আপনি কেমন এক্সাম ডিউটি করছেন? সবাই নকল করছে আর আপনি এক কোণে বসে বসে তছবি টিপছেন!
বয়স্ক কক্ষ-পরিদর্শক ম্যাজিস্ট্রেটের কথায় একদম বিচলিত হলেন না। সুফি স্ট্যাইলে শুক্ল শ্মশ্রুমণ্ডিত মুখে তার সুপ্ত মৃদু হাসি। হক্কানি কামেল পীরের মতো ম্যাজিস্ট্রেট কুদ্দুস সাহেবকে ইশারায় নিজের খুব কাছে ডাকলেন। যেন কোনো আল্লাহর ওলি তার মুরিদকে কাছে ডাকছেন আধ্যাত্মিক পরামর্শ দেয়ার জন্য। ধার্মিক ম্যাজিস্ট্রেট চাকুরির স্তরজ্ঞান ভুলে তারচেয়ে অধস্তন মাদ্রাসা শিক্ষকের ডাকে বাধ্য ছাত্রের মতো কাছে ছুটে গেলেন। মন্ত্রমুগ্ধের মতো পরামর্শ করার ভঙ্গিতে শুনতে চাইলেন দেখে দেখে লেখার রহস্যটা কী।
অবশেষে দরবেশী ভাবগাম্ভীর্যে বৃদ্ধ মাদ্রাসা শিক্ষক কানে কানে ধার্মিক দাড়িওয়ালা ম্যাজিস্ট্রেটকে বললেন : ওরা সবাই কী লিখছে খাতায়, আপনি কি তা জানেন?
ম্যাজিস্ট্রেট মাথা চুলকে বললেন : না।
দরবেশ শিক্ষক এবার বললেন ওরা যা লিখছে তার বেশির ভাগই কুরআন হাদিসের রেফারেন্স। যদি কুরআনের হরফ লিখতে গিয়ে নির্ভুল না হয়, যদি আয়াত বিকৃত হয়, তবে এর পাপ কাল হাশরের ময়দানে আপনি কি নেবেন? আল্লাহ প্রশ্ন করলে কী উত্তর দেবেন তখন?
আচমকা এমন অভিনব নকল করার ব্যাখ্যা পেয়ে ধার্মিক ম্যাজিস্ট্রেট এবার নিজের দাড়ি চুলকাতে শুরু করলেন। দরবেশ হুজুর তাকে বললেন—যান, প্রিন্সিপালের রুমে সামান্য মেহমানদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে আপনার জন্য। সেখানে ফলফ্রুট খেয়ে জোহরের সালাত আদায় করুন মসজিদে। দুনিয়াবি ডিউটি পালনের জন্য আখিরাত নষ্ট করবেন না মেহেরবানি করে।
লিখেছেনঃ Abdullah Al Tarek
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৫