ছবি - ব্লগার রূপক বিধৌত সাধুর ফেবু টাইমলাইন থেকে।
১)
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে।
কবির কথা সত্য হয়েছে।
ঈদে ২ হাজার টাকার পাঞ্জাবি চৌদ্দ হাজারে কিনেছে।
অথচ সারাদিন পথে পথে ঘুরে বেড়ানো ক্ষুধার্ত কুকুরটিকে এঁটো মাংসের হাড্ডি গুলোও খেতে দেয়নি।
২)
বঙ্গবাজারে আগুনে পোঁড়ে গেছে ৫ হাজার দোকান।
সাথে পূড়ে গেছে হাজার হাজার মানুষের ঈদ ভবিষ্যৎ স্বপ্ন।
কয়েকজন পোড়া কাপড় কিনে করুণা করলেও কেউ ভাবেনি শেষ মুলধন টুকুও হারানো ব্যাবসায়ীর কথা।
৩)
যখন দারিদ্র্যতার নির্মম আঘাতে দেশের অনেক মানুষ ঠিক মতো খেতে পারছেনা তখন বিদ্যানন্দ ১ টাকায় কিছু মানুষের মুখে খাবার তুলে দিল। ধর্মান্ধ কাঠমোল্লারা ওঠে পড়ে লেগেছে বিদ্যানন্দের ডোনেশন দেয়া বন্ধ করার জন্য। কারণ বিদ্যানন্দের প্রধান একজন হিন্দু। যারা বিদ্যানন্দ বন্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তাদের অধিকাংশই ভণ্ড কাঠমোল্লা। এরা মসজিদের ভেতর নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর বলে বোমা মেরে নামাজরত মুসল্লিদের নির্মম ভাবে হত্যা করে। বাসে বোমা হামলা করে মেরে ফেলে অনেকে মা - বাবা - ভাই - বোন - সন্তানকে।বিসমিল্লাহ বলে দাঙ্গা ফ্যাসাদ করে। কথার ছুরি দিয়ে নির্মম ভাবে জখম করে মানুষকে। কিছু ভালো মানুষের মুখোষ পড়া অমানুষ এদের সমর্থন দিয়ে পৈশাচিক আনন্দ পায়।
৪)
এগুলো দেখে আমার হৃদয় রক্তাক্ত হয়।
হাতে আমার বাবা দাদাদের মতো আরেকবার ৭১ এর হাতিয়ার তুলে নিতে ইচ্ছা করে। জয় বাংলা বলে এদের তাড়া করে জঙ্গিস্থান পাঠিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু পারিনা কারণ আমার হাতে পায়ে শেকল লাগানো।