সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ধুমপান মৃত্যু ঘটায়।
ছবি: গুগল
প্রথমেই বাংলাদেশের সব মানুষ সিগারেট খাওয়া শুরু করে প্রধানত ৩ টি কারণে।
১) চ্যাকা খেলে।
২) ইমোশান থেকে।
৩) কেউ কেউ মনে করে সিগারেট খাওয়া একপ্রকার স্মার্টনেস।
আমি নিজে একজন চেইন স্মুকার। আমার জীবনের প্রথম সিগারেট উইলসন। স্কুলে থাকতে সিগারেট খাওয়ায় আম্মু জানার পর আম্মুর হাতে মার খাইছি। আমাদের সময় ছোটদের সিগারেট খাওয়া অপরাধের চোখে বিবেচনা করা হতো। কেউ দেখে ফেললে বাসায় বলে দিত। এবং মার দেয়া হতো। কিন্তু এখন যুগ পাল্টেসে। সিগারেট খাওয়া খুবই স্বাভাবিক। দিন দিন ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। এবং একটু ফার্স্ট টাইপ মেয়েদের সিগারেট সীসা খাওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এক কথায় ছেলে মেয়েদের সিগারেট খাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয় আজকাল।
ছোট থাকতে দেখেছি - দাদা দাদী হুক্কা শেয়ার করছেন।দাদা হুক্কার পাইপে একটা টান দিয়ে পাইপ দাদীকে দিচ্ছে। দাদী আরেকটা টান দিয়ে আবার দাদারে দিচ্ছে। দুইজন মনের সুখে হুক্কা টানছে। কিউট না বিষয়টি? ছোট বেলায় আবুল বিড়ি পাওয়া যেত। দাদা-দাদী শেয়ার করে বিড়ি টানতেন। আমি একবার টানছিলাম। বর্তমানের সীসা তৎকালীন হুক্কার ডিজিটাল ভার্সন। বিশ্বাস করুন এখন যদি স্বামী স্ত্রী মিলে সীসা টানে তবে সমাজের অধিকাংশ মানুষ নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে। স্বামী স্ত্রী বা প্রেমিক প্রেমিকা মিলে সিগারেট খেলেও একই দৃষ্টিতে দেখবে।
আমাদের দাদীরা ব্লাউজ বিহীন শাড়ী পড়তেন। এখন একটি মেয়ে দাদী নানীদের ঐতিহ্যকে রিপ্রেজেন্ট করতে ব্লাউজ বিহীন শাড়ি পরলে বলবে অশ্লীল। ব্লগার নীল আকাশ, কাজী ফাতেমা ছবি আপা, বিচার মানি তাল গাছ না কি একটা আছেনা? উনারা পর্যন্ত অশ্লীল বলছেন। দেশ কি আগাইয়া গেলো নাকি পিছাইয়া গেল কিছুই বুঝিনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৩