পাঠকরুন ছহি বড় আওয়ামী পুলিশনামা!
এক. গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাত বছরের আদরের ছেলে ইকবাল বাবার কাছে ফুটবল কেনার বায়না ধরে। শিশুসন্তানের বায়না উপেক্ষা করার সাধ্য নেই বাবার। তাই গাবতলীর বাসিন্দা বাবা মুজিবর রহমান (৪২) ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে তুরাগ নদী পাড় হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ছেলের জন্য ফুটবল কিনবেন তিনি। নদীর পাড়ে আসতেই পুলিশের বাধা। পুলিশ মুজিবরকে আটক করেই ক্ষান্ত হয়নি। সাত বছরের ছেলের সামনে তার ওপর পুলিশ যে নির্যাতন চালিয়েছে তা মধ্যযুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। বাবার ওপর পুলিশের নির্যাতন দেখে নির্বাক শিশু ইকবাল দৌড়ে ছুটে গেছে নানাবাড়িতে। নানাকে বলে বাবাকে উদ্ধারের আকুল আবেদন জানিয়েছে ইকবাল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। পরদিনই মজিবরের লাশ মিলেছে তুরাগ নদীতে।
দুই. রাজধানীর গুলশানে পুলিশের গুলিতে মারা গেলেন মিজানুর রহমান (৩৫)। মিজানুরের স্ত্রী বলেন, ঘুষের টাকা না পেয়েই গুলশান থানার পুলিশ তার স্বামীকে হাজতে আটকে রাখে। বেপরোয়া পুলিশ দুই দিন পর তাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তবে পুলিশের দাবি, ছিনতাইয়ের সময় মিজান হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন। এ সময়ে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে আহত হয়ে পড়ে মারা যান মিজান।
তিন. গত সোমবার রাতে রমনা থানা পুলিশের হেফাজতে বাবুল গাজী (৪০) নামের সিএনজিচালিত এক অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়। বাবুল গাজির স্ত্রী শোভা আক্তারের অভিযোগ, ঘুষের দাবিতে বাবুলকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।
চার. গত ৯ মার্চ রমনা থানার হেফাজতে জাকির হোসেন (৪৫) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়। গাড়ি চুরির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
একটার পর একটা হত্যাকাণ্ড তারা ঘটাতেই থাকবে? সভ্যতাবিরোধী এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিকারের কি কোনো পথ নেই?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




