
পোস্টের শুরুতে চট্টগ্রামের পেয়ারি রেঁস্তোরার গরম গরম সিঙ্গাড়া আর চা হয়ে যাক।শুকনো মুখে পোস্ট পড়লে অনেকেই রাগ করতে পারেন। ব্লগার শূন্য সারমর্ম ও ডার্কম্যানকে নিয়ে এখানে চা শিঙাড়া খাওয়ার পরিকল্পনা আছে।তখন এই রেস্টুরেন্টের মজাদার সব খাবারের ছবি আপলোড করা হবে।
ফেসবুকের হোমপেজ গার্বেজে ভরা।শুধু বন্ধুবান্ধব আত্নীয়স্বজন পাড়াপ্রতিবেশিদের মাই ডে/স্টোরি ছাড়া আর কিছুই নেই ফেসবুকে। যারা ফেসবুকে লেখালেখি করেন তাদের ফলো দিয়ে রাখলে ভালো কিছু কোয়ালিটি পোস্ট পাওয়া যায়। কিন্তু ফেসবুকে অধিকাংশই গার্বেজ। ফেবুতে বড় পোস্ট পড়ার মত এবং গঠনমূলক আলোচনা করার মতো ইউজার ৫% এরও কম। আমাদের এই প্রিয় ব্লগের অনেকেই বাংলাদেশের অনেক নামকরা লেখক ফেবুতে লিখেন।
কিন্তু আমরা যারা এখনো ব্লগে আছি তারা ব্লগের মজা ফেবুতে পাবেনা।
ফেবুতে আমার স্টোরি ৭০০/৮০০ ভিউ হয়। ব্লগের পোস্টগুলো ৩০০-৫০০ পাঠক পায় প্রতিদিন। তাই ব্লগে পাঠক নেই এটা সত্য নয়। মূলত অধিকাংশ পোস্ট পড়তে পাঠক আগ্রহ পাচ্ছেন না। বর্তমানে প্রথম পাতায় আমাদের প্রিয় কবি সোনালী ডানার চিল এর একটা চমৎকার কবিতা আছে। প্রমানিক ভাই এর চমৎকার একটা ছড়া আছে, মহাজাগতিক ভাই এর ব্লগার নিয়ে একটা দারুণ কবিতা আছে।কালো যাদুকর ও বাকপ্রবাসের কবিতাও আছে। সবগুলো আমি পড়েছি। খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু পাঠক নেই।
তাই আমার মনে হচ্ছে প্রথম পাতায় বৈচিত্র আনা প্রয়োজন। মুবাইল ভার্সন থেকে প্রথম পাতায় ৭ টি পোস্ট দেখা যায়। ৭ টার মধ্যে ৩ টাই কবিতা। সাড়ে চুয়াত্তর, শেরজা তপন, জুন ম্যাডাম, মনিরা আপা, শায়মা আপু, ভুয়া মফিজ, আহমেদ জী এস, হাসান মাহবুব, সোনাগাজী, অপু তানভীর, মিরোর, ঠাকুর মাহমুদ, নতুন, বিজন রয়, ড: এম আলী, নূর আলম হিরণ, রানার ব্লগ, কাছের মানুষ, মরুভূমির জলদস্যু, সোহানী, পোস্ট দিলেই পাঠক পান ব্যক্তিগত পরিচিতি ও ব্লগীয় ইন্টারেকশন এর কারণে। এবং উনারা আসলেই ভালো লিখেন।
শায়মা আপু সেদিন সামুর ৫০ জন সচল ব্লগারের তালিকা দিয়েছেন। ১০ জন এর পোস্ট পাঠক পাচ্ছে বাকি ৪০ জন লেখা অধিকাংশ পোস্টে পাঠক পাচ্ছেন না। তাই প্রথম পাতায় বৈচিত্র্য আনা জরুরী মনে হচ্ছে। আমি ভুলও হতে পারি। ব্লগাররা কি ভাবছেন? ৯০% পোস্টে মন্তব্য নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



