
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের র্যাঙ্কিং এখন তলানিতে নেমেছে; টেস্ট, ওডিআই আর টি২০ এ যথাক্রমে ৯, ১০,১০। বিগত ২০ বছরে এত বাজে অবস্থায় ছিল বলে মনে নাই। অগাস্টে ফারুক আহমেদ এর সভাপতি সবাই সাদরে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু একজন ভাল টিম সিলেক্টর মানেই যে একজন ভাল প্রেজিডেন্ট হয় না সেটার শিক্ষা আমরা পেলাম।
আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ট্র্যাক রেকর্ড একটু অন্যরকম। উনার অভিজ্ঞতার সিংহভাগই কোন দেশের ক্রিকেটিং সিস্টেমকে আপলিফট করায়। তার একটা সফল উদাহরণ হচ্ছে আফগানিস্তান; যারা ওডিআই আর টি২০ র্যাঙ্কিং এ এখন বাংলাদেশের উপরে। তবে আমিনুল ইসলামের কাছে সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
(১) উনি যে যে দেশের ক্রিকেটিং ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করেছে সেখানে প্রায় শুন্য থেকে শুরু করা লেগেছে। তাই ঢেলে সাজানোর সুযোগ ছিল। বাংলাদেশের ঢেলে সাজানোর সুযোগ কম, এখানে ট্রান্সফরমেশনের স্কোপ বেশি।
(২) বিসিবির স্টেকহোল্ডাররা পুরাতন পদ্ধতিতে খাপ খেয়ে গিয়েছে। এরা নতুন ইনোভেটিভ আর ইফেক্তিভ স্পোর্টিং কালচারে যেতে কতদিন লাগাবে বা যেতে চাইবে কিনা সন্দেহ আছে। বিশেষ করে দলাদলি, দুর্নীতি, দুর্বল ম্যানেজমেন্ট সবগুলোই বড় ধাক্কা হবে উনার জন্যে।
(৩) বাংলাদেশের ক্রিকেটিং পলিটিক্স থেকে উনি সবসময় দূরে ছিলেন। তার ফিল্ড নলেজ নাই। বাংলাদেশের কালচারে কিভাবে কৌশলে সমাধান করবে সেই এক্সপেরিয়েন্স নাই; থাকলেও সেটা অনেক আগের। এটা তার জন্যে একটা সীমাবদ্ধতা হবে।
এইসব ছাপিয়ে টিম মরাল, স্পোর্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট, বিভাগীয় প্লেয়ারদের গ্রুমিং, সময়মত বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা আর ঘরোয়া লীগগুলো ঠিক করা এইসবও করা লাগবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে আজকে বাংলাদেশ ক্রিকেট ২০০৪/০৫ সালের মতই দুর্বল। সামনে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




