ফেসবুকে একটা ভিডিও দেখলাম ঘুম থেকে নামাজের সময় ওঠতে দেরী করায় একটি নিশপাপ ৭/৮ বছরের বাচ্চা ছেলেকে বেধড়ক পেটাচ্ছ শয়তানকে হার মানানো এক জঘন্য কাঠমোল্লা। আমার মেয়েটার বয়স মাত্র ৫ বছর। নিজের মেয়েকে সে নিরপরাধ শিশুটির স্থানে কল্পনা করলাম। আতংকে শিহরিত হলাম। ভয়ে কেঁপে কেঁপে ওঠলাম। কত হাজার হাজার শিশুকে অমানবি ভাবে নির্যাতন করছে কথিত মাদ্রাসা শিক্ষক নামের পশুরা।
আজ পবিত্র রমজানের ১ম রোজা। রমজান আমার খুব প্রিয় একটা মাস। ছোট বেলায় তারাবি পড়ার বাহানায় আমার সমবয়সীদের সাথে মহল্লায় খেলাধুলা করতাম। যত বড় হয়েছি ততো বুঝতে পেরেছি শৈশবের মতো নস্টালজিক মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না।
বিভিন্ন ঝামেলা ও ব্যস্ততায় ব্লগে বেশ কিছুদিন আসা হয়নি। ধরতে গেলে একেবারে অনিয়মিত। আজ ইফতারের আগে এসে প্রথম পাতায় এক কাঠমোল্লার হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা গীবতে পরিপূর্ণ একটি পোস্ট দেখে খারাপ লাগলো। শিশু নির্যাতনকারী এসব ভন্ড হুজুর ও কাঠমোল্লারা আজ শুধু মাদ্রাসা নয় দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় ব্লগেও বেশ একটিভ। রমজান মাস হিংসা বিদ্বেষ ও ঘৃণামুক্ত হওয়ার মাস। এই মাসে নাকি শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। কিন্তু শয়তানের দোসররা তো থেকে যায়। রমজানে শয়তান নিজে নোংরামি করেনা, তার দোসরদের দিয়ে নোংরামো করায়। ঘৃণা বিদ্বেষ পরনিন্দা পরচর্চা গীবতে লিপ্ত করায়।
ধিক্কার জানাই এসব কাঠমোল্লাদের যারা পুরা দেশের ৮৫% মানুষ যখন তাদের রবের সন্তুষ্টির জন্য ১৪ ঘণ্টা না খেয়ে আছে তখন একটি ৭ বছরের নিশপাপ শিশুকে নির্মমভাবে মেরে আহত করে। যে প্ল্যাটফর্মে সাহিত্য মেধা ও জ্ঞানের চর্চা হয় সেখানে গীবত করে কথার ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত করে।
গতবছর রমজানে ইফতারের পরে প্রথম মন্তব্যটি করেছিলাম প্রয়াত ব্লগার নুরু ভাই এর পোস্টে। তিনি জবাব দিয়েছিলেন তারাবি পড়তে যাচ্ছি। এসে মন্তব্যের বিস্তারিত জবাব দিব। এই বছর নুরু ভাই নেই।স্বর্গ থেকে হয়তো এই পোস্টটি পড়ছেন। আগামী বছর রমজানে কোন ব্লগার আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন আমরা জানিনা। অনুগ্রহ করে ব্লগে কোন ব্লগারকে কথার ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত করবেন না।
সবাইকে পবিত্র রমজান মাস ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
জয় বাংলা। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
মহান স্বাধীনতার মাসে এরা পাগলা কুকুরের মতো আচরণ করে।