গত ২৩ শে নভেম্বর ২০২৪ শনিবার খুব গোপনে বাংলাদেশের অন্তরবর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তোহিদ হোসেন এবং তার কয়েকজন চ্যালা সিঙ্গাপুর হয়ে বেজিং যায়। সেখানে তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই র সঙ্গে জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক করতে চান ! চীনা সরকারি তরফে তাদের একটি গেস্টরুমে রাখা হয়। যেটা আসলে বেজিং থেকে ৯৫ কিমি দূরে তিয়ানজিং শহরের প্রত্যন্ত প্রান্তে অবস্থিত। একটি পরিত্যক্ত ফার্মহাউসের গায়ে শহরের মূল নালার পাশে ! সেখানে কেউ কারুর ভাষা বোঝেনা। সে এক ভয়াবহ অবস্থা ! বাধ্য হয়ে তাদের পর্ক সুপ আর পাঁউরুটি খেয়ে থাকতে হয়েছিল ! বাকি খাবার বলতে সব জ্যান্ত পোকামাকড় হালকা ভাজা বা সুপের মধ্যে কিলবিল করছে !
যাইহোক তিনদিন পরে ২৬ শে নভেম্বর ভোররাতে তাদের বলা হল শীগগির তৈরি হয়ে নিতে। সঙ্গে একজন সরকারী দোভাষী ছিল যে কিনা ঢাকায় বহুদিন চীনা দূতাবাসে কাজ করেছিল। সেই দোভাষী চীনাভাষার বাংলা অনুবাদ করে দিত আবার উল্টোটা!
বেজিং এ ওয়াং ই র অফিসের বাইরে এ্যান্টিচেম্বারে একটা সোফায় বসে আলোচনা শুরু হল ! দোভাষী জানাল যে তোহিদ হোসেন যেন তার যা যা বক্তব্য সেটা টানা বলে যান। তার বলা শেষ হলে সেটা দোভাষী মান্দারিন ভাষায় অনুবাদ করে ওয়াং কে শোনাবেন। এবং ওয়াং তার উত্তরে যা বলবেন সেটা দোভাষী বাংলায় অনুবাদ করে দেবেন !
শুরু হল কথাবার্তা !!!
শুনেন ছ্যার আপনাগো হ্যাল্প লাগবো আমাদের। বারত যা বাইর বারসে হেইডা কওনের মত না। আমরা আর আপনারা বারতরে দুই দিক দিয়া টাইট দিলে অগো আর কিসু করার থাকবো না। আপনারা আসাম আর ম্যাগালয় নিয়া নিবেন আর আমরা পশ্চিমবঙ্গ নিয়া নিমু। ওখানে অনেক মন্ত্রী সান্ত্রী আমাগো বাই-বেরাদর হয় সিন্তা নাই। আর গালবানে আপনাগো সৈন্যদের বারত যে কেলাইছিল হেইডারও শোধ নিয়া নিবেন ! কেমন অইবো?
এতটা উত্তেজনায় বলে থামল তোহিদ হোসেন !
দোভাষী সেটা মান্দারিন ভাষায় অনুবাদ করে ওয়াংকে শোনাল।
ওয়াং একটু চিন্তা করে দেড় ব্যাটারি চোখে পিটপিট করে হলুদ দাঁতে মিচকি হেসে বললেন,
ইচ্যাং চুয়াং তেহ্ তুদি ভিং চ্যাহ্ !!
ব্যাস আর কথা না বলে তিনি ভেতর ঘরে হাঁটা লাগালেন !
ভীত চোখে তোহিদ হোসেন দোভাষীর দিকে চাইলেন। মনে তার বড় আশা। ওয়াং যা বলেছেন হেসে হেসেই বলেছেন, সুতরাং ভাল কিছুর আশা করা যেতেই পারে ! তিনি হয়ত বিস্তারিত ভাবে পরে আলোচনা করতে চান তাই সংক্ষেপে হয়তো এটাই বললেন ! আবার ভাবলেন হয়ত সংক্ষেপে বলেছেন ঠিক আছে তাই হবে !
দোভাষী একটু মাথা চুলকে তাকে জানালেন আসলে এটা ঠিক মান্দারিন ভাষা নয় ! খুব মজা পেলে উনি মাতৃভাষায় কথা বলেন। চীনাদের অনেক গ্রাম্য উপজাতি ভাষার মধ্যে এটা একটা। অনেকটা প্রবাদ বাক্যের মত। ঠিক অনুবাদ করা যায়না ! একটু স্ল্যাং টাইপ আরকি ! বুঝে নিতে হয় !
আরে কন কন মোটামুটি বুঝাইয়া কন তাইলেই অইবো ! তোদিহ উৎসুকভাবে দোভাষীকে বললেন।
দোভাষী একটু ভেবে নিয়ে বললেন মানেটা আপনাদের বাংলায় ঠিক যেন এটাই বোঝায় >
.
.
.
.
ফোট্ ফকিন্নির পুত !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



