পৃথিবীতে এমন কিছু প্রানী আছে যার সম্পর্কে আমরা খুব কম জানি । অনেক প্রানী আমরা দেখিও নাই । সৃস্টিকর্তার অসীম কৃপায় কত শত প্রানী এই পৃথিবীতে বিচরন করছে কে জানে ? আসুন আজ কয়েকটি প্রানীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই যেগুলো সম্পর্কে আপ্নি হয়তো আগে জানতেন না ।
ব্লু ড্রাগনঃ
বৈজ্ঞানীক নাম Glaucus atlanticus সাধারনত একে ব্লু ড্রাগন নামে ডাকা হয় । লম্বায় এই জলজ প্রানীটি তিন সেন্টিমিটার বা দেড় ইঞ্চি হয়ে থাকে । নাতিশীতোষ্ণ এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলের অঞ্চলে এদের দেখা পাওয়া যায় ।
স্বচ্ছ পাখার প্রজাপতিঃ
বৈজ্ঞানীক নাম Greta oto । প্রসারিত অবস্থায় এধরনের প্রজাপতির পাখার দৈর্ঘ্য ৫.৬ সেন্টিমিটার হতে ৬.১ সেন্টিমিটার পর্জন্ত হয়ে থাকে। মেক্সিকো , পানামা , কলোম্বিয়া এ ধরনের প্রজাপতির দেখা পাওয়া যায় ।
লেংটু ইদুরঃ
বৈজ্ঞানীক নাম naked mole-rat । অদ্ভুত এই ইদুরের গায়ে অন্যান্য ইদুরের মতো লোম নেই ! এগুলো সাধারনত ৮ থেকে ১০ সেন্টিমিটা লম্বা ও ৩০ থেকে ৩৫ গ্রাম ওজন সম্পন্ন হয়ে থাকে । দল বেধে বসবাসকারী এই ইদুরদের প্রধান হচ্ছে রানী যার ওজন সাধারনত ৫০ গ্রাম হয়ে থাকে । ছোট ছোট চোখ হওয়ায় এদের দৃস্টি শক্তি খুব খারাপ । এদের পা খুব ছোট ও চিকন হলেও এরা দ্রুত সামনে ও পেছনের দিকে ছুটতে পারে যা অন্য জাতের ইদুর পারে না ।
ইয়েতি কাকরাঃ
অদ্ভুত দেখতে এই কাকরার বৈজ্ঞানীক নাম Kiwa hirsute । রহস্যময় ইয়েতির সাথে এর অনেক সাদৃশ্য থাকায় লোকে ইয়েতি কাকরা বলে ডাকে । সাউথ পেসিফিক সাগরে এই ধরনের কাকরা দেখতে পাওয়া যায় । এই ধরনের কাকরা সাধারনত ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে । এর পুরো শরীর লোমে সাদা লোমে আবৃত থাকে।
রাজকীয় ঝুটির পাখিঃ
এই পাখিটি বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানি না তবে এর বৈজ্ঞানীক নাম royal flycatchers বলে শুনেছি ।
গোবি ইদুরঃ
এর বৈজ্ঞানীক নাম Gobi jerboa চায়না ও মঙ্গোলিয়ায় এর দেখা পাওয়া যায় । নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি এবং নাতিশীতোষ্ণ মরুভূমিতে এরা থাকতে পছন্দ করে । অদ্ভুত এই প্রানীটি প্রথম আবিষ্কার করেন গ্লোভার মরিল এলেন, ১০২৫ সালে গোবি মরুভুমিতে এর দেখা পাওয়ায় এর নাম দেয়া হয় গোবি জেরবোয়া । ৬ বছরের মতো আয়ুস্কাল নিয়ে এরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকে ।
প্রানীগুলোর তথ্য ও ছবিঃ
১. এনিমেল এনসাইক্লোপেডিয়া (ন্যাশনাল জিওগ্রাফি)
২. দ্যা উইং (এপ্রেলিন পাইক)