আমরা কোথায় আছি! কোন সমাজে বাস করছি! দেশটা কি চোর, বাটপার, সন্ত্রাসী আর খুনীদের ?? ?
দিনদুপুরে শতশত মানুষের উপস্তিতিতে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে, স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফ (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। পরে মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়।এতো এতো পথচারী, কেউ এই সন্ত্রাসীকে বাধা দেবার চেষ্টা করে নি! আমরা একটা কুকুরের জাতিতে পরিণত হয়েছি! চোখের সামনে অন্যায় দেখি, মজা পাই! কিন্তু একবারও কি ভাবি যে, এমন ঘটনা আমারও ঘটতে পারে!!!
হত্যাকাণ্ডের মত এত খারাপ কাজ পৃথিবীতে নেই। নিরীহ মানুষ হত্যা করা মহা অন্যায়। কিন্তু বাংলাদেশে মানুষ হত্যা প্রতিদিন নিয়মিতই ঘটছে। এদেশ মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ,ভেজালমুক্ত খাদ্যের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ, ভাল চিকিৎসার নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ ও পরিবহনের নিরাপত্তা দিতেও ব্যার্থ । এদেশে যাদের টাকা আছে তারা অনেক মানুষ হত্যা করলেও কোন শাস্তি পায়না। স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে, যার সংখ্যা দাঁড়াবে কয়েক হাজার। আমি কোন হত্যাকারীর বিচার হতে দেখিনি। আমার গ্রামের একজন শীর্ষ তালিকার লোকের হত্যা মামলায় প্রায় পনের জন আসামির মধ্যে টাকা ছাড়া অতি দরিদ্র লোকটির যাবজ্জীবন হয়েছিলো, পরে সেও বাড়িঘর বিক্রি করে জেল থেকে বের হয়েছিল। রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও অরাজনৈতিক পারিবারিক কারণে বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আইনজীবী, পুলিশ, আদালতের লোকেরা এসব হত্যাকাণ্ডের কোন প্রমানও দিতে পারেনা আর বিচারও হয় না। সারাদেশে প্রায় ৫৮ লক্ষ মামলা আদালতে চলমান,দিনের পর দিন আদালতে যাওয়া আসা ছাড়া কোন কাজ হয়না, টাকা যেদিকে মামলা সেদিকেই হেলান দেয়। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এদেশের রাজনীতির টাকাওয়ালারা, আমলারা, ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপত্তার জন্য বিদেশে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হচ্ছে,বিদেশে টাকা জমিয়ে বসতি স্থাপন করছে। আসলে এদেশের প্রতি,এদেশের মানুষের কারো মায়া নেই, সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। লোকদেখানো ভন্ডদের পিছনে পড়ে আমরাও নষ্টদের কাতারেই। ব্যক্তিগত ইচ্ছায় যখন দেশের প্রভাবশালীরা চলে সেখানে আইন হলো মূত্র বিসর্জনের টিস্যু পেপার মাত্র।
পৈশাচিক এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি! দ্রুত এ নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই,
হোক সে যতোই ক্ষমতাধর!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৪১