সামুতে প্রকাশিত ১ম পর্বের লিংকঃ ‘দ্য বব্স – বেস্ট অফ অনলাইন অ্যাক্টিভিজম’ প্রতিযোগিতায় কেন ''জার্মান প্রবাসে'' মনোনয়ন পেল? টপিকঃ এজেন্সি/দালাল (পর্ব - ১/৫)
.
সামুতে প্রকাশিত ২য় পর্বের লিংকঃ ‘দ্য বব্স – বেস্ট অফ অনলাইন অ্যাক্টিভিজম’ প্রতিযোগিতায় কেন ''জার্মান প্রবাসে'' মনোনয়ন পেল? টপিকঃ "ম্যাগাজিন" (পর্ব - ২/৫)
.
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের নানান পদক্ষেপ কি হতে পারে এবং কেন সেই লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে জার্মান প্রবাসে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে আসছে। একজন ছাত্র ব্যাচেলর পাস করবার পরে কিভাবে নিজেকে তৈরি করবে, কেন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে সেই ব্যাপারে নানানভাবে সাহায্য করা হয় বিনামূল্যে। উদ্দেশ্য একটাই, বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা এবং তাদেরকে নিয়ে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে একটুকরো বাংলাদেশ সৃষ্টি করা।
.
.
যদিও আমরা জার্মানিতে থাকি মূলত তবে আমরা বাংলাদেশীদের জন্যে পৃথিবীব্যাপী কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করি আর তার জন্যে স্কলারশিপ এর চেষ্টা কিভাবে করা যেতে পারে, আবেদনের জন্যে কি করতে হয় সবই আপনি জার্মান প্রবাসে প্লাটফর্মে পাবেন। প্রফেসর রাগিব হাসান থেকে শুরু নতুন নতুন স্কলারশিপধারী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত জার্মান প্রবাসে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বাংলায় লিখছেন যাতে যে কেউ নিজের উন্নতির জন্যে লেখাগুলো কাজে লাগাতে পারে।
.
এরপরেও যদি মনে কোন প্রশ্ন জাগে তারজন্যে আছে আমাদের ফেইসবুকগ্রুপ যেখানে এইসব জগতের সফল ব্যক্তিত্বরা সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন।
.
বিদেশে চান্স পেলে আর স্কলারশিপ পেলেই চলে না, সাথে বিশাল এক পুলসিরাত পার করতে হয় যার নাম ভিসা! অনেক ক্ষেত্রে এতদূর এসেও ভিসা প্রসেস এবং এর নিয়মকানুন সঠিকভাবে না বুঝতে পারায় অনেকের বিদেশে আসাই হয়ে ওঠেনা। জার্মান প্রবাসে এই ক্ষেত্রেও প্রতি পদক্ষেপে সাহায্য করে থাকে। বিশ্বাস না হলে নিজেই ওয়েবসাইট এ ঘুরে আসুন ভিসার ফর্ম কিভাবে পূরণ করতে হয়, কত ফি দিতে হয়, কোথায় হেলথ ইনস্যুরেন্স করবেন-তাতে কতটাকা লাগবে-কে ভালো, ভিসার ডকুমেন্টগুলো কিভাবে সাজাবেন আর ভিসা ইন্টার্ভিউতে আপনাকে প্রশ্নইবা কি করা হবে? এই সবকিছুই নিয়মিত লেখা হচ্ছে...মাসে মাসে নিয়ম বদলায়, জার্মান প্রবাসের একনিষ্ঠ লেখকরাও নতুন লেখা যোগ করতে থাকেন যাতে কিছু বাদ না পরে যায়।
.
শুধু তাই নয়, আইইএলটিএস(IELTS) নিয়ে আমাদের রয়েছে তথ্যবহুল আর্টিকেল। শুধু এগুলো কেউ নিয়মিত অনুসরণ করলেই ব্যান্ড স্কোর ৭ পাওয়া যায় সহজেই! বিশ্বাস হয় না? নিজেই খুঁজে দেখুন না!
.
.
কথার কথা কোনো কারণে ভিসা হলো না এখন কি করা? জার্মান প্রবাসের কর্মীরা প্রয়োজনে সেইখানেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে! কোন কি কারণে ভিসা দেয়া হলো না এবং কিভাবে এই ভুল সংশোধন করা যেতে পারে এবং ভিসার জন্যে আপিল করা যেতে পারে তার বুদ্ধিও আপনাকে জার্মান প্রবাসেই দিচ্ছে এবং হ্যাঁ বিনামূল্যে!
.
বিদেশে ছাত্র হিসেবে পার্ট টাইম চাকরি করলে ঘন্টায় ৮ ইউরো (৮০০টাকার মতন) থেকে ১৫ ইউরো (১৫০০ টাকার মতন) পেতে পারে সেই চিন্তা বাদ দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দেশের মানুষের জন্যে এভাবেই কাজ করে আসছে ২০১১ সাল থেকে। আপনারা হয়ত জানেন, বিভিন্ন এজেন্সি/দালাল প্রতিষ্ঠান জনপ্রতি ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে ধাপ্পাবাজিতে ব্যস্ত। অন্যদিকে আমরা সাহায্য করছি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে! আমাদের গ্রুপ/পেইজে/ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত ৫০০ থেকে ৬০০ শিক্ষার্থী জার্মানিতে পড়তে এসেছেন। এবার আপনারাই হিসাব করে নিন তাঁদের কত টাকা আমরা নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছি।
.
এত চড়াই উতরাই গেল, ভিসা পেলেন এখন আসবার সময় কি কিনবেন, কি আনতে পারবেন এমনকি কত বৈদেশিক মুদ্রা আনার নিয়ম আছে সবকিছুই আছে জার্মান প্রবাসে প্লাটফর্মে। সবার প্রয়োজন এবং চাহিদার প্রেক্ষিতে এয়ারপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর তথ্যাবলীয়ও সংকলিত করা আছে একই জায়গায়। কাস্টমস এর যেকোনো তথ্যাবলী তা দেশের বাইরে যাবার কিম্বা আসবার সময়ই হোক চট করে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন একই প্লাটফর্মে।
.
.
সব ভালো বিদেশের মাটিতে পা দিলেন প্রথমবারের মতন এবং কিভাবে এয়ারপোর্ট থেকে আপনার গন্তব্যস্থলে যাবেন সেই চিন্তায় আছেন? জার্মান প্রবাসের ভলান্টিয়ারদের যদি সময় থাকে আপনাকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে নিয়ে আপনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিবে! যদি কারো সময় না থাকে তবুও অনলাইন এ কেউ না কেউ কোথা থেকে কিভাবে কত টাকা দিয়ে টিকেট করে যেতে হবে সবকিছু বুঝিয়ে দেবে দেশ ত্যাগ করার আগেই।
.
.
এমন অনেক গল্পই আছে আমাদের থলিতে যেখানে এয়ারপোর্ট থেকে সাথে নিয়ে নিজের বাসায় রেখে আদর-যত্ন-রান্না-খাওয়ার পরে গন্তব্যস্থলে নিয়ে যাওয়া যেন রোজকার ঘটনা- একে আপনি জামাই আদর বলেন আর যাই বলেন আমরাই জার্মানির বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ!
.
.
এখানে একটা জিনিস পরিষ্কার করা দরকার। আমরা মেধা পাচার করছি না। আমাদের গ্রুপে/ওয়েবসাইটে এই ব্যাপারে বারবার করে বলা আছে। আমরা চাই উচ্চশিক্ষা এবং বিশ্বমানের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশিরা যেন দেশের জন্য কিছু করেন। এরকম একজন হলেন আমাদের সাইফ সাইফুল্লাহ ভাই। বাকিরাও এগিয়ে আসছেন। এই দেশটা আমাদের কতকিছুই না দিয়েছে। তাঁর জন্য এইটুকু কি আমরা করব না?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫০