somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ "ব্যারিয়ার"

১৯ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অহনা বাসর ঘরে ঢুকে দেখল, খুব সুন্দর করে সাজানো। এখন ১টা বাজে। বিছানায় বসে পড়ল। অনেক ক্লান্ত লাগছে ওর। মিনিটপাঁচেক বাদেই দরজার শব্দ শুনতে পেল। রাজ্যকে ঢুকতে দেখে দৌড়ে রুমের সাথের অ্যাটাচড বাথরুমে ঢুকল। বাথরুমে ঢুকে বসে রইল। ভীষণ ভয় পাচ্ছে। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ নাকি এমন হয়। ‘স্বামী’ নামক প্রাণীটা বাসর রাতেই হামলে পড়ে। অহনা যত গল্পের বই পড়েছে, মুভি দেখেছে, সব জায়গায়... । তাছাড়া অহনা খেয়াল করেছে, আজ পুরোটা সময় লোকটা চোখ পাকিয়ে পাকিয়ে ওকে দেখেছে। আগে কি কখনো পার্লার থেকে সাজা বউ দেখেনি নাকি?
অহনার পানি তৃষ্ণা পেয়েছে, কিন্তু বাথরুম থেকে বের হলেই খপ করে ধরবে। অহনার ‘ছুটির ঘন্টা’র কথা মনে পড়ল, যেখানে বাচ্চা ছেলেটা তেষ্টায় বাথরুমের পানি খেয়েছিল। ভীষণ গরম লাগছে। যে ভারী মেক-আপ আর শাড়ী, তার উপর ৩৬ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর জন্যই সবাই শীতকালে বিয়ে করে। অহনা ভাবল, মেক-আপ তোলা শুর করলেই পারে। কিন্তু এতো ভারী অলংকারগুলো না খুলেই ঢুকে পড়েছে। এগুলো খুলে কৈ রাখবো? নিজের উপর রাগ লাগছে। কতোক্ষন ধরে বসেই আছে। নিজের উপর রাগ লাগছে। অপুর কথা মনে হল। যদি আজ অপুর সাথে বিয়ে হতো, তাহলেও কি অহনা এরকম বাথরুমে বসে থাকতো? কিছুক্ষন দরজায় নক করল রাজ্য। বলল, “বাথরুমে কি ঘুমিয়ে পড়লেন নাকি? কোন সাড়া-শব্দ নেই। ভয়ের কিছু নেই। আপনি বের হন। আমি কিছু করবো না”। কি অদ্ভুত কথা বলে লোকের!
অহনা দরজা খুলে বলল, “অনেক ভারী মেকাপ তো, সময় লাগে”
খেয়াল করল, বেডল্যাম্পের পাশে এক গ্লাস দুধ। অহনা মনে মনে বলল, “বিয়ে না বাংলা সিনেমা!”
রাজ্য অন্যপাশ ফিরে শুয়ে পড়ল। অহনা গহনাগুলো খুলে শাড়ি চেঞ্জ করে আসলো। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখল, ৩টা বাজে।
রাজ্যকে আলতো করে ধাক্কা দিয়ে বলল, “এই যে, শুনছেন? আপনি কি ঘুমিয়ে পড়েছেন?”
“না। শব্দ বা আলোতে আমার ঘুম হয় না। কিছু বলবেন?”
“জ্বী”
“বলুন”
“আমার চুল ছাড়াতে একটু হেল্প করবেন?”
রাজ্য উঠে বসল। দেখল, চুলের মধ্যে হাজারো ক্লিপ। দুজনে মিলেও চুল ছাড়াতে ছাড়াতে ঘন্টাখানেক হয়ে গেল, তাও সফল হল না। রাজ্য বলল, “অলমোস্ট হয়ে গেছে। বাকীটুকু কালকে করলে হয় না?”
“আমার চুল নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার কাছে তেল আছে? তেল থাকলে বেশিক্ষণ লাগবে না”
রাজ্য দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, “আমার মাথায় চুল কম। তেল লাগে না”
অবশেষে ৪টার দিকে ক্লান্ত এবং সফল হলে, রাজ্য বেডল্যাম্প নিভিয়ে দিল। অহনা বলে উঠল, “অন্ধকারে আমার ভয় করে”
রাজ্য হো হো করে হেসে দিল। এই বিকট দানবীয়ে অট্টহাসিতে অহনার গা ছমছম করে উঠল। রাজ্য বলে উঠল, “ভূতের ভয় পান নাকি? চিন্তা করবেন না। আমি আছি পাশে”
অহনা মনে মনে বলল, “সেজন্য তো চিন্তাও বেশি, ভয়ও বেশি”
অহনা অন্যপাশ ফিরে শুয়ে পড়ল। কি অদ্ভুত এই পৃথিবী। ছোটকালে বাবা-মা শেখাতো, অপরিচিত কারো সাথে কথা না বলতে, কোন কিছু না নিতে। এই বড়বেলায় একই বিছানায় অচেনা লোকের সাথে শুতে হবে। অচেনা মানুষটি যদি স্পর্শও করে, সেটাও মেনে নিতে হবে। আজব দুনিয়া! অহনার ঘুম আসছে না। ও মোবাইলটা হাতে নিয়ে Candy Crush ওপেন করে মনোযোগ দিয়ে খেলতে লাগলো। হঠাত লোকটা পাশ ফিরে বলল, “Candy Crush খেলছেন?”
অহনা আঁতকে উঠল। হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে গেল। বলল, “আপনি ঘুমুন নি?”
“এতোটুকু আলো থাকলেও আমার ঘুম হয় না”
“ও”। অহনা ভীষণ বিরক্ত। সেলফোনও ধরতে পারবে না রাতে! কি বিপদ!
অহনা ফোন রেখে চোখ বন্ধ করে ভেড়া গুণতে লাগলো। ভেড়া গুনলে নাকি ঘুম চলে আসে। কিছুক্ষণ পর লোকটার নাকডাকার শব্দ পেল। কি বিরক্তিকর! এমন মোষের সাথে কেউ ঘুমোতে পারে?
কিছুক্ষণ বাদেই হাল্কা ঘুমঘুম পেল। হঠাত পিঠে আঙুলের স্পর্শে শরীরে যেন ইলেক্ট্রিসিটি খেলে গেল। কেঁপে উঠল অহনা। বসে পড়ল, বেডল্যাম্প জ্বালালো। পাশে তাকিয়ে দেখলো, রাজ্য কচলাচ্ছে। রাজ্য বলল, “কি হয়েছে? লাইট জ্বালিয়েছেন কেন? আরে। এখানে ভূত নেই। ঘুমুন তো”
“ভূত না, আপনি”
“আমি?”
“হুম”
“কি করেছি? লাত্থি মেরেছি নাকি? পাশাপাশি থাকলে লাত্থি লাগতেও পারে। ঘুমুন তো। ঘুম না আসলে, ড্রয়ারে ঘুমের ওষুধ আছে। খেয়ে ঘুমোন”
অহনার টেডিবিয়ারের কথা মনে পড়ছে। তুলতুলে টেডিবিয়ারকে জড়িয়ে ঘুমোতে পারলে এমনিই ঘুম চলে আসতো। টেডিবিয়ারটা মাঝখানে থাকলে ভয়ও করতো না। অহনা ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়ল।


ঘুম থেকে উঠে দেখে লোকটা ঘরে নেই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চোখ চড়কগাছ। বেলা হয়ে গেছে, সাড়ে বারোটা। ফ্রেশ হয়ে বের হতেই বয়স্ক লোকজন গা টেপাটেপি করে হাসতে লাগলো। দাদী বয়সী এক বয়স্কা বলল, “কী গো ছুড়ি, নাতি ঘুমোতে দেই নি নাকি?”
কোন দুঃখে যে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল? লোকটাই বা কেমন? নিজের বউকে পুরো ঘরের লকজনের সামনে এমন নাজেহাল করল। সকাল-সকাল ডাকলে কি হত? লজ্জায় মিশে যাচ্ছে। বিয়ের একদিনও হয় নি, এখনি অসহ্য লাগছে লোকটাকে।
আরেক বুড়ি বলল, “নাতিকে খুঁজছো, নাতবৌ? ও ঘরে যাও”।
অহনা সেই ঘরে যেতেই আগের বুড়ি “এটুকু বিচ্ছেদ সইছে না...” বলে হাসাহাসি করতে লাগল। অহনা ভাবতে লাগলো, ছিঃ , কি ভাবছে উনারা।
পাশের ঘরে গিয়ে দেখল, লোকটা খাচ্ছে খবরের কাগজ হাতে নিয়ে। অহনার শাশুড়ি বলল, “তুমিও খেয়ে নাও”।
অহনা লোকটার পাশে বসল। নিচুস্বরে বলল, “আপনি আমাকে ডাকেন নি কেন?”
“আপনি ঘুমুচ্ছিলেন তাই?”
“ঘুমুচ্ছিলাম দেখেই কি আপনার ডাকা উচিত ছিল না?”
“ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন ৫টায়। ৬ ঘন্টার আগে আপনি চাইলেও উঠতে পারতেন না”
“আপনিই তো খেতে বলেছিলেন”
“হুম, বলেছিলাম। কারণ, আপনি ঘুমুতে পারছিলেন না”
“ইশ, সবাই কি ভাবছে!”
“কি ভাবছে? যেটা ভাবা স্বাভাবিক সেটাই ভাবছে। নতুন নতুন বিয়ে হলে ঘুম থেকে দেরীতে উঠবে- এটাই তো নরমাল” কি রকম অদ্ভুত সব কথা বলছে লোকটা। ইচ্ছে করছে, জগের পানি পুরোটা ব্যাটার মাথায় ঢেলে দিতে।
অহনা বলল, “আপনার জন্য এমন হল”
“কেমন?” নির্বিকারভাবে জিজ্ঞেস করল।
“কিরকম বেহায়া বেসরম ভাবছে আমাকে!”
“তো আপনি কি চান, আপনাকে সন্ন্যাসিনী ভাবুক?” অহনা অবাক দৃষ্টিতে তাকালো রাজ্যর দিকে। এমন সময় দুই বুড়ি ঘরে ঢুকল। বলল, “ কি বউ, চোখই সরছে না আমার নাতির উপর থেকে?”
লোকটা বলে উঠল, “সরবে কেন দাদী? আমি কি মিশা সওদাগর না ডিপজল?” এবার অহনা হেসে দিল। লোকটা আস্তে করে বলল, “যাক, বাবা। একটু হেসেছেন। কাল রাতে আমার নিজেকে মিশা সওদাগরই মনে হচ্ছিল”
অহনার মনে হল, লোকটাকে সে সহ্য করতে পারবে। পরের দিন রাতে অহনা আবার বাথরুমের দিকে এগিয়ে গেলে রাজ্য বলে ওঠে, “দেখুন, রাতে আমারো বাথরুম পেতে পারে। বাথরুমে গিয়ে প্লিয বসে থাকবেন না”
অহনা ভীষণ বিব্রত হল। তবে স্বস্তিবোধ করল। দিনকতক যেতেই অহনা বিশাল সাইজের টেডিবিয়ার নিয়ে আসল। শাশুড়ি টেডিবিয়ার দেখে টাস্কি খেলেন। বললেন, “মা, তুমি টেডিবিয়ার দিয়ে কি করবে? এতো বাচ্চাদের খেলনা”। অহনা হাসল, কিছু বলল না।
রাজ্য টেডিবিয়ারকে দেখে ভালোই বুঝতে পারলো কেন এনেছে এটা অহনা। রাতে বিছানায় অহনা ও রাজ্যের মাঝখানে জায়গা হল টেডির। বিছানার অর্ধেকের বেশি জায়গা নিয়ে আছে টেডিটা। আগে পুরো বিছানাটা ছিল শুধু রাজ্যের, বিয়ের পর জায়গার অর্ধেক শেয়ার হল। এখন রাজ্যর মনে হচ্ছে, কোন রকমে বিছানায় ঝুলে আছে আছে সে।
অহনা রাজ্যকে বলল, “তুলতুলে টেডি ছাড়া আমি ঘুমোতে পারি না। আপনার অসুবিধে হচ্ছে না তো?”
রাজ্য উত্তর দিল, “না না”। মনে মনে বলল, “তা আর বলতে! বিছানা থেকে রাতে আমি পড়ে না গেলেই হল” রাজ্যর ফোন বেজে উঠল। ফোনটা হাতে নিয়ে বারান্দার দিকে গেল। অহনার মনে হল, এতো রাতে ফোন! পুরাতন সেই প্রেমিকা নাকি? মিনিটবাদেই পা টিপেটিপে বারান্দার কাছে দাঁড়িয়ে শোনার চেষ্টা করতে লাগল। অহনার আড়িপাতার স্বভাব নেই, কিন্তু নিজের এহেন কাণ্ডে কিছুটা অবাক হলেও আড়িপাতাতে মনোনিবেশ করল।
রাজ্য বলছে, “আমার আবার বাসর! সেই বাসর রাতের আবার বিড়াল! বিড়াল আর মারবো কি? বউ তো বিয়ার নিয়ে দিয়ে ব্যারিকেড বানিয়েছে। আমার বিবাহিত জীবন নিয়ে যদি কোন সিনেমা হয়, নাম কি হবে জানিস? বর, বউ ও বিয়ার। নয়ত বিয়ার দ্যা ব্যারিয়ার। বিয়ারটাই বিছানার অর্ধেক জায়গা দখল করে আছে। রাতে বউ ও বিয়ার বিছানা থেকে ফেলে না দিলেই আপাতত সুখী আমি। রাখছি”
অহনাও পা টিপেটিপে দৌড়ে গেল বিছানার দিকে। বিয়ারকে জড়িয়ে ঘুমানোর ভান করল। ভাবতে লাগল, “Am I being really weird wife?”
টেডিবিয়ারের জায়গাটা দিনদিন বিছানায় আরো পাকাপোক্ত হচ্ছে। রাজ্যের ইদানীং ইচ্ছা করে, টেডিবিয়ারটাকে ছিঁড়ে কুটিকুটি করতে। বাসার সবাই হানিমুন নিয়ে আলোচনা করছে কয়েকদিন ধরে। রাজ্য ভাবে, এই বউ তো হানিমুনেও বিয়ার নিয়ে যাবে। সে হানিমুন যাবার ব্যাপারে সেরকম আগ্রহও দেখায় না। সপ্তাহখানেকবাদে ঢাকার কাজে বাইরে যেতে হয় রাজ্যকে। অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় অহনাকে ফোনও করা হয় না। কি ভাবছে কে জানে? অহনাও ভীষণ অবাক। অহনা ভাবতে লাগল, ‘আমি নতুন বউ। একটাবার ফোনও দিল না লোকটা। ফেসবুকে তো লগিন ঠিকই করেছে’। লোকটার ফেসবুক প্রফাইলে গিয়ে দেখল ‘Brokeback Mountain’ মুভিতে লাইক দেয়া। অহনার চোখ চড়কগাছ।
অহনার বেস্ট ফ্রেন্ড সেদিন অহনাকে বলছিল, “এমন সংযমী সন্ন্যাসী স্বামী-স্ত্রী হয়ও নাকি? এই, তোর জামাই সুস্থ তো? কোন প্রব্লেম নেই তো? পুরুষলোক এমন হয় নাকি?”
অহনা ধমক দিয়ে বলেছিল, “কি বলিস উল্টা-পাল্টা?”
“হুম। উল্টা-পাল্টাই যেন হয়। মহাপুরুষকে পেয়েছো জামাই হিসেবে”
ভীষণ টেনশন হতে লাগল অহনার। নিজেই ফোন দিয়ে রাজ্যর খোঁজখবর নিতে লাগল। রাজ্য ভীষণ অবাক হলেও খুশি হল। অবশেষে স্ত্রীর মতি হয়েছে। কাছের মানুষ একটু দূরে গেলেই বোধহয় ভালবাসা অনুভূত হয়। এজন্যই হয়ত Honore Gabriel Riqueti বলেছেন, “Short absence quickens love; long absence kills it.”
রাজ্য যেদিন ফিরে আসল, সেদিন রাতে ঘুমানোর সময় খেয়াল করল বিয়ারটি বিছানায় নেই। বিয়ারটার জায়গা হয়েছে ঘরের একটা কোণে। বিয়ারেরে সেই যে পদোবনতি হল, কালেভদ্রে হয়ত তার সাময়িক পদোন্নতি হয় যখন অহনা-রাজ্যর মনোমালিন্য হয়। বিয়ার যে তার জায়গা চিরকালের জন্য হারিয়েছে... আহা!


[বিঃ দ্রঃ সেরকম চিন্তা করে লেখা নয়। গল্পটি প্রকাশ করার বিশেষ ইচ্ছে ছিল না। তবে গল্পটি পড়ার পর আমার প্রিয় এক আপু এই গল্পটি আমার দুলাভাইকে দিয়ে পড়ানোর বিশেষ ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল। তাই প্রকাশ করা... ]
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×