মধ্য রাত্রি। হঠাৎ করেই তন্দ্রা ভঙ্গ। দু চোখের পাতা অত্যধিক চেষ্টায়ও বন্ধ রাখা যাচ্ছে না। ধীরে ধীরেই তন্দ্রা ভঙ্গের কারনটা মনে পড়তে লাগল। আজও তন্দ্রা ভঙ্গের কারন ঐ মেয়েটা। কাল বৈশাখির মত সহসা চলে আসে স্বপ্ন হয়ে।
প্রকান্ড এক দীঘি। যেন আকাশের সকল নীল চুরি করেছে ঐ দীঘির জল। মুগ্ধই হচ্ছিলাম নীল দীঘির অপরুপ সৌন্দর্যে। হঠাৎ করেই হৃদ স্পন্দন বেড়ে গেল, মেয়েটির আগমনে। এবার বুঝতে পারলাম মেয়েটা আসবে বলেই দীঘিটা এত সেজেছে।
গগন কালো হতে থাকল মেঘের রঙে। সহসা চারপাশ কুহেলিকাময়। আমার সাথে নিশ্চই ছলনা করা হচ্ছে। এখন তো কুহেলিকার সময় না। তবুও মেয়েটাকে দেখার ঈপ্সা ছাড়তে পারলাম না। কোন ভাবে দূর থেকেই মেয়েটির মুখের দিকে তাকালাম।
সেই হৃদয়কাড়া হাসি। অস্পষ্ট টানা টানা চোখ গুলোর মায়া জালে জড়িয়ে পড়ছি, ইষৎ উপলব্দি হচ্ছিল আমার। কিন্তু ঐ হৃদয়স্পর্সী হাসির জন্য শত মায়াজালে জড়াতে রাজি আমি। অতঃপর মেয়েটি যেন মিলিয়ে যেতে থাকল কুহেলিকার সাথে। দীঘির জল নীল থেকে সহসা কালো হতে শুরু করল।
ক্ষণ কালেই মেয়েটি যেন অদৃশ্য হয়ে গেল। শুরু হল অন্বেষণ, এ দিক থেকে ও দিকে। কিন্তু হায় মেয়েটি ততক্ষণে পুরোপুরি মিশে গেছে কুহেলিকায়।
হঠাৎ মনে হল আমার হাত-পা ভাসছে। বুঝতে পারলাম আমি দীঘির জলে পড়ে গেছি। গভীর জলে আমি হাত পায়ের ব্যবহার করছি প্রাণ পনে। দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার। হয়তো একটু পরেই বিনা যুদ্ধে আমার প্রাণহীন দেহ ভেসে উটবে জলের উপরে। এরকম ভাবনা বিদ্যুৎ গতিতে ভেসে বেড়াচ্ছে মনের মাঝে। আর পারছি না আমি। সমস্ত শক্তি শেষ। হাত পা নাড়ানোর শক্তি নেই আর। এতক্ষণে ঘুম ভেঙ্গে গেছে আমার। এভাবে প্রায়ই মেয়েটি চলে আসে স্বপ্ন হয়ে।
আমার অবচেতন মনের ভাবনা জুড়ে মেয়েটির রাজত্ব চলে। সহসা ওর মৃদু হাসিটা মনে পড়ে আর হাসি ফুটে মোর সৃক্বণীতে। না চেয়েও ওকে নিয়ে লিখে ফেলি কত কবিতা। সব মুছে ফেলব আমি। ভুলে যাব ওকে। জানি এই লেখাটা কখনো পৌঁছাবে না ওর কাছে। তবুও মন মানছে না তাই বলছি, ক্ষমা করে দিও নিভৃতে আমার অবচেতন মনে কিছু ভাবনা তোমাকে নিয়ে গড়ে উঠে বলে।।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




