কোরান এর বক্তব্য অনুসারে আমাদের দেশের হিন্দুরা মুসলিমদের চেয়ে ভালো। আমার চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষ একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ।যারা ধর্ম দিয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে ওরা ছাগু ও কাঠমোল্লা। চট্টগ্রামের মুসলিমরা হিন্দুদের অসম্মান করে দান্ডি বলে। মৌলবাদী কাঠমোল্লারা তাদের মালোয়ান বলে অপমান করে। অথচ একজন হিন্দু ও একজন মুসলিম যখন একই প্লেটে খাবার শেয়ার করে এটার চেয়ে চমৎকার দৃশ্য আর কিছু হতে পারে না। অধিকাংশ শিক্ষিত হিন্দুরা ঈদুল ফিতর সেলিব্রেট করে, বিষয়টা আমায় খুবই আনন্দ দেয়। কিন্তু মুহুর্তেই আমার মন খারাপ হয়ে যখন মুসলিম নামক কিছু উগ্রবাদী পুজার সময় হিন্দুদের মন্দির ভাঙে।
বাংলাদেশে একজন চমৎকার হিন্দু চিত্রনায়িকা আছেন।নাম পুজা চেরি। ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন ও পুজা। এটি রোজার ঈদের চাঁদ রাতে হাতে মেহেন্দি লাগানোর দৃশ্য। অসাম্প্রদায়িক হওয়া আসলেই অসাধারণ মানুষের বৈশিষ্ট্য। আমি রমজান মাজে দেখেছি প্রতিটি হিন্দু সাওদাগর - মাগরিবের আজানের পর ছুলা-মুড়ি-পেয়াজু-বেগুনী-আলুনী এগুলো এনে খাচ্ছে। দেখে মনে হবে ইফতার করছে।
গরুকে/গাভীকে ওরা মা মানে। দেবতা হিসেবে পূজা করে। ওদের সামনে গরু জবাই হলে ওদের খারাপ লাগবে এরপরও ওরা এসে কোনদিন গরু কোরবানির সময় হামলা করেনি। অথচ কথিত মুসলিমরা সুযোগ পেলেই ওদের দোকানে আগুন দেয়, নির্যাতন করে, মন্দির ভাঙে।
পুজা যখন চাঁদরাতে মুসলিম মেয়েদের মতো মেহেন্দি লাগায় তখন এদেশীয় ছাগু ও কাঠমোল্লারা তালি দেয়। বাহবা দেয়। অথচ যদি কোন মুসলিম মেয়ে হিন্দুদের পুজা উপলক্ষে লাল/সাদা শাড়ি পড়ে মন্দিরে যায় তখন তাদের কাফের হিসেবে চিহ্নিত করে ওদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে। পুজা বলছি কেন? মঙ্গল শোভা যাত্রায় অংশ গ্রহণ করে পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করলে পর্যন্ত তাদের নাস্টেক কাফের ঘোষনা করা হয়। এমনকি ১লা বোমা হামলা পর্যন্ত করছে জঙ্গি জামাত হেফাজত।
আজকে দেখলাম একদল ছাগী আন্দোলন করছে জাতীয় পরিচয়পত্রে নারীদের ছবি ব্যাবহার বাদ দিতে। কি ভয়াবহ দাবী!
অনেকে ইন্ডিয়াকে এখানে টেনে আনবে। আমি বাংলাদেশের আই রিপিট বাংলাদেশের কথা বলছি। অহেতুক ইন্ডিয়ান উগ্রবাদী হিন্দুরের পোস্টে টানবেননা অপ্রাসঙ্গিক ভাবে।
চমৎকার অসাধারণ অসাম্প্রদায়িক গানটি কানে হেডফোন লাগিয়ে ফুল স্পীডে শুনুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:১২