somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ গোফরান
জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

ইসলামি ব্লগারদের কাছে এই বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা চাই। জানা থাকলে গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক উত্তর দিন।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
*** কোন বলদ মগজহীন পোস্ট অটো রিফ্রেশ দিচ্ছে।***


ফটোগ্রাফিকে যখন কেউ প্রফেশন হিসেবে গ্রহণ করে তখন তাকে প্রতিদিন বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়।জীবন যেন একটি নাটকের মঞ্চ। আর সে মঞ্চে অবিরাম অভিনয় করে চলছে পৃথিবীর সকল প্রাণী। কি নিখুঁত আর বাস্তিবিক সে অভিনয়। অবচেতন মনের কল্পনা থেকে কিংবা জীবন থেকে লিখিত হয় এক একটা গল্প।আর এই গল্পগুলোই মূলত নাটক হয়ে মঞ্চস্থ হয়। ছবি/ভিডিও হিসেবে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্ধী হয়ে স্থির চিত্রে রূপান্তরিত হয়। যার অভিনয় যত জীবন্ত হয় তার অভিনয়ে দর্শক তত বেশী মুগ্ধতা অনুভব করে।নীচে একটা ভিডিও দেয়া আছে দেখবেন মাস্ট।একজন মেয়ে ইয়াং ট্যালেন্ট নিজে গিটার বাজিয়ে আর্টসেলের 'দুঃখ বিলাস' গানটি করছে।ভিডিওটিতে দেখবেন - একজন শিল্পী যখন তার শিল্পের মধ্যে ডুবে যায় তখন তাকে অসাধারণ লাগে। ফেক সব কিছুই বিশ্রী। আর যা কিছু ফেক না তা খুবই সুন্দর।

বিয়ের অনুষ্ঠানে যারা ফটোগ্রাফি করে তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে ছবি তুলার সময় পাত্রপাত্রীর এক্সপ্রেশন দেখে অনুমান করতে পারে দম্পতি একে অপরকে পেয়ে খুশী নাকি বেজার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেটা হয় তা হলো একজন খুশী থাকে আরেকজন অখুশী। অখুশীর কারণ হলো জীবন সঙ্গী মন মতো হয়নি। পৃথিবীতে বিশেষ করে বাংলাদেশের অধিকাংশ ছেলের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় অর্থনৈতিক স্বচ্চলতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে। মেয়েদের যোগ্যতা নির্ধারিত হয় সৌন্দর্য দিয়ে। অথচ যোগ্যতা নির্ধারিত হওয়া উচিৎ কে কাকে কতটুকু ভালোবাসে তা দিয়ে।

একটি মেয়ে একটি ছেলেকে খুব ভালোবাসে, মেয়েটিও ছেলেটিকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু মেয়েটির পরিবার ছেলেটি ভালো চাকরি না করলে অযোগ্য বলে বিবেচনা করে। আমার মতে এটা মূর্খতা। টাকা ওয়ালা জামাই হলেই মেয়েরা যদি সুখী হতো তাহলে এতোগুলা ডিভোর্স প্রতিদিন হতোনা।,প্রেম করে বিয়ে করা হারাম ফতুয়া দেয়া মৌ-লোভীরা আমাদের রক্ষণশীল মা-বাবাদের ব্রেনে ঢুকিয়ে দিয়েছে প্রেম হারাম। প্রেম করে বিয়ে করলেই অসুখী হবে। অথচ খেয়াল করে দেখবেন - বর্তমানে এরেঞ্জ ম্যারেজ গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারষ্পরিক ও মানসিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং না থাকার ফলে সংসার গুলো ঠিকছেনা। সুখী হচ্ছে না। ফলে ডিভোর্স, লিভ ইন, ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট এধরনের সম্পর্ক গুলো বেড়ে যাচ্ছে।

যেখানে একটি ছেলে একটি মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করার পরও কতো ভুল বুঝাবুঝি হয়, সেখানে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষের সাথে এডজাস্ট করা সত্যি ডিফিকাল্ট। অধিকাংশ ছেলে তার স্ত্রী থাকার পরও অন্য নারীর প্রতি ঝুঁকে আবার অনেক নারীকেও পরকীয়ায় লিপ্ত হতে দেখা যায়।কারণ একটাই একজন আরেকজনকে বিয়ে করে সুখী না।

একটা জিনিস আমি দীর্ঘদিন ধরে বুঝে ওঠতে পারছিনা, ইসলাম সামর্থ্যবান পুরুষদের চার বিবাহের অনুমতি দিয়েছে, অর্থাৎ একজন পুরুষ চারজন স্ত্রীকে একই বাড়িতে রাখতে পারবে তবে হালাল ভাবে বিয়ে করে। একজন নারী চারজন স্বামীর সাথে কখনোই ঘর করতে পারবেনা কেন?

মামুনুল হকরা প্রথম স্ত্রীর কাছে গোপন করে অন্য নারীকে বিয়ে করে সোনারগাওয়ে রাত কাটালে কিছুই বলেনা এদেশীয় মৌলবাদী ও তাদের দোসররা। কোরানের কোথায় আছে প্রথম স্ত্রীর কাছে গোপন করে তাকে ঠকিয়ে অন্য নারীকে বিয়ে করা যাবে?আসলেই কি আছে? আমার জানা নেই। এই বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ ও জ্ঞান রাখেন প্লিজ আমাকে একটু পরিপূর্ণ ধারণা দিন।একটি মেয়ে মামুনুলদের মতো প্রতারক ধর্ষক স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরকীয়া করলে তাকে পতিতা জাহান্নামি ফতোয়া দেয়া হবে সাথে সাথে। তাহলে মামুনুল হকরা কী?

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৩
২৮টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৭৩

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪



গত কয়েকদিন আমি চিনি ছাড়া চা খাচ্ছি।
সারাদিনে মাত্র দুই কাপ চা। আগে চা খেতাম কমপক্ষে ৮ থেকে দশ কাপ। সবচেয়ে বড় কথা চা যেমন-তেমন, সিগারেট খাচ্ছি না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান ও চীন কি ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধ বাধাতে চায়?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১



ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধে পাকিস্তান ও চীনের লাভ আছে। যুদ্ধে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হলে ভারত বিরোধীতায় তারা সহজে বাংলাদেশীদের তাদের পাশে পাবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার অযুহাতে এখানে তারা সামরিক ঘাটি স্থাপনের সুবিধার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রচুর ব্লগিং করুন, কিন্তু......

লিখেছেন জটিল ভাই, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৯

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে ছিল শিবির, এখন শিবিরের লুঙ্গির নিচে ঘাপটি মেরে আছে গায়ে বোমা বাঁধা সশস্ত্র জঙ্গিরা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫


"তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ: চোখে যা দেখেছো, কানে যা শুনেছো, সেগুলো সঠিক নয়, সেসব ভুলে যাও।" - জর্জ অরওয়েল

অনেকদিন ধরে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এতদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×