somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু অনুভব সকলের...

০৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের নিউজ রুমটা ৯তলায়। কাচের দেয়াল। তাকালেই অদ্ভুত দৃশ্য। ব্যস্ত সড়কটা যেন ঠিক পায়ের নিচে। নিচের দিকে তাকালে রাজধানীর জনারণ্য চোখে পড়ে। অনেক উপর থেকে দেখা বলে গাড়ির জট, কারো সবল, ভয়ের পায়ে কারো রাস্তা পেরুনো, ট্রাফিক পুলিশদের কারিশমাও সুন্দর লাগে। প্রায়ই দেখি, কাজের অবসরে আমার সহকর্মীদের কেউ কেউ ওই কাচের দেয়াল দিয়ে ভাবুক চোখে বাইরের বিশ^ দেখছেন।
ওদিকেই দেশের সবচেয়ে বড় শপিং মল বসুন্ধরা সিটি। ঈদ মৌসুমে ব্যাপক মানুষের আগাগোনা চলছিল। হঠাৎ হঠাৎ আমাদের চোখ চলে যায় ওদিকে, আমরা খানিক দেখি আবার কাজে ডুবি।
ঈদের আগে আগে, ওরকম একদিন আমার সহকর্মী সাজেদা বাইরে দেখতে দেখতে হঠাৎ বলল, দেখেন দেখেন...!
দেখলাম। বাবার হাত ধরে ভীরু ও ত্রস্ত পায়ে গাড়ির ফাঁক-ফোকড় গলে রাস্তা পেরুচ্ছে এক কিশোরী। ঈদের কেনাকাটার প্যাকেট কতগুলো বাবা পরম মমতায় ধরে আছেন মেয়ের হাত। বাবার হাত- পৃথিবীর সবচেয়ে নির্ভরতার হাত।
সাজেদা বলল, এ রকম দেখলে মনে হয় কী জানেন, আমার বাবা আসবে। বাবা এসে জিজ্ঞেস করবে, ঈদে কি নিবি, মা?
আমি বললাম, তোমার বাবা কবে আসবেন?
ও দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, 'গত বছর বাবা মারা গেছেন। আর আসবেন না।' বলে ও চুপ করে গেল।
আমিও চুপ হয়ে গেলাম। বুকের ভিতর হু হু করে উঠল। আমার আব্বা চলে গেছেন সেই '৮৫ সালে। শিপলুর বাবা-মা দুজনই তো নেই। আমার আব্বার মুখ ভেসে ওঠল মনে। বুকে ভারী চাপ...।

দূর্গা পুজা শুরু হয়েছে আজ। আরেক সহকর্মী রাখী সাহা পুজার ওপর ওর স্ক্রিপ্ট দেখাতে এসেছে। বললাম, কি বাবা-মা পুজার নাড়–-মুড়ি পাঠায়নি বাবা-মা? খাওয়াবা না?
ও বলল, মা আমার সাথে থাকেন। আর বাবা তো নেই।
আমি আবার চুপ হয়ে গেলাম। বুকের ভিতরে ভারী চাপ...।
১৫টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×