হিরু আলমের মুচলেকা নেয়া উচিৎ হয়েছে কি হয়নাই তা আমি জানিনা। তবে এতোটুকু নিশ্চিত গান গাওয়ার নামে হিরু আলমের কিছু স্টুপিডিটিজ দৃষ্টিকটু ছিল। কদিন আগেও সবাই ওরে গাইলাত। এখন মুচলেকা নেয়ায় সবাই হিরু আলমের পক্ষে কথা বলছে। একটা কিছু ঘটলে পক্ষে বিপক্ষে অনেকে অনেক তর্ক বিতর্ক করেন। আজকের ইস্যু হিরু আলম।অন্য ইস্যু আসা পর্যন্ত এটা নিয়ে অনলাইন গরম থাকবে। তবে আমার হাসি পায় যখন যারা প্রচন্ড রকমের রবীন্দ্র বিদ্বেষী, জাতীয় সংগীত পর্যন্ত পরিবর্তন করে দিতে চায়, তারাও হিরু আলম রবীন্দ্র সংগীত গাইতে পারবেনা জন্য মায়া কান্না করসে।
উহারা তাহাদের আদর্শের বা পছন্দের সাথে যায়না ওরকম সবকিছুতে আপত্তি জানায়। যেমনঃ বাঙালী নারীরা শাড়ীতে অনন্যা। শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে কানের দূল,স্লিভলেস ব্লাউজ, পরিপাটি চুল,হাত ভর্তি কাচের চুড়িতে সত্যি দেখতে অতুলনীয় লাগে। অথচ তাহাদের এটা ভিষণ অপছন্দ।তাহারা নারীদের বোরকা পড়িয়ে,গৃহবন্দী করে রাখতে চায়। বোরখা না পরলে নষ্টা বলে অপমান করে।বোরখা পড়া হিংসুক নিন্দুক নোংরামো করা মেয়েটি তাদের কাছে দেবী। অথচ শুধু দেহের পর্দা করেনা বলে, শাড়ি পড়ে পহেলা বৈশাকে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া মেয়েটি খারাপ মেয়ে।
সারা জীবন গান ঘৃণা করা কাঠমোল্লারা শুধু মুচলেকা নিয়েছে বলে লোক দেখানো মায়া কান্নায় নেট দুনিয়া তোলপাড় করছে। এই এরাই সুন্দর করে সেজেগুজে মঙ্গল শুভ যাত্রায় অংশগ্রহণ করা মুসলিম মেয়েটাকেও ভিত্তিহীন ভাবে নাস্তিক হিন্দু ভারতীয় অপবাদ দিচ্ছে। সারাজীবন বলছে গান হারাম। এখন একজনকে গান গাওয়ার অপরাধে মুচলেকা দিতে হয়েছে বলে নেট দুনিয়ায় হাউকাউ করসে। কারণ তার মুচলেকা রাষ্ট্রীয় ডিবি নিয়েছে।অথচ এই এরাই কিছুদিন আগে গান গাওয়ার অপরাধে এক শিল্পীকে জেলে দেয়ায় পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠেছিল।
এই কাঠ মোল্লারা শাড়ি পড়ে কোন সুন্দরী মেয়ে ধর্ষিতা হলে বলে শাড়ির দোষ, মাদ্রাসায় এতিম শিশু বলৎকার নিয়ে নির্লজ্জ নিশ্চুপ থাকে।এরাই ধর্ষক।
হিরু আলমের জন্য প্রতিবাদে মুখর অনেকেই। কিন্তু যারা গান ঘৃণা করে তাদের প্রতিবাদ আসলে ফেক।
ভিডিও দেখুন আমার বানানো শাড়ি শ্যুট এর সিনেমাটোগ্রাফির অংশবিশেষ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩০