একটি ছেলে একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে। এখন রমজান মাস। তাই তারা প্ল্যান করছে দুইজন একই সাথে নামাজ পড়বে। যেহেতু তাদের বিবাহ হয়নি তাই দুইজনই নিজ নিজ বাসায় থাকে। তাহলে দুইজনে একই সাথে সালাত আদায় করার মাধ্যম কি? হ্যাঁ ডিজিটাল যুগে মাধ্যম একটা আছে। ভিডিও কল। বয়ফ্রেন্ড ভিডও কল করে গার্ল ফ্রেনফ্রেন্ডকে মুবাইল ক্যামেরা অন করে জায়নামাজ নিয়ে নামাজে দাঁড়াতে বলল। ভিডিও কলেই বিএফ ইমামতি করছে আর জি এফ তাকে ফলো করে রুকু সেজদা করে সালাম ফেরাচ্ছে। অর্থাৎ তারা ইসলামের শিখানো পদ্ধতিতে মহান আল্লাহকে খুশি করতে বিয়ে না হওয়ার আগেই ভিডিও কলে বয় ফ্রেন্ড এর পেছনে দাঁড়িয়ে জামাতে সালাত আদায় করছে।সাধারণত বাসায় স্বামীর পেছনে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর নামাজ পড়ার বিধান আছে। বিষয়টি কিউটও। এটা কি ধরনের ফাজলামি। সুন্নত পালন করতে গিয়ে ভিডিও কল দিয়ে একজন আরেকজনকে দেখে রুকু সেজদা করবে? লিমিটের একটা ফাজলামো থাকা উচিৎ। এখন সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে খুব ভাইরাল বিষয়টি।
২)
আমরা বাঙালী। আমাদের কাজই হইল নেই কাজ তো খৈ ভাজ। মোশতাক-তিশা দম্পতি নিয়ে গতমাসে বেশ হাউকাউ হয়েছে। এই মাসে মোশতাক তার হালাল ভাবে বিয়ে করা বৈধ স্ত্রীকে জন্মদিন উপলক্ষে একটা দামী গাড়ী গিফট করছে। এবং সেটা সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে খুবই ভাইরাল হয়। এখন তিশা যদি একজন ইয়াংকে বিয়ে করত তাহলে এতো দামি গাড়ি চালানোর বা তার স্বপ্ন গুলো পূরণ হতোনা। অভাব যেখানে থাকে সেখানে ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়। তিশা একটা হ্যাপি লাইফ লিড করতে মোশতাককে বিয়ে করছে। এই বিয়েতে শরীয়তী কিংবা আইনী কোন বাঁধা নেই। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ স: উনার চেয়ে বয়সে ২৫ বছরের বড় ও একজন শিশু বয়সীকে আল্লাহর নির্দেশনায় বিয়ে করেছেন। ফলে মুসলমানদের মুশতাক তিশার বিয়ে নিয়ে ট্রোল হাসা হাসি করা রাসুল স: এর সুন্নতকে অবমাননার শামিল।
৩)
একজন মৌলবাদী মানসিকতার ক্রিকেটার। সে কথায় কথায় ইসলাম সুন্নত শরিয়ত মারেফাত তরিকত এগুলো নিয়ে খুবই কনসার্ন। একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে সে রোজা না রেখে ক্রিকেট খেলছে। কে রোজা রেখে ক্রিকেট খেলবে আর কে রোজা না রেখে ক্রিকেট খেলবে সেটা যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে কেউ যখন কথায় কথায় ধর্ম টানে অথচ নিজেই ধর্ম মানেনা তখন বিষয়টা ভণ্ড মামুনুল এর মতো হয়ে যায়। ২৪/৭ জিহাদ করে, ওয়াজ করে আর সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে আরেকজনের স্ত্রীর সাথে প্যানপ্যাসিপিকে রাত্রি যাপন করে। আর শায়ক আহমদুল্লাহ সাহেবের একটি ভিডিও থেকে জানছি যদি কেউ এমন প্রফেশন এর সাথে জড়িত যেখানে রোজা রাখা অসম্ভব তাহলে সে রোজা না রেখে প্রতি রোজার বিনিময়ে ২ জন মিসকিন খাওয়ালে হবে অথবা সুবিধামত সময়ে বছরের যেকোনো দিন না রাখা রোজা গুলো ফিল আপ করবে। তো তানজিম হয়তো পরে রোজা গুলো রাখবে। এতে এত হাউকাউ করার কি হইল?
৪)
সম্প্রতি যা কিছু ঘটছে তার সাথে আমি জড়িয়ে যাচ্ছি। কেন বুঝতেছিনা। গতমাসে বেইলি রোডে লিনার অতি নিকটাত্মীয় ২ ছেলে সহ মারা গেসে। সবাই পত্রিকায় ও টিভিতে দেখেছেন সোমালিয়ান জলদস্যুরা বাংলাদেশের কে এস আর এম মালিকানাধীন ১টি জাহাজ আটক করে জিম্মিদের ফিরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে বিশাল অংকের টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। যাদের আটক করছে তাদের মধ্যে একজন মেরিনার আমার খালাতো ভাই শাহজাদা। খালার এই একটাই ছেলে। মেয়ে কানাডা থাকে। খালা আর উনার ছেলের বউ পাগলামি করতেছে রীতিমতো। মা তো। মন মানেনা। না খেয়ে রোজা রাখছে। সারাক্ষণ জায়নামাযে বসে কান্না করছে। ব্লগে যদি কেউ থাকে এই বিষয়ে অভিজ্ঞ তাহলে একটু কাইন্ডলি জানাবেন যারা বন্দী আছে তাদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? মুক্তিপণ না পেলে তাদের মেরে ফেলার সম্ভাবনা কতটুকু?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৯