লাবনি, মাত্র এস এস সি পাস করে স্কুলের গণ্ডি পার করে সদ্য কলেজে ভর্তী হয়েছে। স্কুলের রুটিন জীবন পার করে সবে মাত্র একটা কমবাইন্ড কলেজে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যেই ড্রাগ এডিকটেড। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
কলেজে উঠার পর পড়ালেখার চেয়েও অধিকাংশ তরুণ তরুণী গুরুত্ব দেয় একটা হ্যান্ডসাম বয় ফ্রেন্ড কিংবা স্মার্ট গার্ল ফ্রেন্ড বানানোর দিকে।কারণ নষ্ট দেহ লোভীরা ও ভোগবাদীরা তরুণ তরুণী দের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে বয় ফ্রেন্ড কিংবা গার্ল ফ্রেন্ড যারা মেন্টেন করেনা ওরা ক্ষেত। যাদের বিএফ/জিএফ আছে ওরা স্মার্ট।
স্মার্টনেস এর ডেফিনেশন আসলে কি? অধিকাংশ তরুণ তরুণী স্মার্টনেস বলতে বুঝে "একটা ডেসপারেট লাইফস্টাইল "। আর ডেসপারেট লাইফ স্টাইল মানে এরা মনে করে " বয় ফ্রেন্ড গার্ল ফ্রেন্ড এগুলো মেন্টেন করা, সেক্স করা ও ড্রাগ নেয়া, পার্টিয়ে গিয়ে ড্রাংক হওয়া ইত্যাদি। "
দেখুন এগুলোর সব গুলোই খুব এক্সপেন্সিভ। গার্লফ্রেন্ড বা বয় ফ্রেন্ড মেন্টেন করা সহজ কথা নয়। প্রেমে পড়ার পর কিছুদিনের মধ্যে ছেলেটি অথবা মেয়েটি শারিরীক সম্পর্কের দিকে ঝুকে! মোহ শেষ হওয়ার পর আবার অন্য কারও প্রতি ঝুঁকে। ফলে যে চ্যাকা খায় সে হতাশায় নিমজ্জিত হয়। অধিকাংশ প্রেমের ক্ষেত্রে শারিরীক সম্পর্ক হয়ে যাওয়ার পরপরই ব্রেক আপ হয়। তীব্র ইমোশান গুলো টার্নওভার করে হতাশায়।হতাশা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিচ্ছে মাদকের।
টাইডিজেসিক নামে একটি ভারতীয় ইনজেকশনও বাংলাদেশে মাদক হিসেবে অপব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ইয়াবা নামে আরেকটি উত্তেজক ট্যাবলেট, যা মূলত মেথামফেটাইন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণ।এই দুইটি নিয়মিত ক্রয় করা চাট্টি খানি কথা নয়। এই টাকা জোগাড় করতে ছেলেরা বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়াচ্ছে মেয়েরা সুগার ডেডি মেন্টেন করছে। কিছু লম্পট বয়ষ্ক লোক নিজের পরিবারকে ঠকিয়ে এসব এসব এডিক্টেড মেয়েদের সুগার ডেডি হচ্ছে।
দেখুন মূল সমস্যা কিন্তু এক জায়গায়! গার্লফ্রেন্ড /বয় ফ্রেন্ড মেন্টেন করার ইমোশান, সেখান থেকে শারিরীক সম্পর্কের প্রতি মোহ, মধু আহরণ করার পর ব্রেক আপ, ব্রেক আপ থেকে হতাশা, হতাশা থেকে ড্রাগ এডিকটেড।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯