ঘর থেকে বের হবার মুখে দরজার পাশেই একটা জুতার সেল্ফ।
সেখানে পনেরো বছরের পুরোনো বাটার একজোড়া কালো জুতা এখনো চকচক করে।
মা প্রতিদিন সকালে বাবার অফিসের জুতা ধুলো পরিষ্কার করে এখনো কালো রঙের পালিশে ঝকঝকে রাখেন-
যেন বাবা একটু পরই অফিসে যাবেন!!
মা বোধহয় ভুলে গেছেন,
-মৃত মানুষ কখনো অফিসে যায়না,
তাদের অফিসে বসার কোনো জায়গাও নেই,
তারা শুধু থাকে আপনজনেরই বুকে।
জুতার পালিশের রঙ ফুরিয়ে গেলেই
আমি বাটার দোকান থেকে আবারও কিনে এনে রেখে দেই মার জন্য।
আমার অফিসে যাবার সময় মা প্রায়ই বাবার জুতা জোড়া এগিয়ে দিয়ে বলেন-
“দেখতো তোর পায়ে এখন হয় কিনা?”
আমি মাকে বুঝাতেই পারিনা আমার পা আর বড় হবেনা,
আমি যতই বড় হইনা কেনো
-আমার পা বাবার পায়ের সমান কখনোই হবেনা!
———————————————
রশিদ হারুন
২৮/০৪/২০২০
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬