প্রিয় পাঠক,
পোস্টের শুরুতে একটু খানি মানবিকতা দেখানোর চেষ্টা করছি।আজ সারাদিন কাটছে কিছুটা ব্যস্ততায়। সাধারণত ফ্যাশন রিলেটেড বিজনেস থাকায় গত ১০ বছর পাঞ্জাবি কিনা হয়নি। প্রতি বছর ২/১ টা গিফট পাই। আজ হঠাৎ মার্কেটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ল। আশ্চর্য হয়ে গেলাম। মেয়েদের একটি মোটামুটি মানের ড্রেস কিনতে গেলে ২৫০০ টাকা ননস্টিস সেলাই সহ ৩৫০০ টাকা বাজেট করতে হবে। অথচ এসব ড্রেসের কসটিং কোন অবস্থাতেই ১২০০ টাকার বেশি না। ২০০% প্রফিট করতেসে ডাকাতরা। যেহেতু লিনা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার অত্যন্ত চমৎকার ডিজাইন করে তাই আমি উদ্যোগ নিয়েছি ন্যায্য মূল্যে ঈদ ড্রেস বিক্রি করার। ১২০০ টাকার মধ্যে উন্নত মানের পাঞ্জাবি ও ২০০০ টাকার মধ্যে অত্যন্ত চমৎকার দেখতে ত্রিপীছ আছে আমাদের কাছে। ওয়ার্ডার করা শেষ তারিখ ১৭ই রমজান। আমি একটা পাঞ্জাবি ও একটি কামিজের ছবি দিচ্ছি। দেখে জাস্ট ওয়াও বলতে হবে। ডাকাতরা পাঞ্জাবি গুলো বিক্রি করছে ৩০০০ টাকা, আড়ং এ শুধু লোগো লাগিয়ে ৫০০০+, মেয়েদের থ্রিপিস গুলো বিক্রি করছে ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকা। আমাদের কাছে কিছু শাড়ি আছে যেগুলো ডাকাতরা বিক্রি করছে ৭০০০ থেকে ১০০০০ আমাদের এখানে ৩৫০০ থেকে ৫০০০। শুধু কস্টিংটা বললাম। প্রফিট আপনার সুবিধা মতো দিলেই হবে।
আমার দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত দের সুইসাইড করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এদিকে সৃষ্টি কর্তা সাহেব সুইসাইড করলে নিশ্চিত জাহান্নামে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তীলে তীলে যন্ত্রণা পেয়েই মরতে হবে। একবারে মরলে হবে না। নীচের ছবিটি আপলোড দিয়ে মাওলানা সাহেব শিখাচ্ছেন - কিভাবে ১ বারে হাতের কব্জিতে একসাথে ৩৩ বার তাজবিহ গুনতে হয়।
সাধারণ মানুষ প্রচন্ড বিশ্বাস নিয়ে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর পর বছর তাসবিহ জপে। কোন লাভ হয়না। গরীবরা আরও বেশি গরীব হয়, ধ্বনিরা আরও বেশি ধনী হয়। অথচ এই হাতে যদি কেউ উদ্যোগ নিয়ে কিছু মূলধন তুলে দিত কতই না ভালো হতো।১০% মানুষ ৫ টা থেকে ২০ টা পর্যন্ত ড্রেস কিনছে গরীবের রক্তচোষা টাকা দিয়ে। মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি মানুষের শপিং করতে চাঁদরাত পপর্যন্ত অপেক্ষা। ঈদে বাড়ি যাবে গাড়ি ভাড় ডাবল। ওভার লোডেড হয়ে তীব্র জ্যাম লাগবে, গাড়ি এক্সিডেন্ট করে লঞ্চ ডুবে অনেক মানুষ মারা যাবে। ইসলাম এর এই ঈদ এর কোন দরকার নেই। মসজিদে কিছু লোক নতুন সুন্দর দামী পাঞ্জাবি পড়ে বসে থাকবে আরেকদলের সেমাই কেনার পয়সা টুকুনও থাকবেনা। ঈদ নামক চরম অমানবিক ও বৈষম্যের এই রিচুয়াল বর্জন করা সময়ের দাবি। একজন গরীব মানুষ যার পেশা দুবাইতে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কনস্ট্রাকশন এর কাজ করে তার জন্য রোজা ফরজ করা অমানবিক।
ছবিতে দেয়া ড্রেস গুলো ডাকাতরা বিক্রি করছে ৫ থেকে ৭ হাজার। হুবুহু আমাদের কাছ থেকে নিতে পারবেন ৩০০০ এর মধ্যে। ১০০+ ডিজাইন আছে। কেউ প্রয়োজন মনে করলে নি:সংকোচে বলতে পারেন এই মেইলে - [email protected]। ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:৩৫