মানকচু হত আমার মামাবাড়ির বাগানে। পাশের কোয়ার্টারের 'রমার মা' তুলে নিয়ে যেত। বলত, "আফনে একদিন দ্যাহেন না খাইয়া। দুইখান কাচা লঙ্কা দিয়া শিল নোড়ায় বাইট্যা..."
মামার সঙ্গে রমা মাসির প্রেমটা আর আলো দেখল না। দাদু এক ধমক দিয়ে বলল, "হুঁ! শ্বশুরঘর গিয়ে খাবি মানকচু বাটা!"
পাশে বুড়িমা নিয়ে বসেছে কয়েক আঁটি খারকোল পাতা। বললাম, "জানিনা কিভাবে বানায়।"
বলল, "দুইখান কাচা লঙ্কা দিয়া শিল নোড়ায় বাইট্যা..."
আমি এগিয়ে যাই। রুমালে নাক চেপে ডাঁই করে রাখা শুঁটকির ভ্যারাইটি পেরিয়ে দেখি আরেক বুড়িমা এক ডালি কাঁঠালের বিচি নিয়ে। আমার বন্ধু ঈশানী বলত, "কাঁঠালবিচি কিনলে সবসময় ফোকলা লোকের কাছে কিনবি।"
মাছের বাজারের আদ্ধেক ধকল লইট্যা, আর চন্দনির।চন্দনিগুলো খোকা ইলিশ বলে চালাচ্ছে।
সবজি বাজার ঘুরে কোনোরকমে একপিস লাউ আর দূরে ধুঁকতে থাকা এক বুড়োর কাছে খানিক কুচো চিংড়ি কিনে মুখ ফিরিয়েছি, অমনি চিংড়ি কিনতে আসা ভদ্রমহিলার কণ্ঠস্বর কানে এল, "দুইখান কাচা লঙ্কা দিয়া শিল নোড়ায় বাইট্যা..."
যা বুঝলাম, বাঙাল রান্না খুব সহজ। দুইখান কাচা লঙ্কা দিয়া শিল নোড়ায় বাইট্যা...
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৭