প্রথমে ছোট্ট আয়াতকে অমানবিক ভাবে অপহরণ করা হয়। তারপর তার ছোট্ট গলাটাকে চেপে ধরা হয়। বেঁচে থাকার তীব্র আর্তনাদ একটুকুও মায়ার জন্ম দেয়নি পাষান কুকুরের বাচ্চাটির হৃদয়ে। (আমি দু:খিত কুকুরকে অপমানিত করার জন্য কুকুর এই কাজ করবেনা, শুধু উদাহরণ টানতে এই বিশ্বস্থ প্রাণীকে আনা হয়েছে।)প্রচণ্ড যন্ত্রণার কাতরাতে থাকে আয়াত। তারপর তাকে শ্বাসরোদ্ধ করা হয়।তারপর তাকে হত্যা করা হয়।শুধু এখানে থেমে থাকেনি। কেটে ৬ টুকরা করা হয় আয়াতকে। এখানেই শেষ নয়। নিস্পাপ চেহেরা সম্বলিত ছোট মাথাটিকে কেটে পৃথক করা হয় শরীর থেকে। পৃথককৃত ছোট দেহটিকে মাছের মতো কেটে ৫ টুকরো করা হয়।সর্বশেষ একটি কাটা শরীরের টুকরা একএকটি স্থানে ফেলে দেয়া হয়। সবকটি টুকরো খুঁজে পেতে কয়েকদিন সময় লেগে। অবশেষে সব টুকরো একত্রিত করে কাফরের কাপড়ে বেঁধে সমাধিস্ত করা হয় আয়াতকে।কি নির্মম! কি ভয়ংকর! একবার নিজের সন্তানকে আয়াতের স্থানে কল্পনা করা মাত্র যে কোন মা-বাবা ভয়ে কেপে কেপে ওঠবে।অশ্রুসিক্ত হবে।
গতকাল টিভি নিউজে দেখলাম একটি বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে প্রথমে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ধর্ষণ করে। তারপর হত্যা করে। তারপর ময়লার স্তুপে ফেলে দেয়া হয়। সর্বশেষ পুড়িয়ে দেয়া হয়!এতো লোভ শিশু শরীরের প্রতি। প্রতিবন্ধী শিশুটির পোশাক কিভাবে ধর্ষণের জন্য সিডিউস করেছে ধর্ষকদের!
শোনেছি ছোট্ট শিশুদের সাথে মহান আল্লাহর দূত ফেরেস্তা থাকে। বাচ্চাদের হেফাজতের দায়িত্ব নাকি ফেরেস্তারা নেয়। কোথায় ছিলেন আল্লাহর সম্মানিত দূতরা। জানি হুজুরদের উত্তর হবে ওদের মৃত্যু এভাবে নির্ধারিত, জান্নাতে হুর হবে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসে তাই দুনিয়া থেকে নিয়ে গিয়েছেন হেন তেন ডিসের লেন।
ছবিতে: কুড়িয়ে পাওয়া টুকরো গুলো নিয়ে ছোট আয়াতকে কাফনের কাপড়ে বাঁধা হয়েছে। ছবি ফেসবুক।