somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রম্য : ট্রেনযাত্রা ও মদ্যপান !!

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার এক উর্ধতন অবাঙালি বস একবার বলেছিলেন 'বুঝলে গেছো, সেলসের কাজে বাঙালি ছেলেদের নেওয়ার আগে আমরা দুবার ভাবি। কারণ একইসঙ্গে এমন বুদ্ধিমান অথচ ফাঁকিবাজ জাত সারা ভারতে আর দুটি নেই। আর দুষ্টুবুদ্ধিতে তো এদের জুড়ি মেলা ভার।' কথাটা তখনকার মত খারাপ লাগলেও কিছু বলিনি, হাজার হোক বস বলে কথা। তবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি কথাটা খুব ভুল নয়। হাতে গরম লেটেস্ট প্রমাণটা পেয়ে গেলাম গত হপ্তাতেই।
গেসলুম বানারস, দীপাবলীর পরে পরেই। প্রাথমিক উদ্দেশ্য অবশ্যই মার্কেট ভিজিট। তবে তার থেকেও বেশী লোভ ছিল দেও দীপাবলী দেখার। গঙ্গার বিস্তীর্ণ ধার ঘেঁষে হাজার হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে সে যে কী অপূর্ব দৃশ্যের সূচনা হয় তা বলে বোঝানো মুশকিল।

দেও দীপাবলি দর্শন সেরে কাজকর্ম মিটিয়ে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন থেকে রাজধানী চেপে বসা গেল। রাত দেড়টায় ছেড়ে পৌঁছবে সকাল সাড়ে দশটায়, ন'ঘন্টার জার্নি। ডিনারের পাট আগেই চুকিয়ে এসেছিলাম। এখন নিজের বার্থে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়া ছাড়া কোনও কাজ নেই।
কিন্তু নিজের ক্যুপে উঠে বুঝলাম সে গুড়ে ভগবান বালির সঙ্গে কয়েকবস্তা সিমেন্টও ফেলেছেন। কেস একেবারে জমে কংক্রিট।
চারটি বার্থের তিনটি দখল করে রেখেছেন তিন বঙ্গসন্তান। একজন ঈষৎ মধ্যবয়স্ক, বয়েস পঞ্চাশের কাছাকাছি। বাকি দুজন তিরিশটি বসন্ত পার করেছেন। তিনজনের চেহারাতেই পাক্কা বদমাইশি খেলুড়ে বুদ্ধির ছাপ। আর তিনজনেই প্রবলবেগে টলছেন। হুইস্কির গন্ধে ক্যুপের আবহাওয়া আমোদিত।
আমি ঢুকতেই তিরিশোর্ধদের একজন (মাথায় মস্ত টাক) সোল্লাসে চেঁচিয়ে উঠল, "এই তো সোনাদা এসে গেছে। কী গুরু, অ্যাদ্দিন ছিলে কোথায়? কী খাবে, বাকার্ডি না বিপি?" শুনে মনে হল ছোকরা যেন আমার কতজন্মের সাথী, এতক্ষণ আমার অপেক্ষাতেই ছিল। বলা বাহুল্য একে আমি জীবনে দেখিনি, চেনাজানার প্রশ্নই ওঠে না। বুঝলাম, শেয়ানা মাল, আমাকে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আমি আমার লাগেজটা সীটের তলায় রেখে উঠে দাঁড়িয়ে গম্ভীরমুখে বললাম, "এই যে প্রকাশচন্দ্র, শালিবনবিহারের সামনের যুদ্ধক্ষেত্রে মৎস্যেন্দ্রনাথের হাতে বেধড়ক ধোলাই খেয়ে সেই যে পালালে, তারপর থেকে তো পাত্তাই নেই হে। লুকিয়ে ছিলে কোথায় শুনি? চম্পানগরী? গুর্জর প্রতিহারদের সঙ্গে? নাকি রাষ্ট্রকূটরাজ ধ্রুব'র সঙ্গে মিলে পাল সাম্রাজ্যের সর্বনাশ করার চেষ্টা করছিলে?"
ছোকরা কিছুক্ষণ আমার দিকে গোল্লা গোল্লা চোখ করে চেয়ে রইলো। তারপর সোজা বুটপদ্মে উপুড় হয়ে বলল, "গুরু গুরু, ছিলে কোথায়? একটু লেগডাস্ট দাও গুরু, মাদুলি বানিয়ে পরবো।"
যাই হোক, তিনজনের সঙ্গে আলাপ জমাতে লাগলো পাক্কা সাড়ে তিন মিনিট। পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিটির নাম প্রাণনাথ পাকড়াশি, ওপরচালাক টেকো ছোঁড়ার নাম গুণেন গুছাইত আর শেষের জনের নাম বটকৃষ্ণ বটব্যাল।
কথায় কথায় জানা গেল তিনজনে টিউবলাইট আর সিলিং ফ্যানের দেশবিখ্যাত কম্পানি 'আলোবাতাস'এর সেলসের লোক। পাকড়াশিবাবু ম্যানেজার, বাকি দুজন তাঁর শাগরেদ। তিনজনেই কার্যোপলক্ষ্যে বেনারস এসেছিলেন। এখন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন।

আমিও নিজের পরিচয়টা দিলুম। এই শর্মাও সেলসের লোক শুনে তিনজনেই ভারী আহ্লাদিত হলেন। ঝটপট পর্দা টেনে আলাপচারিতায় রত হলাম। কথায় কথায় দুপক্ষেরই আগের কম্পানিগুলো থেকে গাদাখানেক চেনা বেরিয়ে গেলো। ফলে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেলো। একটু পরেই পাকড়াশি সাহেবের থেকে এলো সেই অনিবার্য আহ্বান, "তাহলে একটু সেবা হোক?"
সেবাটা যে কীসের সে আর বুঝতে বাকি ছিল না। তিন বঙ্গপুঙ্গবের আলুলায়িত বাক্যভঙ্গিতে, উচ্চকিত হাস্যধ্বনিতে এবং স্লাইট পানুঘেঁষা উপমাচয়নে বোঝাই যাচ্ছিল যে তিনজনেই টপভুজঙ্গ আসনে অধিষ্ঠান করছেন। গুছাইত জানালো 'দুটো ফুল হান্ড্রেড পাইপার্স মেরে এসেছি গজাদা, আরও একটা আছে। বার করি?'
গজাদা শুনে যতটা খারাপ লেগেছিল, হান্ড্রেড পাইপার্স শুনে ততটাই ভালো লাগলো। হাসিমুখে হ্যাঁ বলতেই যাচ্ছিলুম। কিন্তু তারপর ভাবলুম ঝট করে রাজি হয়ে গেলে যদি হ্যাংলা ভাবে? তাই গম্ভীর এবং উদাস গলায় বললাম, "হলে তো খারাপ হয় না। কিন্তু ট্রেনে মদ খাওয়া তো শুনেছি বারণ। যদি পুলিশে ধরে?"
শুনেই তিনজনে যে হাসিটা উপহার দিলেন তাকে বাংলায় বলে হাই ক্লাস। চাকলাদার বললো, "কী বলছেন দাদা। আমরা হলাম গিয়ে ইন্ডিয়ান রিপাবলিকের পাবলিক, আর ট্রেন হলো গিয়ে পাবলিকের সম্পত্তি। একে নিজেদের বলে ভাবতে শিখুন, নিজের করে নিতে শিখুন। আসুন, একটু সেবা ইচ্ছে করুন দিকি।"
কিন্তু সেবা ইচ্ছে করার আগেই বাধ সাধলেন আরক্ষা বাহিনীর সেবকেরা। পর্দা সরিয়ে দুজন গুম্ফশ্মশ্রুধারী উর্দিপ্রবর উঁকি দিলেন, "ইঁহা পে কেয়া চল রাহা হ্যায়?"
গুজাইত দেখলাম গুছোনো ছেলে। চট করে বোতলটা বালিশের পেছনে লুকিয়ে ফেলল। বটকৃষ্ণ প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেছিল। আড়চোখে বোতলটা বালিশজাত হতেই স্নিগ্ধ হেসে বলল, "কিচ্ছু নেহি চল রাহা হ্যায়। চাট্টি সেলসের লোক প্রাণের সুখ দুখকা বাত কর রাহা হ্যায়।"
লোকদুটো সন্দিগ্ধদৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে চলে গেল বটে। কিন্তু বুঝলাম যে একেবারে নিঃশংসয় হওয়া না অবধি তারা এই জায়গা ছেড়ে নড়বে না। প্রতি মিনিটে মিনিটে পর্দার ওপারে তাদের অনুচ্চকিত আলোচনা আর লাঠির ঠকঠকানি শোনা যেতে লাগলো। বোঝা গেল আপাতত তেনারা এখানেই ঘাঁটি গাড়বেন মনস্থ করেছেন। চারের সামনের দশ সেরি ওজনের রুই কাতলা ঘোরাঘুরি করছে দেখলে কেই বা অন্য ঘাটে ছিপ ফেলে?
ক্রমেই পাকড়াশিবাবুর মুখ ক্ষোভে বেগুনীবর্ণ ধারণ করতে লাগলো। এর আগেই একবার কথাপ্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন যে তিনি গ্যাঁড়াপোতার খ্যাতিমান পাকড়াশি বংশের উত্তরপুরুষ, অতিথি সৎকারের জন্য যাঁদের এদিকে যশোর থেকে ওদিকে পাটনা অবধি প্রসিদ্ধি ছিল। প্রাণনাথের উর্ধ্বতন তৃতীয় পুরুষ হরনাথ পাকড়াশি রায়বাহাদুর প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন, নেহাত সাহেবের ফাউলকারিতে সামান্য ঝাল বেশী হওয়াতে খেতাবটা ফস্কে যায়। সেই বংশের সুসন্তান হয়ে তিনি একজন সহযোদ্ধাকে শুকনো মুখে রাখবেন? ধর্মে সইবে?
খানিক পর দেখলাম তিন মাথা একত্র হয়ে কিছু গুজুরগুজুর করলো। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে পাকড়াশি মশাই চাপা গলায় বললেন, "ও মশাই, একটা ছোট হেল্প করবেন?"
শুনে বেশ উৎসাহ পেলাম। কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম, "কী?"
★★★

ক্যুপের পর্দা খুলে দেওয়া হয়েছে। নীচের বার্থে একদিকের সীটে পাকড়াশি সাহেব আধশোয়া হয়ে আছেন। অন্যদিকের সীটে আমরা তিনজন। আমি একদম শেষে, যাতে কে আসছে না আসছে নজর রাখা যায়।
একটু পরেই সেই দুই আরক্ষাপুঙ্গব নজরে এলেন। কামরার ওই প্রান্ত থেকে হেলতে দুলতে আসছেন। প্যাসেজের অন্ধকার নীল আলোতে তাঁদের বিশাল বপু আর হাতের লাঠিটি বিশেষ করে নজরে পড়ে।
আমি অস্ফূটে একটা শব্দ কররলাম। বাকি দুজন তিনজন পজিশন নিলেন। আমিও হাত পা টানটান করে রইলাম।
দুইজন ঠিক আমাদের ক্যুপের সামনে আসতেই আমি উঠে দাঁড়ালাম। সঙ্গে গুছাইত আর বটব্যালও। টানটান বডি, যেন এক্ষুনি সুইমিং পুলে ঝাঁপ দেব। পাকড়াশিমশাই চাদর ঢাকা দিয়ে শুয়ে পড়লেন। আর আমরা তিনজন জুতোর গোড়ালিতে গোড়ালি ঠুকে কপালে চার আঙুল স্যালুট দেওয়ার ভঙ্গিতে ঠেকিয়ে চাপাস্বরে বললাম, "জয় হিন্দ স্যার।"
রক্ষীদুজন থমকে গেলো। তারা পুলিশের লোক, এই সেলাম বিলক্ষণ চেনে। দুজনে আমাদের দিকে উদভ্রান্ত দৃষ্টিতে তাকালো। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারায় জিজ্ঞেস করলো কে ইনি?
আমি একটু বেরিয়ে এসে চাপাস্বরে বললাম, "বড়ে সা'ব। কলকাত্তা সে।"
ততক্ষণে গুছাইত আর বটব্যালও বেরিয়ে এসেছে। বাকিটা তারাই প্রাঞ্জল করে ব্যাখ্যা করলো।
মিস্টার পি এন পাকড়াশি হচ্ছেন আই পি এস অফিসার, লালবাজারের নার্কোটিক্স ডিপার্টমেন্টের বড়কত্তা, একেবারে আই জি। প্রবল প্রতাপ, হাতে মাথা কাটেন। এই তো সেদিন কালিয়াচক থেকে কুখ্যাত গাঁজা পাচারকারী শেখ আল হাবিবিকে একা হাতে ধরে আনলেন, লোকটা তখন দেড় কিলোমিটার দৌড়ে, বুকে হেঁটে, রণ পা চালিয়ে বর্ডার পার হওয়ার চেষ্টা করছে। তার আগে কলকাতা এয়ারপোর্টে পাকড়াও করেছেন আন্তর্জাতিক হেরোইন ব্যবসায়ী মিস জালাবোনা আজবলিস্কিকে। মিস আজবলিস্কি তাঁর গুরুনিতম্বে পাঁচশো গ্রাম হেরোইন লুকিয়ে নিয়ে আসছিলেন, পাকড়াশিবাবু হাঁটা দেখেই ধরেছেন যে কেস গড়বড়। তারপর সে নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড! শেষমেশ মহিলাকে ধরেবেঁধে জোলাপ খাইয়ে সেই হেরোইন উদ্ধার হয়! সে নিয়ে তো খবরের কাগজ আর টিভিতে মহা হুলুস্থুল হয়েছিল, ওঁরা দেখেননি?
হাবিলদার সাহেবদের হাঁ গুলো রসগোল্লা হওয়ার আগেই বটব্যাল ব্যাট বল চালিয়ে খেলতে লাগে।
দিল্লী থেকে তো খুব ঝুলোঝুলি করছে স্যারকে সিবিআইতে ডেপুটেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। নেহাত মেয়ের ফাইনাল এক্সাম সামনে আর পোষা নেড়ি বসন্তবিলাসিনী স্যারের হাত ছাড়া খাবার খায় না, তাই স্যার যাচ্ছেন না। নইলে স্যার আজ কোথায় বসতেন জানেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশের কেবিনে।
শুনতে শুনতে আরেকটু হলে আমার মাথাই পাকড়াশিবাবুর জন্য শ্রদ্ধায় নীচু হয়ে আসছিল। এমন তেজস্বী করিৎকর্মা লোকের সঙ্গে এক কামরায় ট্রাভেল করাই তো মহা পুণ্যের কাজ! এরই মধ্যে শুনি দুই আরক্ষাপুঙ্গবের একজন সশ্রদ্ধস্বরে প্রশ্ন করে ফেলেছে, "সা'ব ইঁহা ক্যেইসে?"
সে খবরও সবিস্তারে পেশ করা হলো, অবশ্যই 'কীসিকো মত বাতাইয়েগা, বহোত টপ সিক্রেট হ্যায়,' ইত্যাদির অনুপান সহ।
স্যার এসেছিলেন এক মহা সিক্রেট মিশনে। বানারস থেকে নাকি আনারসে চরস লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছে দেশের সর্বত্র। তার করাল তন্তুজাল পৌঁছেছে দিল্লীর অভিজাত স্কুলগুলো অবধি৷ সেখানকার কোমলমতি ছেলেমেয়েরা এই বানারসের আনারসের প্রশ্রয়ে দলে দলে উচ্ছন্নে যাচ্ছে। তাই স্বয়ং ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর পচ্ছিমবঙ্গালের মুখ্যমন্ত্রীকে স্পেশাল রিকোয়েস্ট করেছেন যাতে 'পকরাসিবাবুকে' এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া যায়।
এহেন পাকাড়াশিবাবু তো নিজের কাজ সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত করে এসেছেন বেনারসে। দুর্ধর্ষ আফগান অপরাধী মিস পিঁয়াজকলি আর্খাবোনা'কে গঙ্গাবক্ষে টানা সাড়ে সাত কিলোমিটার সাঁতরে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে যে বহুল পরিশ্রমের পর স্যারের শরীরটা বড়ই কাহিল হয়ে পড়েছে। তাই সামান্য স্বাস্থ্যোদ্ধারের আয়োজন করা হয়েছিল। অবশ্য তাতে যদি রেলের আইন ভঙ্গ হয় তাহলে সাহেব মোটেও তাতে যোগ দেবেন না। চাই কী কর্তব্যপরায়ণতার জন্য এই দুই হাবিলদার সাহেবের ব্যাপারে লম্বা সার্টিফিকেটও পাঠাতে পারেন। তা কী নাম যেন স্যারেদের?

রক্ষীদুইজনের মুখ দেখে বোঝা গেল তাঁরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না ঠিক কী করা উচিত। নাম জানালে ব্যাপারটা ঠিক কোনদিকে মোড় নেবে সেই ব্যাপারে এঁরা ঠিক নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না।
ইতিমধ্যে ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট এসে উপস্থিত। তিনি বোধহয় তিনটি মদার্ত বঙ্গসন্তান এবং দুজন রেলপুলিশকে একত্রে দেখে কোনও আশঙ্কার অপেক্ষায় ছিলেন। এসেই আর্তস্বরে জিজ্ঞেস করলেন 'ক্যা ভৈল সার?"
দুজনের একজন অ্যাটেনডেন্টের কলার ধরে সাইডে নিয়ে গেলেন। সেখানে কী গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর হলো খোদায় মালুম। তবে একটু পর দেখি অ্যাটেনডেন্ট সাহেব গদগদ হয়ে এসে বললেন, 'আইস মাঙওয়া দুঁ সাহেব? অওর থোড়া চিকেন পকোড়া?"

তারপর আর কী। সেদিন রাজধানীর কামরায় বসে চারটি বজ্জাত বঙ্গালি সেলস ম্যানেজার যা যা আদর আপ্যায়ন পেলো, কাচের গ্লাস, আইস কিউব আর চিকেন পকোড়া দিয়ে সে যা মোচ্ছব হলো সে আর কী বলবো! একদিন না হয় দেখা হোক কোনও ট্রেনের কামরায়, এই গল্প ফির সে দোহরায়া জায়েগা, কী বলেন?
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বই : টক অব দ্য টাউন

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮

বই : টক অব দ্য টাউন



একটি বই হঠাৎ করে এতটা আলোচনায় আসবে আমরা কি ভাবতে পেরেছি ?
বাংলাদেশের মানুষ অতি আবেগপ্রবন , বর্তমান রাজনৈতিক অস্হিরতার মধ্যে ও
বাঙালীর স্বভাবসুলভ অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাদ্রাসা শিক্ষা, বৈশ্বিক রাজনীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


লেখাটির শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া যাক। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। উত্তরবঙ্গে, নিতান্ত অনুন্নত আমাদের সেই গ্রামে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আগে গ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?



পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার কিছু দেশ এবং দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশ ও অঞ্চলে বছরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×