
ফটোগ্রাফিকে যখন কেউ প্রফেশন হিসেবে গ্রহণ করে তখন তাকে প্রতিদিন বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়।জীবন যেন একটি নাটকের মঞ্চ। আর সে মঞ্চে অবিরাম অভিনয় করে চলছে পৃথিবীর সকল প্রাণী। কি নিখুঁত আর বাস্তিবিক সে অভিনয়। অবচেতন মনের কল্পনা থেকে কিংবা জীবন থেকে লিখিত হয় এক একটা গল্প।আর এই গল্পগুলোই মূলত নাটক হয়ে মঞ্চস্থ হয়। ছবি/ভিডিও হিসেবে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্ধী হয়ে স্থির চিত্রে রূপান্তরিত হয়। যার অভিনয় যত জীবন্ত হয় তার অভিনয়ে দর্শক তত বেশী মুগ্ধতা অনুভব করে।নীচে একটা ভিডিও দেয়া আছে দেখবেন মাস্ট।একজন মেয়ে ইয়াং ট্যালেন্ট নিজে গিটার বাজিয়ে আর্টসেলের 'দুঃখ বিলাস' গানটি করছে।ভিডিওটিতে দেখবেন - একজন শিল্পী যখন তার শিল্পের মধ্যে ডুবে যায় তখন তাকে অসাধারণ লাগে। ফেক সব কিছুই বিশ্রী। আর যা কিছু ফেক না তা খুবই সুন্দর।
বিয়ের অনুষ্ঠানে যারা ফটোগ্রাফি করে তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে ছবি তুলার সময় পাত্রপাত্রীর এক্সপ্রেশন দেখে অনুমান করতে পারে দম্পতি একে অপরকে পেয়ে খুশী নাকি বেজার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেটা হয় তা হলো একজন খুশী থাকে আরেকজন অখুশী। অখুশীর কারণ হলো জীবন সঙ্গী মন মতো হয়নি। পৃথিবীতে বিশেষ করে বাংলাদেশের অধিকাংশ ছেলের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় অর্থনৈতিক স্বচ্চলতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে। মেয়েদের যোগ্যতা নির্ধারিত হয় সৌন্দর্য দিয়ে। অথচ যোগ্যতা নির্ধারিত হওয়া উচিৎ কে কাকে কতটুকু ভালোবাসে তা দিয়ে।
একটি মেয়ে একটি ছেলেকে খুব ভালোবাসে, মেয়েটিও ছেলেটিকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু মেয়েটির পরিবার ছেলেটি ভালো চাকরি না করলে অযোগ্য বলে বিবেচনা করে। আমার মতে এটা মূর্খতা। টাকা ওয়ালা জামাই হলেই মেয়েরা যদি সুখী হতো তাহলে এতোগুলা ডিভোর্স প্রতিদিন হতোনা।,প্রেম করে বিয়ে করা হারাম ফতুয়া দেয়া মৌ-লোভীরা আমাদের রক্ষণশীল মা-বাবাদের ব্রেনে ঢুকিয়ে দিয়েছে প্রেম হারাম। প্রেম করে বিয়ে করলেই অসুখী হবে। অথচ খেয়াল করে দেখবেন - বর্তমানে এরেঞ্জ ম্যারেজ গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারষ্পরিক ও মানসিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং না থাকার ফলে সংসার গুলো ঠিকছেনা। সুখী হচ্ছে না। ফলে ডিভোর্স, লিভ ইন, ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট এধরনের সম্পর্ক গুলো বেড়ে যাচ্ছে।
যেখানে একটি ছেলে একটি মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করার পরও কতো ভুল বুঝাবুঝি হয়, সেখানে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষের সাথে এডজাস্ট করা সত্যি ডিফিকাল্ট। অধিকাংশ ছেলে তার স্ত্রী থাকার পরও অন্য নারীর প্রতি ঝুঁকে আবার অনেক নারীকেও পরকীয়ায় লিপ্ত হতে দেখা যায়।কারণ একটাই একজন আরেকজনকে বিয়ে করে সুখী না।
একটা জিনিস আমি দীর্ঘদিন ধরে বুঝে ওঠতে পারছিনা, ইসলাম সামর্থ্যবান পুরুষদের চার বিবাহের অনুমতি দিয়েছে, অর্থাৎ একজন পুরুষ চারজন স্ত্রীকে একই বাড়িতে রাখতে পারবে তবে হালাল ভাবে বিয়ে করে। একজন নারী চারজন স্বামীর সাথে কখনোই ঘর করতে পারবেনা কেন?
মামুনুল হকরা প্রথম স্ত্রীর কাছে গোপন করে অন্য নারীকে বিয়ে করে সোনারগাওয়ে রাত কাটালে কিছুই বলেনা এদেশীয় মৌলবাদী ও তাদের দোসররা। কোরানের কোথায় আছে প্রথম স্ত্রীর কাছে গোপন করে তাকে ঠকিয়ে অন্য নারীকে বিয়ে করা যাবে?আসলেই কি আছে? আমার জানা নেই। এই বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ ও জ্ঞান রাখেন প্লিজ আমাকে একটু পরিপূর্ণ ধারণা দিন।একটি মেয়ে মামুনুলদের মতো প্রতারক ধর্ষক স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরকীয়া করলে তাকে পতিতা জাহান্নামি ফতোয়া দেয়া হবে সাথে সাথে। তাহলে মামুনুল হকরা কী?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




