নিস্তব্দ রাতের প্রচন্ড সমীরণে ভাসছে হৃদয়, বৃথা চেষ্টায় ক্লান্ত তনু। আলো বলতে অম্বর কোনে টুকরো চন্দ্রমার জ্যোতিটাই। নির্জন খোলা পথ টা দিয়ে আজ না হাঁটলে হয়তো এই হর্ষানুভূতিটা অধরাই রয়ে যেত।
তাঁরা গুলো যেন আজ খুব কাছে আসতে চাইছে আমার। জানি সেই বালিকার মত ওরাও কাছে আসার আগেই থেমে যাবে। কয়েক টুকরো মেঘ ভেসে আসছে ওদের দিকে। একটু পরেই ওরা আত্মগোপন করবে মেঘের আড়ালে। আসলে ওরা যেমন আমার নয় তেমনি ওই বালিকাও আমার ছিল না। তাই পাওয়ার আগেই হারিয়ে গেল।
হাওয়ারা যেন আজ টেনে নিয়ে যেতে উদ্যত ফেলে আসা সেই শ্রেষ্ঠ সময়ে। আমার ছোট্ট বেলার এমন কোন রাতে। যেখানে চলছে হাওয়া বরণের উৎসব। কোন এক ছোট্ট শান্ত তরঙ্গিনী, তার সাথে জড়িয়ে থাকা এক গাঁ। সেই গাঁয়ের কোন এক বাড়ির উঠোনের এক পাশে শিশুদের কোলাহলে। অথবা অন্য পাশের গল্পের আসরে।
মনটা আবার ফিরে যেতে চাইছে ছোট্ট বেলার দিন গুলোতে। কোন এক বর্ষণমুখর দিনে সব ক-টি বালক বালিকা জড়ো হতাম, বসত গল্পের আসর। পালা করে একজনের পর আরেক জন বলত তার গল্পটা। বাকিরা যেন এক আকাশ মুগ্ধতা আর উৎসাহ নিয়ে শুনত গল্প। আজও মনের মাঝে গেঁথে আছে আজগুবি ভূতের গল্পের কয়েকটা। কিন্তু সেই দিন আর নেই। নেই সেই মুগ্ধ হওয়া, নেই সেই উৎসাহ। সবাই নিজেদের মত ব্যস্ত।
কোলাহলের মাঝেও চারিদিক যেন শূন্যতায় ঢাকা। শৈশবের স্মৃতি গুলো কোণ ঠাসা হয়ে আছে হৃদয়ে। সহসা যদি প্রকৃতিটা বদ্লে যায়, স্মৃতি গুলো জেগে উঠে হৃদয়ে রাজত্ব করতে। আমিও বাঁধা দিতে পারি না। ক্ষণকাল চলুক না ওদের রাজত্ব। হোক না বর্ষণ দু চোখ জুড়ে। অন্তত একটা দিন হোক আবেগের ইচ্ছানুযায়ী বিচরন।
অতঃপর দীর্ঘশ্বাস আর বৃষ্টির অপেক্ষা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




