আমরা সবসময় একটা কথা শোনি, তা হলো নারীদের পন্য বানানো হয়। অথচ সত্যটা হলো বিভিন্নি লেডিস পন্যের বিজ্ঞাপনে নারী মডেলদের ব্যাবহার করা হয়। একটি সুন্দর মেয়ের দিকে সকলেই তাকে দেখে আকৃষ্ট হয়। যেমন বিউটি সোপের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে একজন নারী মডেল বাথটাবে গোসল করে গায়ে সাবান লাগাচ্ছে। শাড়ির কথা বলি, মডেল দের দৈহিক ফিটনেস ও অবয়ব খুবই সুন্দর। ওরা ওভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করে। ফলে সে যখন ৫০০ টাকা দামের একটি শাড়িও পরে, তখনও তাকে অপরূপা দেখায়।
একটি কোম্পানি বা একজন ব্যাবসায়ী যখন কোটি টাকা খরচ করে কেন মডেল হায়ার করে বিজ্ঞাপন বানায়? কারণ মডেলরা যখন তাদের পন্য গুলো ব্যাবহার করে তখন সাধারণ মানুষ সেগুলো কিনতে আকৃষ্ট হয়। এতে দোষের কি? নারীকে পন্য বানানোরই বা কি আছে? ওরা তো রাস্তা মেয়ে ধরে নিয়ে বিজ্ঞাপন করাচ্ছেনা, প্রফেশনাল মডেল হায়ার করছে। মডেলিং ও একটা পেশা। মডেলরা পন্যের বিজ্ঞাপনে ব্যাবহৃত হচ্ছে, পন্য হিসেবে নয়।
এক বছর ঈদে হাউজ অফ আহমেদ জয়া আহসানকে হায়ার করেছে তাদের ব্রান্ড এম্বাসাডর হিসেবে। তাদের ১২ টা শাড়ি পড়েছিল। রেকর্ড পরিমাণ শাড়ি বিক্রি হয় সেবছর। বিক্রির লভ্যাংশ থেকে, সরকার কর পেয়েছে, জয়া যে টাকা পেয়েছিল সেখান থেকেও রাষ্ট্র ট্যাক্স পেয়েছে। একটি মেয়ে মডেল কোন ব্রান্ডের শাড়ি পড়ে বিজ্ঞাপন করলেই কি সে পন্য হয়ে যায়?
দোষ তো নারীদের দেখে যারা আকৃষ্ট হয় তাদের। বলা হয়ে থাকে নারীদের পন্য বানানো হয় অথচ সত্যটা হলো নারী মডেলরা জাস্ট একটি পন্যকে উপস্থাপন করে। পুরুষ জন্মলগ্ন থেকে সুন্দর মেয়ের প্রতি দুর্বল। পুরুষ নারীদের বিভিন্ন পন্যের মডেল হিসেবে দেখতে পছন্দ করছে বলেই, পন্য বিক্রেতারা তাদের মডেল বানাচ্ছে। এখানে তারা পন্য হইল কিভাবে?
১ম ছবিতে নুসরাত ফারিয়া। ছবিটি নিজস্ব। সে যে ড্রেসটি পড়েছে, ২০২১ এর ঈদে সেটি রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়েছে। ২য় ছবিতে এভ্রিল। একজন মডেল ও বাইকার। ইয়ামাহা ওকে বাইকটা গিফট করেছে বিক্রি বাড়ানোর জন্য। এতে কি নুসরাত ও এভ্রিলকে পন্য বানানো হয়েছে?
আজ ৬ই জুন আমার মেয়ে আরিয়ানী জান্নাত সুন্নাহ এর শুভ জন্মদিন। পোস্টটি ওকে উৎসর্গ করা হলো। ওর জন্য সবাই প্লিজ দোয়া করবেন।