যে কোন সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমের তুলনায় সামহোয়্যারইন আমার সবচেয়ে প্রিয়। এখানে আমার প্রিয় কিছু ব্লগার আছেন। যাদের লেখা আমি নিয়মিত পড়ি। যাদের সাথে ব্লগিং আমি এনজয় করি। যাদের পোস্টে আমি নিয়মিত মন্তব্য করি। তারা আমার পোস্টে মন্তব্য করলে আমার ভালো লাগে। তাদের মধ্যে একজন হলো ব্লগার "সাড়ে চুয়াত্তর "। ভিষণ ভদ্র ও ব্যাবহারে অত্যন্ত বিনয়ী। দুইজনের ব্লগিং এর বিষয়বস্তু আকাশ পাতাল ফারাক হলেও তার আমাদের দুজনের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানজনক সম্পর্ক বিদ্যমান।
তো আমার এই প্রিয় ব্লগার একটা পোস্ট লিখেছেন। পোস্টের শিরোনাম "বড় বড় অপরাধ এবং অনৈতিক কাজ মুসলমান জনবহুল দেশে নয় বরং অমুসলিম জনবহুল দেশে বেশী হয়"। সেখানে তিনি পৃথিবী জুড়ে যে অপরাধ গুলো সংঘটিত হয় তার মধ্যে পতিতাবৃত্তিকে তালিকাবদ্ধ করেছেন। অবশ্য তাঁর কোন দোষ নেই। চীন' রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মান এর মতো দেশে পতিতাবৃত্তি অপরাধ হিসেবে গন্য হয়।
কিন্তু আমি মনে করি পতিতাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গন্য করা ঠিক না। কেউ পেটের দায়ে পতিতাবৃত্তি করে, কেউ অসুস্থ মা-বাবার ট্রিটমেন্ট এর জন্য পতিতাবৃত্তি করে, কেউ চাকুরী জোগাড় করতে গিয়ে নোংরা প্রস্তাব পাওয়ার পর চিন্তা করে, দেহ যেহেতু দিতেই হবে, পতিতাবৃত্তি করে ২০ হাজার ইনকাম না করে ২ লাখ ইনকাম করি মাসে, তাই পতিতাবৃত্তি করে, কেউ দারিদ্র্যতার কারণে পড়ালেখা করতে না পেরে পতিতাবৃত্তিতে নাম লেখায়। কেউ কথিত প্রেমিক থেকে চ্যাকা হয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে কলগার্ল হয়। অর্থাৎ কোন ভ্যালিড রিজন অবশ্যই আছে।
একটি বিখ্যাত গানের কথা সবার শোনা হয়েছে নিশ্চিত " প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ, ঘুষ খাওয়া কখনই নয় "। আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে পতিতাবৃত্তি বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আদালত। আমি মনে করি সব দেশে বৈধতা দেয়া উচিৎ। অপরাধী যদি বলতে হয় সেসব পুরুষদের অপরাধী বলুন যারা স্ত্রী থাকা স্বত্বেও যৌনকর্মী দের কাছে যায়।
তবে এটা সত্য কিছু পতিতা পেটের দায়ে পতিতাবৃত্তি না করে, মাদক ব্যাবসা, স্মাগলিং, পাচার, ইয়াভা ব্যাবসা ইত্যাদি অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় হবে। একই সাথে পতিতা বলতেই অপরাধী বলাটা আমার দৃষ্টিকোন থেকে অনুচিত।
ছবি- গুগল সার্স।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫