***বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিবেন নাকি ব্যাংকের জন্য???
..
অনেকেই দোদুল্যমান অবস্থায় আছেন ব্যাংকের প্রিপারেশন নিবেন নাকি বিসিএসের? তবে আমি মনে করি একটু বুদ্ধি খাটালে একসাথে বিসিএস ও ব্যাংক উভয়েরই প্রিপারেশন নেওয়া যায়।
.
এখানে আমি আগেই বলে রাখি যে, বিসিএস এর জন্য প্রচুর ধৈর্য ও পড়াশোনার প্রয়োজন। তারপরও আমি বলবো আপনি প্রথমত বিসিএসেরই প্রিপারেশন নিন।
.
কেননা, বিসিএসের প্রিপারেশন নিলে একসাথে অনেক জবের প্রিপারেশন হয়ে যায়। তাছাড়া এখন কেউ যদি বিসিএসে প্রিলি, রিটেন, ভাইভা পাশ করার পরও কোনো ক্যাডার না পান, তাহলে একটা নন-ক্যাডার জব পাবেন বলে আশা করতে পারেন (৩৩তম, ৩৪তম ও ৩৫ তম বিসিএস থেকে অনেকে নন-ক্যাডারে ভালো জব পেয়েছে), পিএসসিএর ২০১২ সালের নন-ক্যাডার নিয়োগ নীতিমালা এই জন্যই মূলত প্রণয়ন করা হয়েছে।
.
এখন প্রশ্ন হলো, আপনি কেন ব্যাংক বা পিএসসির নন-ক্যাডার এর প্রস্তুতি বাদ দিয়ে কেবল বিসিএসের প্রিপারেশন নিবেন?
উত্তর: এখানে অনেক লাভ আছে, তাই নিবেন।
.
.
১. আমি মূলত বিসিএসের প্রিপারেশন নিয়ে বর্তমানে পূবালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে চাকরি করছি। আপনিও পারবেন চেষ্টা করেই দেখুন না!
তবে আমি ব্যাংকের জন্য এক্সট্রা শুধু "S@fur's Math" টা করেছি এবং ICT উপর একটু পড়াশুনা করেছি। তাতেই হয়ে গেছে। এখন আবার আমি সবার দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার হয়েছে। যদিও ৩৪ তম বিসিএস ছিল প্রথম বিসিএস, সেখানে নন-ক্যাডারে নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম আর ৩৫তম ছিল আমার দ্বিতীয় বিসিএস।
.
.
২. নন-ক্যাডারের জন্য আপনাকে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে না
.
.
৩. কোনো প্রকার ঘুষ ছাড়াই আপনি অনেক ভালো একটা সরকারি চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা অনেক বেশি।
.
.
৪ ব্যাংকের জবের জন্য বেশি পেরেশানি হতে হবে না।
.
.
.__________________________________
©©© গাজী মিজানুর রহমান
***৩৫তম বিসিএস ক্যাডার ও সাবেক সিনিয়র অফিসার, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড।
***প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক: BCS টেকনিক (বিসিএস প্রাইভেট প্রোগ্রাম)
©©© লেখক: BCS Preliminary Analysis ( বিসিএস প্রিলির ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিতে শীঘ্রই আসছে বাংলাদেশের প্রথম বিসিএস প্রিলির সাজেশনভিত্তিক বই- BCS Preliminary Analysis। এই এক বই বুঝে বুঝে পড়লে ইনশাল্লাহ প্রিলি পাশ!)
Find Me on Facebook
Join My Facebook Group
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৭