চোখের সামনেই প্রস্ফুটিত বাগানের ফুলগুলো কেমন যেন নি¯প্রভ হয়ে আসছে। বহুদিনের চেনা পরিচিত চুতুস্পার্শ্বে খুব ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে বৈরী ৃ...।
রক্তঝরা ইতিহাসের রাজসাী চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্বসরুদ্ধকর বছরগুলোর একটি ১৯৯৯ সাল । ¯তৃতির ডাইরী খুলতে গিয়ে উপরের দুইটি লাইন অনেক কিছু স্বরন করিয়ে দেয়। আমার কাছে যা স্বরণীয় অন্যের কাছে তা তুচ্ছ হতে পারে । তবুও অশ্রুসিক্ত উদ্বেলিত দুর্নিবার সহসের ছোট্ট ঘটনাগুলো এখনো প্রেরণা যোগায়। অন্যের কাছে হক তুচ্ছ কিন্তু আমার মোত কোন লোকের কাছে হতেপারে সামনে চলার জন্য প্রজ্জলিত মশাল । এই প্রত্যাশায় আজকের সৃতি চারন । তখন রমজান মাস একজন মুমিনের জন্য এমাসটি আনোন্দের হলেও আমাদের জন্যছিল বড়ই কষ্টের । যে ক্যাম্পাস ছিল সবদিক থেকে শান্তির স্বস্তির এবং অবাধ মুক্তভাবে বিচরণের আওয়ামী সরকার প্রশাসন ও অগণতান্ত্রিক সন্তাসী শক্তির তান্ডবে ১৯৯৯ সালের শেষ দিকে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা ক্রমেই নাযুক হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন আমাদের ভাইদের উপর চলছে দৈহিক ও মানুষিক নির্যাতন । প্রশাষনের কাছে বিচার চাইতে গেলে হচ্ছে উল্টো বিপদ ও গ্রেফতার । পত্রিকা গুলোতে বলা হচ্ছে সাধারন সচেতন ছাত্ররা নাকি মুক্ত প্রগতিশীল ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিবির উৎখাতের মহান কাজে আত্বনিয়োগ করেছে। পত্রিকাগুলো আর উৎসাহ দিয়ে প্রতিদিন সবাইকে একাজে ঝাপিয়ে পড়ার আহব্বন জানাচ্ছে । প্রতিবাদ প্রতিরোধের প্রসংঙ্গ উঠলে দ্বয়ীত্বশীলারা বলেছিলেন প্রতিবাদ প্রতিরোধের চিন্তা না করে ধর্য্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য । কিন্তু এ ধর্য্য যে বড় কষ্টের প্রতিদিন চলছে গ্রেফতার ভাংচুর হত্বা জালাও পোড়াও উৎসব আমাদের কারোও মুখে হাসি নেই । ভাইদের কেঊ কেউ ধর্য্য না ধরতে পেরে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়। কিছু কিছু কর্মী ভাই দেখলেও কথা বলেননা মনে হয় আমাদের সাথে পরিচয়ও ছিলনা সমাবেশ প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিতি ও দিন দিন কমছে। স্পস্ট বুঝতে পারছি এভাবে চলতে থাকলে আমাদের অবস্থ শেষ হয়ে যাবে । এমনিতর পরিস্থিতিতে একদিন ছাত্রলীগের ৭/৮জন সস্ত্্র সন্ত্রাসিরা শাহজালাল হলে ৪০১ নং কে আমাদের প্রিয় ভাই শফিকুর রহমান উজ্জলের রুমে হামলা চালায়। উজ্জল ছিল বি এন সি সির ক্যাডেট আন্ডার অফিসার সবাই তাকে সম্মান করতো কিন্তু ভদ্রতার লেশ মাত্রছিলনা এই ছাত্রলীগ ক্যাডার দের । তারা পর্যাপ্ত আহত করে হুমকি দিল আজকের মধ্যে হল ছেড়ে চলে যাবি নইলে চির তরে বিদায় করে দেওয়া হবে উজ্জলের এই অবস্থায় কেউ এগিয়ে এলোনা আমরা ও খবর পেলামনা অপমানে আর লজ্জায় অসড় হয়ে দাড়িয়ে রইল আমাদের প্রিয়ভাই । ৭বছরের বিশ্ব্যবিদ্যালয় জীবনে এমনটি আগে কখন কষ্ট পাইনি। চোখের পানি ছল ছল করে উঠলো কিন্তু তা গড়িয়ে পড়ার আগে উঠে দাড়ালেন তিনি ততসময় ছাত্রলীগের ছাত্রর মেসবার নেতৃত্বে রাইফেল গুজতে গুজতে চলে গেছে । অপমানে কাপছিল কাপছিল এখন দ্বয়ীত্ব শিলদের জানানো দরকার । আর কত লাঞ্চেনা সয্য করা যায় । এভাবে শেষ হয়ে যাওয়া যায়না আমাদের কিছু করতে হবে মাথা উচু করে সাহসের সাথে দাড়াতে হবে । সে দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আমাদের প্রগ্রাম চলছিল আমরা সকলে হলের বাইরে উজ্জল ভাই মনে করলেন মসজিদের দিকে যাবেন বের হয়ে দেখলেন দুরে দাড়িয়ে আছে মেসবার দলবল আর পাশে আছে জনা দশেক পুলিশ উজ্জল ভাই যেতে হঠাত থমকে দাড়ালেন কি যেন মনে করলেন তার পর দৌড়দিয়ে মিসবার ধারে গিয়ে মিসবাকে জাপটে ধরে কাধে তুলে দৌড়দিয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ভিতর নিয়ে গেলেন এবং বললেন একে গ্রেফতার করুন এর কাছে অস্ত্র আছে পুলিশ অফিসার মাজায় হাত দিয়ে দেখে তার মাজায় গোহজা কাটা রাইফেল অফিসার অবাক হলো মিসবাহ চিতকার করছে আমাকে ছেড়ে দে নইলে তোদের চাকরী খাব আমাকে চিনিশ আমি কেন্দ্রীয় নেতা এমন সময় এমজন পুলিশ গালি দিয়ে বল্ল চোরের মা বড় গলা তোকে মেরে ফেলব চাকরী যায় হাল চাশ করে খাব তোকে না দেখে কথানেই তার সাথে অনেক পুলিশ একই কথা বল্ল উজ্জল ভাই পুলিশদের কথা শুনে অবাক । এর মধ্যে আমরা সবাই খবর পেলাম সকলে সমবেত হলাম ইফতারীর কিছু আগে এরই মাঝে গগন বিদারী স্লোগান শুরু হল নারাই তাকবির আল্লাহু আকবার আর নই প্রতিবাদ চলবে এবার প্রতিরোধ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




