হ্যাঁ। উনি ঘুমিয়েও অসাধ্য সাধন করেন।
১)আগে পাকিস্তানের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে ছিল ভারতের টাকা জাল করার উপর। লোকটা দু দু বার নোটবন্দী করে পাকিস্তান এর অর্থনীতি তলানিতে নিয়ে গেল।
২) জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাককে ভারতের বোঝা মনে হত কারণ কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের তথা সন্ত্রাসবাদীদের চোখরাঙানি ছিল চিরায়ত এবং অনবরত। আজ পাকিস্তানের মুখে কাশ্মীর নিয়ে কথা শুনলে বিশ্ব হাসবে, তায় কথা বন্ধ। ।
৩) লোকটা সমুদ্রসৈকতে একটু পায়চারি দেয়, একটু চেয়ার পেতে বসে। তার ফল, আর একটা শত্রু দেশ কদিন বাদে দেউলিয়া ঘোষিত হতে বাধ্য হয়। ( মালদ্বীপ)!
৪) লোকটা ভাবে, আর দেশটা বিদেশীদের দেওয়া ইন্ডিয়া নামের বদলে সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় ভারত নামে বিশ্বময় ঘোষিত হতে থাকে।
৫) যে কানাডা যুগে যুগে বারবার খলিস্তান উসকানি দিয়েছে, ভারতের পিছনে লেগে সেই কানাডা আজ কিউবেক সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, আমদানিতেও টান টের পেয়েছে!
৭) যখন খুশি তিনবার তালাক বলে সহজে স্ত্রী পরিত্যাগ করার গল্প যে বন্ধ হয়ে যাবে কেউ ভেবেছিল?কিন্তু বন্ধ হয়ে গেল। আর নতুন করে কেউ নিরব শাহবানু হবে না।
লোকটা ভাবে আর করে, মুখে কথা বলে না।
৮) ঐতিহাসিকভাবে লাদাক এর অংশ গিলগিট বালতিস্তান এর মধ্যে দিয়ে চীন-পাকিস্তানের সাধের বাণিজ্যপথ CPEC বন্ধ। প্রোজেক্ট বিশবাঁও জলে। কাঁদছে চীন পাকিস্তান। কোন্ মসৃণ পদ্ধতিতে কি হল সাধারণ মানুষকে বুঝতে হয় নি। লোকটা চীনের কাছে প্যানপ্যান করে কাঁদে নি, পাকিস্তানের কাছে প্যানপ্যান করে নি, না আমেরিকার কাছে। ভারত সরকারকে আগে বরাবর যেটা করতে দেখা গেছে।
৯) এমন একটি যুগ ছিল যখন চীনের তৈরী জিনিস ছাড়া কোনো ভারতীয়ের একটা দিন কি একটা সপ্তাহ চলত না। ভারতের বাজারে একচেটিয়া চীনের অধিকার- হেঁসেল থেকে হাসপাতাল। এখন চীনা পণ্য বিদেশি পণ্য খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে। Make-in-India র রমরমা। কাঁদছে চীন।
১০) সংযুক্ত আরব আমীরশাহীতে কর্মসূত্রে বহু ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাস করতে বাধ্য হয়। ছিল না তাদের স্বাভিমান এর একটা মন্দির। কেউ ভাবতে পারে নি, মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎসস্থলে হিন্দু মন্দির থাকতে পারে। গত ১০ বছরে সেটাও তৈরী হয়ে গেছে উপাসনা শুরু হয়েছে। হিন্দু প্রকাশ্যে তার ধর্মপালনের অধিকার পেয়েছে আরবে।
১১) দুবার নোট বাতিল হয়েছে, করোনা বিশ্বমারী এবং লক ডাউন এর সঙ্গে যুঝেছে মানুষ। তবু ভারতের সাধারণ মানুষের অবস্থা আগের চেয়ে অবনত হয় নি। সাধারণ মানুষ আজ দুমুঠো খেতে পায়। কমিউনিস্ট ইকোসিস্টেম এর "ভাত দে" শ্লোগান আজ উপহাসের শ্লোগান মাত্র। কান্ডারি যখন এই ৫৬ ইঞ্চি।
১২) এই কান্ডারীর অভিভাবকত্বে ভারতের প্রতি রক্ষার গোপন অস্ত্র KALI 80 পরিণত হয়েছে KALI 10000 । সঙ্গে যোগ হয়েছে DURGA 2 । জলে স্থলএ আকাশে এত ক্ষেপনাস্ত্র সুরক্ষা সুরক্ষা ভারত আগে কখনো পায় নি, এটা সুরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত লোকেরা প্রকাশ্যে স্বীকার করে। বিশ্বের অজানা অস্ত্র রহস্যময় রেখেছে ভারতকে, সঙ্গে যোগ হয়েছে আন্তর্মহাদেশীয় অব্যর্থ ক্ষেপনাস্ত্র।
১৩) এই কান্ডারীর প্রশ্রয় বুকে করে বিজ্ঞানীরা সফল অভিযান করছেন মঙ্গলএ , পাহারা দিচ্ছেন চাঁদে, পাহারা দিতে চলেছেন সূর্যে।
১৪) আন্দামানে থার্ড কম্যান্ড হেডকোয়ার্টার ভারতীয় নৌবাহিনীর, যা গার্ড দেবে মালাক্কা স্ট্রেইট কে, যেখান দিয়ে বিশ্বের মোট বাণিজ্যের 43% পন্যের এদিক সেদিক বা চালান হয়ে থাকে। চীনের ট্যাঁ ফোঁ পুরো বন্ধ, এমন কি দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে তড়পানিও কমে গেছে। মালাক্কার দরজা বন্ধ করে দিলে আংকেল স্যামও না খেয়ে মরবে।
১৫) ঐ লক্ষ্যেই তৃতীয় এবং খুব সম্ভবত চতুর্থ বিমানবাহী রণপোত তৈরি হচ্ছে কোচিং বন্দরের লাগোয়া জাহাজ তৈরির কারখানায়।
১৬) সর্বোচ্চ সাফল্যের সঙ্গে জি-20র পরিচালনা এবং দিকনির্দেশনা। এই প্রথম কোন কন্ট্রোভার্সি, কোনরকম ভোটাভুটি ছাড়াই সমস্ত প্রস্তাব ইউন্যানিমাসলি গ্রহণ করা হয়। 55টি আফ্রিকান দেশকে একযোগে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রন করা হয় বরাবরের জন্য আফ্রিকান কাউন্সিলের মাধ্যমে।
১৭) দুই বিবাদমান এবং যুদ্ধরত দেশ কোন সরকারি ঘোষনা ব্যতিরেকেই যুদ্ধ বিরতি করে শুধুমাত্র ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের বর্ডার অঞ্চলে সেফ জোনে গিয়ে অন্য দেশে চলে যাবার সুযোগ করে দিতে, শুধু ঐ ভদ্রলোকের দুটো ফোনকল করার সুবাদে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে এরকম ঘটনা আর ঘটে নি।
১৮) একটি অন্য দেশের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং পা ছুয়ে প্রণাম করতে চায় প্রকাশ্য সমাবেশে, এক স্বনামধন্যা গায়িকাও। এরকম ঘটে নি কখনো। এতটাই সেসব আলোড়ন ফেলেছে যে কয়েকদিন আগে, মারিয়াম নওয়াজ, পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফের কন্যা, নিজ পিতার পা ছুঁয়ে প্রণাম করে প্রকাশ্যে ভারতীয় সনাতনী রীতিতে - সবই ওনার জন্যে।
১৯) লক ডাউনের পর থেকে দেখেছি বিশ্ব দিশা পেয়েছে কোথায়? পেয়েছে করোনাজয়ী ভ্যাক্সিন কোভ্যাক্সিন। সোমালিয়া থেকে ইতালি ভারতের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তখন।
২০)আর --রাষ্ট্র প্রধানরা এখন ভারতীয় প্রথায় নমস্কার ( হাতজোড় করে বুকে ও মাথায় ঠেকিয়ে) করে অভিবাদন করছেন। করোনা এফেক্ট? না। এটাই মোদী ম্যাজিক।
২১) স্থায়ী সদস্যপদের প্রাধান্য স্বীকার করতে অন্য রাষ্ট্রগুলো টালবাহানা করলে ভারত রাষ্ট্রসংঘ ( UN) নস্যাৎ করতে পারে এটা যে ফাঁকা আওয়াজ নয় তা ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারত থেকে রাষ্ট্রসংঘের জন্য বরাদ্দ ৫৬% কমিয়ে দিয়ে।
৫৬ ইঞ্চি এখন ঘুমিয়ে থাকলেও বিশ্বে প্রভাব ফেলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৮