলা আকাশের নিচেই থাকতো আর খেলোয়াড়রা ড্রেসিংরুমে (না বলে সংরক্ষিত রুম বলাই শ্রেয়), আম-পিঁপড়েরা (আম্পায়াররা) পাশের বরাদ্ধ কক্ষে, দর্শকরা আড়ালে আবডালে যে যেখানে চান্স পেলেন দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থাকতেন ।

তো কথা বলছি ইংল্যান্ডের । এমনই এক বৃষ্টির ঝাঁপটা শেষ হওয়ার পর কর্দমাক্ত পিচে ব্যাট করতে নামলেন মিডলসেক্স অধিনায়ক ওয়াল্টার রবিন্স এবং প্যাটসি হেনড্রেন । তাদের প্রতিপক্ষের নাম ছিল ডার্বিশায়ার ।

একটা বলে তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে ক্রিজ থেকে অনেকটাই বেরিয়ে ব্যাট করতে এগিয়ে আসলেন হাবাগোবা টাইপ রবিন্স। ব্যাটেবলে হলো না । স্বাভাবিকভাবেই একটু দুরে থাকা উইকেটকিপার বলটা নিজ হাতে লুফে নিলেন । উইকেটের সাথে নিজের দুরত্ব দেখে নিশ্চিত হলেন স্ট্যাম্পিং । তাই উইকেটের আশা ছেড়েই হাঁটা দিলেন। এমন সময় তারই সহব্যাটসম্যান হেনড্রেন বললেন, “আরে বোকা। ক্রিজে ফেরত যাও। স্ট্যাম্পিং করতে পারেনি।”

বেচারা রবিন্স । সতীর্থের কথা শুনে কিছুমাত্র না ভেবে সেই কাদাময় পিচেই দিলেন এক লাফ । দর্শকসারি থেকে হাসির রৈ পড়ে গেলো । ব্যপার কি ! রবিন্স ঘুরে দেখলেন অনেক আগেই উইকেট ভেঙ্গে দিয়েছে উইকেটকিপার। মাঝখান থেকে হেনড্রেন একটু মজা করে নিলেন । কাদায় পড়ে সারা মুখে ও গায়ে কাঁদা লেগে ভূত হয়ে রাগে গজরাতে গজরাতে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন রবিন্স।



♦ ১৯৪৫ সালের ভারত- ইংল্যান্ড টেস্ট । ‘কোপা শামসু’ স্টাইলে ব্যাট করছিলেন ভারতের সাবেক ওপেনার বিজয় মার্চেন্ট । ভারত বরাবরই ব্যাটংয়ে ভালো । তো ইংল্যান্ডের বোলাররা তাঁর সামনে পাত্তাই পাচ্ছিলো না। এমনভাবে খেলছিলেন যেন আউটই হবেন না সেদিন । বেচারা আম্পায়াররাও অনেকটা বিরক্ত ।

খেলার এক পর্যায়ে লেগস্ট্যাম্পের বাইরে একটা বলকে গ্লান্স করলেন তিনি। বল তীরবেগে ছুটলো বাউন্ডারির দিকে। স্কয়ার লেগে ফিল্ডিং করছিলেন লন্ডনের ডেনিস কম্পটন। বলের পিছনে ছুটতে ছুটতে যখন বল পর্যন্ত পৌঁছালেন ততক্ষণে মার্চেন্ট ২ রান নিয়ে তৃতীয় রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করেছেন। বেটার সাহস কত !! কম্পটন দেখলেন বল হাতে নিয়ে ছুঁড়তে গেলে দেরি হয়ে যাবে। ক্রিজে পৌঁছে যাবেন মার্চেন্ট। ভাবামাত্র কম্পটন পা দিয়ে ক্রিকেট বলে নিলেন ফুটবলের শট । বলও বোধকরি মুখিয়ে ছিল । ডাইরেক্ট লাগলো স্ট্যাম্পে। আউটও হয়ে গেলেন বিজয় মার্চেন্ট!
বেচারা বিজয় । তিনি জানতেন না কম্পটন ক্রিকেটের পাশাপাশি প্রফেশনালি ফুটবলও খেলতেন। আর্সেনালের হয়ে ১৯৫০ সালের এফএ কাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর পজিশন ছিল স্ট্রাইকার।


♦ আমেরিকার নিউইয়র্ক বিমানবন্দরের কাস্টমস অফিসারেরা আমদানিকৃত ক্রিকেটের সামগ্রী পরীক্ষা করে দেখছিলেন। আর জানা থাকারই কথা এই প্রজাতি বড়ই খ্যাত । এছাড়া এই কাজে তাদের সাথেই ছিল বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত কতিপয় কুকুর। একটা কুকুর বারবাই একটা ব্যাট শুঁকতে দেখে সন্দেহ হল অফিসারদের। আরেকটি মেশিন এনে ভালো করে পরীক্ষা করতেই দেখা গেলো ব্যাটের মূল অংশের ভিতরটা ফাঁপা করে সেখানে রাখা আছে প্রায় ২০ হাজার পাউন্ড দামের গাঁজা ।

ও হ্যাঁ, প্যাকেজটি পাঠানো হয়েছিলো পাকিস্তান থেকে ।

♦ মৃত্যু নিয়ে রসিকতা করতে পারে এমন মানুষ দুনিয়াতে কমই আছে । তবে ল্যাঙ্কাশায়ার দলের ব্যাটসম্যান আর জি বারলো এমনই রসিক ছিলেন যে নিজের মৃত্যু নিয়েও রসিকতা করতে ছাড়েননি। তাঁর কবরের সমাধিফলক কেমন হবে তা তিনি ঠিক করে দিয়েছিলেন মৃত্যুর বেশ আগেই।
এখনও গেলে দেখা যায় তাঁর কবরের ফলকে খোদাই করা আছে ৩টি স্ট্যাম্প, ২টি বেল, তাঁরমধ্যে একটি পড়ে গেছে। নিচে লেখা, Finally Bold (অবশেষে বোল্ড)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×