ছবিতে কপি রাইট আছে।
প্রতিটি সফল মানুষের পেছনে একজন সাপোর্ট দেয়ার মানুষ দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে থাকে। এই দেয়াল অধিকাংশের ক্ষেত্রে মা-বাব এবং প্রেমিক প্রেমিকা। দুঃখী মানুষ কে কেউ পছন্দ করেনা। তাদের দুঃখের কথা শোনার মত মানুষ খুব কম। ফুটফাটে অনেক মেয়ে আছে যারা ঐশ্বর্য দীপিকার চেয়েও সুন্দর। সুযোগের অভাবে দারিদ্র্যতার নির্মম আঘাতে তাদের দীপিকা বা ঐশ্বর্য হয়ে উঠা হয়না। ঐশ্বর্য কে হারাতে কতোটা লড়াই করতে হয়েছিল তা একমাত্র সুস্মিতা আর সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। ফুটফাটের সুন্দর একটা মেয়ে উঠিয়ে নিয়ে পরিচর্যা কেউ করেনা, সবাই ঐশ্বর্যদের পেছনে ছুটে। উপযুক্ত নার্সিং , আর্থিক সহযোগিতা , অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনার অভাবে কত মেধাবী বিকশিত হয়না তার হিসেব নেই।
শুধু মাত্র সুযোগের অভাবে ও দারিদ্র্যতার কারণে কতজন রাস্তাঘাটে জীবন পার করে দিচ্ছে তার হিসেব সত্যি কারো কাছে নেই। পড়ালেখা না করা ক্রিয়েটিভ মেয়েটির মেধা থাকতে পারে প্রতিভা থাকতে পারে তা কেউ বুঝতে চায় না। আমার উস্তাদ চাদগাজী স্যার বলেছেন খালেদা জিয়া পড়ালেখা করেন নি তাও দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। অন্য দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে ৯ টি উচ্চতর ডিগ্রী।
শুধু মাত্র সুযোগ থাকার কারণে খালেদাজিয়া ৩ বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন অথচ আমাদের বি এন পি ব্লগাররা খালেদা জিয়ার চেয়েও বেশী মেধাবী।
বলিউডের মিস ইউনিভার্স তথা বাঙালি কন্যা সুস্মিতা সেন প্রথম ভারতকে এনে দিয়েছিল মিস ইন্ডিয়া এবং মিস ইউনিভার্সের খেতাব। সালটা ১৯৯৪। সেই বছরই রানার্স আপ হয়ে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতেছিলেন আরও এক বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই । তবে জানেন কি মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। কারণ ঐশ্বর্য রাই । বলিউড সুন্দরী ঐশ্বর্যের নাম শুনেই নাকি নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন সুস্মিতা। কেন এমনটা করেছিলেন অভিনেত্রী, প্রকাশ্যে এল সত্য। মিস ইন্ডিয়া ও মিস ইউনিভার্সের মুকুট উঠেছিল বাঙালি কন্যা সুস্মিতা সেনের মাথায়।কিন্তু সেই খেতাবের পিছনে রয়েছে বিশাল এক ইতিহাস যা অনেকেরই অজানা।মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় প্রথমে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। কারণটা নাকি ঐশ্বর্য রাই । সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা জানিয়েছিলেন, ১৯৯৪ সালে ঐশ্বর্য একজন স্বনামধন্য মডেল। সুন্দরী হওয়ার জন্য তার বেশ নামডাকও ছিল।
মিস ইন্ডিয়া' প্রতিযোগিতায় নিজের নাম লেখাতে গিয়েই সুস্মিতা জানতে পারেন ওই প্রতিযোগিতায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চন অংশগ্রহণ করেছেন। এবং তাকে এও জানানো হয় এই প্রতিযোগিতা থেকে আরও ২৫ জন মডেল নিজেদের নাম সরিয়ে নিয়েছেন। ঐশ্বর্য থাকলে কেউ জিততে পারবে না। তেমনটা ভেবেই সকলে নিজের নাম সরিয়ে নেন। সুস্মিতাকে এক কর্মী বলেন ,ফর্ম জমা দেওয়ার আগে ভেবে নিন। ঐশ্বর্য রাই অংশগ্রহণ করছেন। সেই কথা শুনেই সুস্মিতা সঙ্গে সঙ্গেই ফর্ম ফেরত নিয়ে নেন।
সুস্মিতা আরও জানিয়েছেন, বাড়ি গিয়ে সেই কথা মাকে বলতেই খুব বকা খেয়েছিলেন সুস্মিকা। মা-ই তাকে বলেছিলেন চেষ্টা না করেই হাল ছেড়ে দিলে তুমি। এশ যখন জিতবে তাহলে তার কাছে হারতে অসুবিধা কোথায়।মায়ের কথা শুনেই মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন সুস্মিতা। এবং বাঙালি কন্যা সুস্মিতা সেন প্রথম ভারতকে এনে দিয়েছিল মিস ইন্ডিয়ার খেতাব।সেই বছরই রানার্স আপ হয়ে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতেছিলেন আরও এক বলি অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই । পরবর্তীকালে ঐশ্বর্যকে নিজেই এই গল্পটি বলেছিলেন সুস্মিতা সেন।
আমাদের তরুনদের নিরপেক্ষ ভাবে সুযোগ সহযোগিতা আর্থিক সাপোর্ট ও অনুপ্রেরণা দিন । এরা একদিন বাংলাদেশ কে আমেরিকা না বানালেও অন্তত সিঙ্গাপুর বানাবে।
তথ্য সূত্র
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৩৩