somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈশ্বর সমাচার

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


"কখনো দেখেছ ঈশ্বরকে?? কখনো কথা বলেছ তার সাথে?? বুঝতে চেয়েছ তাকে??"
কান্নায় ভেজা কর্কশ বিকৃতস্বরে বলে উঠলেন বৃদ্ধ।
আমি তখন তীব্র ক্ষোভে তাকিয়ে ছিলাম অর্ধভুক্ত মৃত হরিণশিশুটির দিকে। ক্ষোভে, যন্ত্রণায় থুতু ফেলছিলাম। বলে যাচ্ছিলাম "ঘৃণা করি সেই বিকৃতমস্তিষ্কটিকে যে এই নৃশংসতা সৃষ্টি করেছে।"
তখন বৃদ্ধ কেঁদে উঠে চিৎকার করে বলে উঠলেন, "কখনো দেখেছ........"
আমি ঘৃণামিশ্রিত উত্তর করেছিলাম, "নাহ্ দেখার ইচ্ছাও করিনা সেই ঘৃণিত পাশব প্রবৃত্তিটিকে।"
বৃদ্ধ বললেন, "এসো আমার সাথে।"
তারপর আমাকে বনজঙ্গল ভেঙে নিয়ে গেছিলেন এক অন্ধকার গুহায়.....
তারপর বলেছিলেন, "দেখো....."
শিকার দেখে এসেছিলাম। এবার দেখলাম শিকারীকে। ঘোলাটে চোখ তুলে শ্বদন্ত বার ক‍রতে চাইল সে। কিন্তু পারল না। আমাকে দেখে উঠতে চাইল। ব‍্যর্থ হল। এককালের দুর্ধর্ষ শিকারী আজ অথর্ব। শিকারের ক্ষমতাহীন তাই মৃত‍্যুর প্রতীক্ষারত।
আমি অবাক হয়ে তাকালাম বৃদ্ধের দিকে। বৃদ্ধ জলভরা চোখে সেদিকে তাকিয়ে থেকেই বললেন, "কখনো নিজ সন্তানের মৃত‍্যু পরোয়ানা লিখেছ নিজে হাতে? আমাকে লিখতে হয় প্রতিনিয়ত, প্রতিমুহুর্তে। কখনো দন্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত সন্তানের জল্লাদ হয়ে দেখেছ?? আমাকে হতে হয় প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে.... হয় শিকারের, অথবা শিকারীর। কারন..... কারন সৃষ্টির গতিকে রক্ষা করার প্রতিজ্ঞায় বদ্ধ আমি। আমাকে মুক্তি দাও... মুক্তি দাও আমায়... দেবে যুবক?? তোমায় নিজ অমরত্ব দান করব আমি"...
আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম, ঝরঝর করে কাঁদছেন নিজের শক্তির কাছেই নিজে পরাজিত, নিজপ্রতিজ্ঞাবলেই অসহায় সর্বশক্তিমানরূপে পরিচিত ঈশ্ব‍র। তার চোখের জল মিশে যাচ্ছিল পৃথিবীর তিনভাগ জলে... গড়ে তুলছিল নদী, সাগর, মহাসাগর.... যেখানে বহু বহু কাল আগে সৃষ্টি হয়েছিল প্রথম প্রাণ। আর তখন..... তখন শিকার ও শিকারী উভয়েই মিলেমিশে মিশে যাচ্ছিল মাটিতে.... গড়ে উঠছিল মহাদেশ.... দেশ..... জনপদ............. ........... .......
......
আমি অমরত্বের অভিশাপ গ্রহণে স্বীকৃত হ‌ইনি। মুক্তি দিইনি ঈশ্বরকে।
নিজ সৃষ্টির পাপের দায় বহন করুক সে। সেটা তার প্রাপ‍্য......
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০১
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×