
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো?
এখন আর কেউ আটকাতে পারবে না।
সম্মন্ধটা এবার তুমি ভেসতে দিতে পারো
মাকে বলে দাও বিয়ে তুমি করছ না।
৯০ দশকে বহুল জনপ্রিয় একটি গান। বর্তমানেও সমান জনপ্রিয় অঞ্জন দত্ত সেই গানটি। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন হাতে অহরহ হবার পর “২৪৪১১৩৯” এ ফোন দিয়েছে অনেকেই। তারপর হয়তো একা একা হেসেছে। সেই বেলা ভোষ কে যে যার যার মত একেছে একেক রকম ছবিতে। আমারও বড় সাধ ছিল বেলা কে একবার দেখা। দেখা হবে না জানি।
কিন্তু খুব খুব জানেতে ইচ্ছা করে যে, শেষ পর্যন্ত বেলার জীবন গল্পে কি হয়ে ছিল? বেলা কি বিয়েটা করেই ফেলেছিল না কি হিন্দী সিনেমা“তেরে নাম” এর মত বিষ পানে গল্পের সমাপ্তি ঘটালো। অঞ্জন দত্ত তার পরে কোন গানে সেটা শ্রোতাদের জানালেও খারাপ হত না কি জানি না।
মাস কয়েক আগে বি সি এস পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর একটা খবর দেখেছিলাম সামাজিক মাধ্যমে “বি সি এস ক্যাডার হয়েও তোমাকে পাওয়া হল না”।
” অর্পিতার ১ম বিবাহ বার্ষিকী ও পরেরদিন তার জন্মদিন। আদিত্যের মোবাইলে ম্যাসেজ টোন বেজে উঠল। ইনবক্স খুলতেই দেখে অর্পিতার ম্যাসেজ- “বাবু, আমাদের সম্পর্কের পর আমার একটা জন্মদিন ও তোমাকে ছাড়া কাটাইনি। প্লিজ তুমি কাল অন্তত একবার আমার সাথে দেখা কর। আমার জন্মদিনে তুমি আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিও, সেটাই আমার সেরা গিফট হবে”।
পরদিন বিকেল ৫টায় দুজনের দেখা হয়। দুজন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। অর্পিতা আদিত্যকে বলছে- বাবু আমার গিফট কোথায়? আদিত্য একটা কাগজ দেয় অর্পিতার হাতে। কাগজ খুলেই দেখে এপয়েন্টমেন্ট লেটার। মানিব্যাগ থেকে বের করে একটা ছোট ভিজিটং কার্ড দিয়ে বলে এটাই তোমাকে দেয়া আমার উপহার। অর্পিতা ভিজিটং কার্ড হাতে নিয়ে দেখে সেখানে লেখা-
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
অর্পিতার চোখে পানি, একই পানি আদিত্যের চোখেও। কেবল বিধাতায় জানে এই দুজোড়া চোখের পানির অর্থ কী! “
অশ্রুভেজা পাঁপড়ি : সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী
কালেক্টেড : রাকিবুল রনি
। ঠিক তখনই বেলা ভোষ এর কথাটা মনে পরে গেল। সত্যি বস্তব জীবনে এমন অনেক বেলা স্বপ্ন ভঙ্গার গল্প আছে যা শোনা হয় নি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



