somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা খালি মূর্তি তথা ভাস্কর্য্য প্রতিষ্ঠায় - অন্য কোথাও নাই ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হায়রে নতুন প্রজন্ম ! হায়রে মুসলমান ! হায়রে মুক্তিযুদ্ধ ! হায়রে পাক বাহিনী ! হায়রে সউদী আরব, তুরস্ক ।

পাক বাহিনীর নিষ্ঠুরতা ও জামাতী নাপাকীদের স্বাধীনতা বিরোধীতার ধোয়া তুলে আজ নতুন প্রজন্মকে ইসলাম বিদ্বেষী করে তুলে। তাদের ইসলাম এর নাম নিয়ে ভন্ডামী ইসলামকে হেয় করার একটা সুযোগ করে দিয়েছে । সউদী ও তুর্কীদের ইসলামহীনতাও আজ ইসলামের উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয় ।



মহানবী (সাঃ) এসে ছিলেন মূর্তি ধ্বংস করতে আর তার অনুসারী দাবীদারগণ আজ সেই মূর্তির জন্য জীবন দিতে প্রস্তত । কারণ এটা মূর্তি না এটা ভাস্কর্য । এটাকে পূজা করা হয় না , এটা দেখে মুক্তিযুদ্ধের কথা স্বরণ করা হয় । আরে কয়টা বাঙালী সাত জন বীর শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার নাম জানে ! আজ মুক্তিযোদ্ধাদের কি অবস্হা কয় জনে খবর রাখে ! এসব কিন্তু আড়ালে থেকে যায় - সামনে আসে মূর্তি প্রতিষ্ঠা - কারণ এটা সূক্ষ্যভাবে শিরক - যা অমার্জনীয় পাপ তা দিলের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দেয় ।


অমুসলিমদের প্রচারিত মিডিয়া আজ মুসলিম ছেলে মেয়েদের সূক্ষভাবে সুন্দর সুন্দর কথা শুনিয়ে ইসলাম থেকে দূর নিয়ে যাচ্ছে । এই ভাবে শয়তান তার দল ভারী করছে । সব কিছূর আড়ালে শয়তান দূর থেকে দাড়িয়ে হাসেতেছে আর মজা লুটতেছে ।

বিদায় হজ্বের ভাষণে মহানবী (সাঃ) বলে গেছেন যে, যদি তোমরা কুরআন ও হাদীস আকড়ে থাক , তাহলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না । আর আমরা এত বড় মুসলমান হয়ে গেছি যে, যে হাদীসে মূর্তির কারিগরদের দোযখের আগুনের শাস্তির কথা বলা হয়েছে জেনেও- আমরা সেই মূর্তি তৈরীর প্রতিযোগিতা ও প্রতিষ্ঠায় জীবন বাজি রাখছি। দোযখের আগুনের ভয় আমাদের বিন্দুমাত্র বিচলিত করছে না ।

আজকে বলা হচ্ছে ইসলাম প্রতিষ্ঠা মানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এর মত রাষ্ট্র হওয়া । ইসলাম কি শুধু পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে আছে ? ইসলাম কি কোন দেশে খুজতে হবে ? নাকি কুরআন ও হাদিসে । পৃথিবীতে কি এই দুইটা মুসলিম দেশই আছে নাকি ? । কিন্তু মিডিয়ায় যে খালি এই দুটি দেশের নাম আসে - তাই এই দুটি দেশের নামই তো বেশী উচ্চারিত হবে - এটাই স্বাভাবিক ।

বলা হচ্ছে এসব ভাস্কর্য্য প্রতিষ্ঠার বিরোধিতার আড়ালে নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধা সৃষ্টির অপ প্রয়াস । আরে দেশে কয় শতাংশ লোক জামাতী আর কয় শতাংশ লোক মুসলিম ? সবাই কি জামাতী ? আজ সাধারণ আলেমগণ কিছু বললেও জামাতী ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে । জামাত ও পাকিস্তান যে এদেশে ইসলামের কতটা ক্ষতি করছে তা বলার ক্ষমতা আমার নেই । এজন্য আল্লাহপাক তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে শাস্তি দিবেন - এতে কোন সন্দেহ নেই ।

দেশ লুটেপুটে খাচ্ছে লুটেরা - দেশের মানুষকে বিভক্ত করে দেশকে শাসন করছে । চারিদিকে দেশটাকে নিয়ে আর্ন্তযাতিক যড়যন্ত্র । সেদিক থেকে নজর অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এসব ধোয়া কিছুদিন পর পর তোলা হয় । তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু দেশ রক্ষা নয় - তাদের উদ্দেশ্য দেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করা । তাদের উদ্দেশ্য ঘরে ঘরে দেশ প্রেমিক তৈরী করা নয় । তাদের উদ্দেশ্য রাস্তায় রাস্তায় আর ঘরে ঘরে মূর্তি বানিয়ে দেশের মানুষকে একটা ঘোরের মধ্যে রেখে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করা ।

কত সুন্দর থীম ভাস্কর্যের - দেখলেই যে গায়ে আগুন ধরে যায় । রাইফেল নিয়ে দাড়িয়ে আছে - পতাকা হাতে নিয়ে বিপ্লবী - গ্রেনেড ছুড়ছে । কিন্তু হায় ! এসব চোখের সৈান্দর্য্য একটা মানুষকে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করবেনা - যদিনা তা প্রকৃত শিক্ষা, দেশপ্রেম ও ভালোবাসা না থাকে । আজ দেশের কি অবস্হা, ঘুষ ও দুর্নীর্তি দেশ ছেয়ে গেছে, মানুষ অহরহ গুম হয়ে যাচ্ছে , সীমান্তে পাখির মত মানুষ মারা হচ্ছে , পার্বত্য চট্রগ্রাম নিয়ে যড়যন্ত্র হচ্ছে, আইন-শৃংখলা পরিস্হিতির চরম অবনতি । এসব কিছু নিয়ে তথা কথিত বুদ্ধিজীবীদের কোন উচু গলা নেই । উচু গলা আসে খালি মূর্তি তৈরীতে বাধা পড়লে ।

মানুষকে ভেড়া বানানো কত সহজ - সত্যি অবাক হতে হয় ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×