
ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ফিফা বিশ্বকাপ। মর্যাদার দিক দিয়েও সবার উচুতে এই প্রতিযোগিতা। কিছু কিছু কারণে এই মর্যাদার টুর্ণামেন্ট হয়েছে বির্তকিত। আর বির্তকের কথা আসলেই প্রথমে আসে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার ‘ইশ্বরের হাত’ গোলটি। সেই গোলটিকে আনেকই সর্বকালের সেরা গোল বলেও আখ্যা দিয়েছে। আবার অনেকেই তাকে ফুটবলের কলঙ্কও বলে থাকে। হোক সেটা বির্তকিত বা সেরা। ওই গোলের কয়েক মিনিট পর ম্যারাডোনার যে গোলটি বিশ্ব দেখেছিল তাকে শতাব্দীর সেরা গোল বলে মানতে কারো দ্বিধাদ্ব›দ্ব নেই।
সেই গোলের ৩২ বছর পরও আজো শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।
মেক্সিকো ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের ইংল্যান্ডের মুখোমুখি আর্জেন্টিনার। সেই ম্যাচে রেফারির চোখ ফাকি দিয়ে হাত দিয়ে গোল করেন ম্যারাডোনা। পরর্বতিতে সেটা নিয়ে তুমুল বির্তকের সৃষ্টি হয়ে। তবে, তার কয়েক মিনিট পরই যা করে দেখালেন তা সত্ত্যি অসাধারণ ছিল। মাঝমাঠ থেকে ম্যারাডোনা বল নিয়ে বোঁদৌ। ইংলিশ মিডফিল্ড ও রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের বোকা বানিয়ে বল পাঠালেন ইংল্যান্ডের জালে। জন্ম দেয় ইতিহাসের। আর সেই গোলেই ছিটকে গিয়েছিল বিশ্বকাপ থেকে।
ইতিহাস তৈরির পথে সব মিলিয়ে ৬৮ মিটার দৌড়েছের এই আর্জেন্টাই। ১১ সেকেন্ডে রচনা করেছিলেন এই অনব্দ্য ইতিহাসে।
অভিষেক বিশ্বকাপে লাল কার্ড দেখে আসর থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ফুটবলের বেডবয়কে। অবশ্য পরের বিশ্বকাপে কষ্টটা আরো বেশী কারণ, চিরপ্রতিদ্ব›িদ্ব ব্রাজিলে কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছিল ম্যারাডোনার দল। তাই পরের ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়ে ছিল এই কিংবদন্তিকে। অপেক্ষাটাকও সার্থক করেছে আর্জেন্টাইন তালিশম্যান। র্জামানিকে হারিয়ে ৩-২ গোলে হারিয়ে শ্রেষ্টত্বে নিশ্চিত এই ফুটবল ইশ্বর।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



