
বিয়ের অনুষ্ঠান করার নামে কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাকে নি:স্ব করার অপ:সৃংস্কৃতি বন্ধ হওয়া ভীষণ জরুরী। শীতকাল আসলেই বিয়ে আর বিয়ে। যারা ধনী তাদের ছেলে/মেয়েদের বিয়ে উপলক্ষে লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা সম্ভব। কিন্তু বিপদে পড়ে যান কন্য দায়গ্রস্ত মধ্যবিত্ত/গরীব বাবারা। আমি ফ্যাশন ফটোগ্রাফার হলেও আমার ছোট ভাই একজন ওয়েডিং ফটোগ্রাফার।শীতে বিয়ে বেশী তাই বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নি:শ্বাস ফেলার মতো অবস্থা থাকেনা ওয়েডিং ফটোগ্রাফারদের।তাই মাঝে মাঝে আমিও তাকে সাপোর্ট দেই। ফলে বিয়ের দিন শত শত কন্যা দায়গ্রস্ত পিতার অসহায়ত্ব্বের সাক্ষী আমি নিজে।
বিশেষ করে বিয়ে করার নামে চলে লুটপাট। পারুক না পারুক একজন মধ্যবিত্ত বাবাকে মেয়ের বিয়েতে সর্বনিম্ন ৫০০ লোক খাওয়াতে হয়। তার উপর গায়ে হলুদ, ওয়ালিমা, আর কত বাল ছাল অনুষ্ঠানতো আছেই।
অথচ আল্লাহ বিয়েটাকে সহজ করে দিয়েছেন। রাসুল স: বলেছেন যে বিয়ে যত সাধারণ সে বিয়ে তত শ্রেষ্ঠ। ৮/১০ মানুষ নিয়ে ভদ্র ভাবে একটি মেয়েকে সামর্থ্য অনুযায়ী গহনাপত্র, শাড়ি, কাবিন ইত্যাদি দিয়ে বিয়ে করে নিয়ে আসবে। বিয়েতে বেপরোয়া খরচ করার প্রচলন কোত্থেকে আসল! সম্ভবত ভারত থেকে। পন প্রথা কালচারও ভারতবর্ষের।
যদি ধরেও নেই দিন বদলাচ্ছে। একটু মাস্তির দরকার আছে তাও আহামরি খরচ নেই। ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন ওর নাম মাইশা। মেক আপ করছে একজন ফ্যাশন মেকওভার আর্টিস্ট। মাত্র ৫০০০ টাকা নিসে। জুয়েলারি সব মিলিয়ে ২০ হাজার। শাড়ি ১৭০০০ | এর সাথে বরপক্ষের ১০০/২০০ কে দাওয়াত খাওয়ালে কমিউনিটি হল ভাড়া সহ ২/৩ লাখ টাকা দিয়ে ১ টা বিয়ে সম্পাদিত করা সম্ভব। এত এলাহি আয়োজন করার কি দরকার! এগুলো একজন অসাহায় পিতাকে নি:স্ব করার পায়তারা ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইসলামে যেভাবে বিয়ে করার সিস্টেম বলে দিয়েছে সেভাবে না করে ভারতীয়দের অনুকরণ করে বিয়ের অনুষ্ঠান করার পর দেখা যাচ্ছে বিয়ের কিছুদিন পর ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। ইসলামে শিখানো পদ্ধতি অর্থাৎ সিম্পলি বিয়ে করার পদ্ধতিই সঠিক।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



