শাহেদ এখনো জেগে আছিস নাকি?
চাকরিটা আছে না গেছে?
তোদের ফ্যাক্টরি এখনো চলে না বন্ধ?
তোকে টেনে তোলার কেউ নেই এই সংসারে!
বউ বাচ্চা নিয়ে কোথায় দাঁড়াবি,
কী খাবি, কী পরবি?
তোর কথা কেউ ভাবে না
ঘনঘন বুকের গরম দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে
লাভ নেই,
রাজদরবারের দরজা জানালা সব বন্ধ
তোর দীর্ঘশ্বাসের গরম হাওয়া কখনোই ঢুকবে না।
আজকাল রাজ দরবারের সবাই এসির শীতল হাওয়ায় স্বাধীনতা স্বাধীনতা খেলায় ব্যস্ত,
একদল বিশাল আনন্দে ধারালো চাকু
নিয়ে সংবিধানের বুক খাঁমচে ধরে আছে
অপেক্ষা আর সহ্য হচ্ছে না তাদের
কখন সংবিধানের বুকের রক্তের স্বাদ নিবে।
আরেকদল জাতীয় পতাকার লাল সূর্য কেঁচি দিয়ে কাটছে রান্না করে খাবার জন্য
সূর্য নাকি মানায় না
আনস্মার্ট লাগে
তাই সেখানে উনারা চাঁদ তাঁরা বসাবে
তখন নাকি পতাকা খুব স্মার্ট লাগবে।
অন্য দল বসে আছে জাতীয় সংগীতকে ফাঁসি দেবার জন্য
খুব বেশি ভালোবাসা বাসি এই সংগীতে
পাক পবিত্র কোন শব্দ নেই
বেশি বেশি পাক পাক শব্দ দিয়ে নতুনতর সংগীত হবে জাতীয় সংগীত।
শাহেদ এখনো জেগে আছিস নাকি
সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও
তুই আরেকটু জেগে থাক
নিজের কথা নিজেকেই ভাবতে হবে
সব হবে একদিন
যদি সংবিধান বেঁচে থাকে
এই বাংলাদেশে
যদি লাল সবুজ পতাকা বেঁচে থাকে
যদি বেঁচে থাকে ভালোবাসার জাতীয় সংগীত।
কেউ আসুক বা না আসুক
রাজদরবারে বাহিরে তুই একাই দাঁড়িয়ে থাক বিশ্বস্ত পাহারাদারের মতো,
কোন হারামী যেন তোর সংবিধান, জাতীয় পতাকা আর জাতীয় সংগীত হত্যা করতে না পারে,
বজ্রমুষ্টি আকাশের দিকে তুলে
তোর বুকের সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করে জানান দিস,
‘সংবিধান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত
তোমরা ভয় পেও না,
আমরা এখনো জেগে আছি।”
———————-
রশিদ হারুন
০৫/০৯/২০২৪