যে পবিত্র পতাকার সামনে সাইরা হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে সে পতাকাটি উড়াতে ওর মতো লক্ষ লক্ষ নারীকে তার ইজ্জত দিতে হয়েছিল। সেদিন ৩ লক্ষ দেশের জন্য নিজেকে বিসর্জন না দিলে ২০২৪ এ এসে সাইরার পরনে থাকত হিজাব নেকাব ও পেছনে অপবিত্র পাকিস্তানি পতাকা। যে পতাকার সাথে মিশে আছে একটি জাতীর ঘৃণা মিশ্রিত অভিশাপ।
“দুইজন পাকিস্তানী সৈন্য বাসরঘরে ঢুকে পড়লো। অন্যজন বাইরে বন্দুক নিয়ে পাহারায় দাড়িয়ে থাকলো। বাইরের মানুষরা ভিতরে সৈন্যদের ধমকের সুর আর স্বামীটির প্রতিবাদ শুনতে পাচ্ছিলো। সেই চিৎকার একসময় থেমে গেল – শুধু শুনা গেল তরুনীর কাতর আর্তনাদ। কয়েক মিনিট পর একটা সৈন্য অবিন্যস্ত সামরিক পোশাকে বেড়িয়ে এলো বাইরের থেকে আরেকটা সৈন্য ভিতরে গেল। এভাবে চলতে থাকলো – যতক্ষন না ছয়টা সৈন্য দ্রুত সেই বাড়ী ত্যাগ করলো। তারপর বাবা ভিতরে গিয়ে দেখতে পেল তার মেয়ে দড়ির বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আর তার স্বামী মেঝেতে করে ফেলা নিজের বমির উপর উপুর (?) হয়ে পড়ে আছে।“
-(Brownmiller, Against Our Will, page. 82) ”
২৫শে মার্চ, ১৯৭১- দিবাগত রাত :
"শতশত ট্যাংকে চেপে এমন হাজারো গল্প ঘুরে বেড়াচ্ছে এই শহরে আজকের রাতে।
ঠিক যেখানে বসে আনমনে গিটার হাতে তুমি সিগারেট ফুকছো ছেলে, সেখানে আগুন দিয়ে মায়ের সামনে ছেলেকে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
যে আলিশান আকাশ ছোয়া বাড়িতে আয়নায় দাড়িয়ে তুমি রাতের মেকাপ ঠিক করে নিচ্ছো মেয়ে! এইখানে ঝোপঝাড়ে বাবার সামনে বেয়নেট দিয়ে মেয়েটির নিতম্ব খুচিয়ে খুচিয়ে উল্লাস করেছে হায়নারা।
ঠিক যেখানে বসে তুমি এই পোস্ট পড়ছো সেই গলির মাথায় মেয়ের সামনে তার বাবা কে বুট দিয়ে পিষে মেরেছে হায়নারা । ছেলেকে বেঁধে মা কে ধরে নিয়ে গিয়েছে এ দেশীয় দোষরা।
অনেক ত্যাগে অনেক ভালোবাসায় পাওয়া এই তলাবীহিন এই হাজারো আক্ষেপের দেশটা।"
(Collected from Zahid jehans post )
আগামী কাল ২৬শে মার্চ। জঙ্গি হায়েনাদের সাথে লড়াই শুরু হওয়ার দিন। ২৫ শে মার্চের কালো রাতে সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট পাকিস্তানিরা তাদের এই দেশীয় ঘাতক দালালদের সহযোগিতাতায় বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। কাল রাতে জাতীর জনকের নির্দেশে জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে শোনায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেই জিয়াই হয়ে যায় জাতীর জনকের খুনি। ক্ষমতা দখল করে অবৈধ ভাবে জন্ম দেয়ভবিম্পি নামক দলটিকে। জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে কুকুর ছানার মতো জন্ম নিতে থাকে রাজাকার পোনারা। পরিস্থিতি এতই ভয়াভহ হয়েছিল যে, দেশের সমস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজাকার দেশদ্রোহী বাহিনীর অধিকরে চলে যায়। দেশে বেড়ে যায় মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ।এমন কি জিয়ার স্ত্রী খালেদা রাজাকারদের পবিত্র সংসদে নিয়ে গিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, তাদের গাড়িতে উড়িয়েছে পবিত্র পতাকা। বেইমানী করেছে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ৩ লক্ষ মা বোনের সাথে। আজ জাতির জনক কন্য ক্ষমতায়। তবুও বাংলাদেশ বিরোধীরা হেফাজত কওমি ১ কওমি২ তাবলিগ শিবির জামাত নামে বেনামে অসংখ্য দল গঠন করে বাংলাদেশ কে বাংলাস্থান বানানোর পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। বুয়েটকে বানিয়েছে মাদ্রাসা। এবার টার্গেট করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। এটিকে মাদ্রাসা বানানোর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। জামাত নেতারা ওয়াজের নামে হাউকাউ এর আয়োজন করে ভাড়া করে ২ থেকে ১০ লক্ষ লোক এনে শতশত মাইক লাগিয়ে প্রকাশ্যে ঘৃণা হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষের মগজে ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করতেই আছে। এই ব্লগ থেকে শুরু হয়েছে রাজাকারের বিচারের আআন্দোলন । শুরু থেকে রাজাকারদের দোসররা বিএনপি সেজে ষড়যন্ত্র চালিয়েছে।আজও সে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। রাজাকার, জঙ্গি, ঘৃণ্য আই এস, মৌলবাদ এর বিরুদ্ধে পোস্ট দিলেই দেখবেন কয়েকজন বিএনপি ভেক ধারী বিরোধিতা করছে। এরা সং্খ্যায় ৫/৬ জন। জঙ্গি, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ বিরোধী জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে মডারেটর এর কঠোর অবস্থান এর ফলে এরা ব্লগে প্রকাশ্যে আসতে পারেনা। যখন জঙ্গি ও মৌলবাদী রাজাকারদের হয়ে এরা তর্ক করে বিভিন্ন পোস্টে তখন অতি স্বল্প মগজেরও কারও বুঝতে বাকি থাকেনা এরা পাকিস্থানি জঙ্গি।
আজ ২৫ শে মার্চ কাল রাতে ঘৃণার থুথু নিক্ষেপ করি তাদের, যারা, জঙ্গি রাজাকার সাথে জোট বেঁধে বাংলাদেশকে বাংলাস্থান বানানোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০