হায়রে নতুন প্রজন্ম ! হায়রে মুসলমান ! হায়রে মুক্তিযুদ্ধ ! হায়রে পাক বাহিনী ! হায়রে সউদী আরব, তুরস্ক ।
পাক বাহিনীর নিষ্ঠুরতা ও জামাতী নাপাকীদের স্বাধীনতা বিরোধীতার ধোয়া তুলে আজ নতুন প্রজন্মকে ইসলাম বিদ্বেষী করে তুলে। তাদের ইসলাম এর নাম নিয়ে ভন্ডামী ইসলামকে হেয় করার একটা সুযোগ করে দিয়েছে । সউদী ও তুর্কীদের ইসলামহীনতাও আজ ইসলামের উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয় ।
মহানবী (সাঃ) এসে ছিলেন মূর্তি ধ্বংস করতে আর তার অনুসারী দাবীদারগণ আজ সেই মূর্তির জন্য জীবন দিতে প্রস্তত । কারণ এটা মূর্তি না এটা ভাস্কর্য । এটাকে পূজা করা হয় না , এটা দেখে মুক্তিযুদ্ধের কথা স্বরণ করা হয় । আরে কয়টা বাঙালী সাত জন বীর শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার নাম জানে ! আজ মুক্তিযোদ্ধাদের কি অবস্হা কয় জনে খবর রাখে ! এসব কিন্তু আড়ালে থেকে যায় - সামনে আসে মূর্তি প্রতিষ্ঠা - কারণ এটা সূক্ষ্যভাবে শিরক - যা অমার্জনীয় পাপ তা দিলের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দেয় ।
অমুসলিমদের প্রচারিত মিডিয়া আজ মুসলিম ছেলে মেয়েদের সূক্ষভাবে সুন্দর সুন্দর কথা শুনিয়ে ইসলাম থেকে দূর নিয়ে যাচ্ছে । এই ভাবে শয়তান তার দল ভারী করছে । সব কিছূর আড়ালে শয়তান দূর থেকে দাড়িয়ে হাসেতেছে আর মজা লুটতেছে ।
বিদায় হজ্বের ভাষণে মহানবী (সাঃ) বলে গেছেন যে, যদি তোমরা কুরআন ও হাদীস আকড়ে থাক , তাহলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না । আর আমরা এত বড় মুসলমান হয়ে গেছি যে, যে হাদীসে মূর্তির কারিগরদের দোযখের আগুনের শাস্তির কথা বলা হয়েছে জেনেও- আমরা সেই মূর্তি তৈরীর প্রতিযোগিতা ও প্রতিষ্ঠায় জীবন বাজি রাখছি। দোযখের আগুনের ভয় আমাদের বিন্দুমাত্র বিচলিত করছে না ।
আজকে বলা হচ্ছে ইসলাম প্রতিষ্ঠা মানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এর মত রাষ্ট্র হওয়া । ইসলাম কি শুধু পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে আছে ? ইসলাম কি কোন দেশে খুজতে হবে ? নাকি কুরআন ও হাদিসে । পৃথিবীতে কি এই দুইটা মুসলিম দেশই আছে নাকি ? । কিন্তু মিডিয়ায় যে খালি এই দুটি দেশের নাম আসে - তাই এই দুটি দেশের নামই তো বেশী উচ্চারিত হবে - এটাই স্বাভাবিক ।
বলা হচ্ছে এসব ভাস্কর্য্য প্রতিষ্ঠার বিরোধিতার আড়ালে নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধা সৃষ্টির অপ প্রয়াস । আরে দেশে কয় শতাংশ লোক জামাতী আর কয় শতাংশ লোক মুসলিম ? সবাই কি জামাতী ? আজ সাধারণ আলেমগণ কিছু বললেও জামাতী ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে । জামাত ও পাকিস্তান যে এদেশে ইসলামের কতটা ক্ষতি করছে তা বলার ক্ষমতা আমার নেই । এজন্য আল্লাহপাক তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে শাস্তি দিবেন - এতে কোন সন্দেহ নেই ।
দেশ লুটেপুটে খাচ্ছে লুটেরা - দেশের মানুষকে বিভক্ত করে দেশকে শাসন করছে । চারিদিকে দেশটাকে নিয়ে আর্ন্তযাতিক যড়যন্ত্র । সেদিক থেকে নজর অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এসব ধোয়া কিছুদিন পর পর তোলা হয় । তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু দেশ রক্ষা নয় - তাদের উদ্দেশ্য দেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করা । তাদের উদ্দেশ্য ঘরে ঘরে দেশ প্রেমিক তৈরী করা নয় । তাদের উদ্দেশ্য রাস্তায় রাস্তায় আর ঘরে ঘরে মূর্তি বানিয়ে দেশের মানুষকে একটা ঘোরের মধ্যে রেখে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করা ।
কত সুন্দর থীম ভাস্কর্যের - দেখলেই যে গায়ে আগুন ধরে যায় । রাইফেল নিয়ে দাড়িয়ে আছে - পতাকা হাতে নিয়ে বিপ্লবী - গ্রেনেড ছুড়ছে । কিন্তু হায় ! এসব চোখের সৈান্দর্য্য একটা মানুষকে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করবেনা - যদিনা তা প্রকৃত শিক্ষা, দেশপ্রেম ও ভালোবাসা না থাকে । আজ দেশের কি অবস্হা, ঘুষ ও দুর্নীর্তি দেশ ছেয়ে গেছে, মানুষ অহরহ গুম হয়ে যাচ্ছে , সীমান্তে পাখির মত মানুষ মারা হচ্ছে , পার্বত্য চট্রগ্রাম নিয়ে যড়যন্ত্র হচ্ছে, আইন-শৃংখলা পরিস্হিতির চরম অবনতি । এসব কিছু নিয়ে তথা কথিত বুদ্ধিজীবীদের কোন উচু গলা নেই । উচু গলা আসে খালি মূর্তি তৈরীতে বাধা পড়লে ।
মানুষকে ভেড়া বানানো কত সহজ - সত্যি অবাক হতে হয় ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬