
গতকাল চট্টগ্রামের পলো-গ্রাউন্ডে বিম্পির সমাবেশ ছিল। সমাবেশ এর অনুমতি মিলবে কিনা বন্ধ হবে কিনা সমাবেশের দিন সকালেও কনফিউজড ছিল বিম্পির নেতা কর্মীরা।পুরা বাংলাদেশের নেতা কর্মীরা জড়ো হয়েছিল চট্টগ্রামে।এতো জন সমাগম এর অনেক দিন চট্টগ্রামে দেখা যায়নি। এর আগে পাকিস্তানি তাহেরি না কি একটা একটা আছেন ঐটা মিলাদুন্নবী সেলিব্রেশেনের নামে চাটগাতে আসলে এতো বেশি পরিমাণ লোক সমাগম জুলুসে হইসে যে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেসে। বিম্পির সমাবেশ উপলক্ষে পলো-গ্রাউন্ড ও চারপাশ মানুষে কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা কম ছিলোনা। মিছিল মিটিং করার অধিকার সবার আছে। এগুলোতে হস্তক্ষেপ করা অনধিকার চর্চা ও লজ্জাজনক কাজ।
তবে যেটা খারাপ লাগলো সেটা হলও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতা-বিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ছেলে হাম্মাম বলছেন - ‘এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বলে দিতে চাই, ক্ষমতা ছাড়ার পর একা বাড়িতে যেতে পারবেন না। প্রত্যেকটা শহীদের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করব।’ অর্থাৎ কুখ্যাত রাজাকাররা নাকি শহীদ। গোলাম আজম , কাদের মোল্লা মীর কাশেম ওরা শহীদ ! বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে হুম্মাম বলেন, ‘যাওয়ার আগে বাবার স্লোগান আপনাদের বলে যেতে চাই। নারায়ে তকবির, নারায়ে তকবির, নারায়ে তকবির। আমরা যখন আবার এই ময়দানে আসব, সরকার গঠন করে আসব।’
সবাই জানে জামার শিবির ও হেফাজত সমাবেশে মিছিলে নারায়ে তাকবীর স্লোগান দেয়। সুন্নিরা নারায়ে তাকবীর - আল্লাহু আকবর , নারায়ে রেসালত - ইয়া রসুলুল্লাহ বলে। হাম্মাম কি বুঝালো ? বিম্পি জামাত হয়ে গেসে? বিম্পি ক্ষমতায় গেলে রাজাকার এর ফাঁসির প্রতিশোধ নিবে? হাম্মাম কি বিম্পিকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড় করালোনা? হুম্মাম যখন ‘নারায়ে তকবির’ বলে তিনবার স্লোগান দেন, তখন সমাবেশ-স্থলে উপস্থিতি বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘আল্লাহু আকবর’ বলে ধ্বনি দেন।
আবারও পরিষ্কার হলও - একবার রাজাকার মানে চিরকাল রাজাকার কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা মানে চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নয়। যদি আল্লাহকে ভালোবেসে কেউ আল্লাহু আঁকবার স্লোগান দেয় তখন আমার কিছু বলার নাই কারণ কে আল্লাহ কে ভালবাসবে আর কে বাসবেনা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু যখন বিম্পি রাজাকার দের সাথে নিয়ে একটি সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ কে সাথে নিয়ে রাজাকারের ফাঁসির প্রতিশোধ নেয়ার জন্য - নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আঁকবার কে পুঁজি করে তখন বিষয়টা নিন্দা ও লজ্জার।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




