ছবি- নিজস্ব।
আসুন প্রথম জেনে নেই জয়া আহসান সম্পর্কে সামান্য তথ্য। তিনি পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সাতটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ও তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ব্যাচেলর । তিনি নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত সৈয়দ শামসুল হক'র নিষিদ্ধ লোবান উপন্যাস অবলম্বনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত গেরিলা চলচ্চিত্রে ও রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে টানা দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি অনিমেষ আইচ পরিচালিত জিরো ডিগ্রী (২০১৫), অনম বিশ্বাস পরিচালিত দেবী (২০১৮) ও মাহমুদ দিদার পরিচালিত বিউটি সার্কাস (২০২২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে আরও তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়াও প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে কলকাতা ফিল্ম ফেয়ার এওয়ার্ড এ বিসর্জন ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী এওয়ার্ড বিজয়ীও জয়া আহসান।একজন বাংলাদেশী হিসেবে যেখানে আমাদের গর্ব করার কথা, জয়া আহসানকে অভিনন্দন জানানোর কথা সেখানে আরেকজন বাংলাদেশী নারী হয়ে জয়া আহসান এর অভিনয় গুণকে ৪/১০ রেটিং করছেন। তসলিমা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন - " ফেসবুকে দেখছি জয়া আহসান ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর সম্পর্কে আমার যা মত, তা হলো, তাঁর মুখশ্রী সুন্দর, বয়স ধরে রেখেছেন চমৎকার। কিন্তু অভিনয়ের জন্য তাঁকে দশে চার বা পাঁচের বেশি দেওয়া যায় না। তাছাড়া কলকাতার কোনও নারীর চরিত্রে যখন তিনি অভিনয় করেন, তখন আমার মুশকিল হয় কলকাতার নারী হিসেবে তাঁকে গ্রহণ করতে, কারণ তাঁর উচ্চারণ বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি বাঙ্গাল ভাষায় কথা বলেছেন জীবনের দীর্ঘ সময়, তাঁর জিভ এবং মুখের পেশি কলকাতার বাংলা উচ্চারণে অভ্যস্ত নয়। তিনি চেষ্টা করেন ঠিকই, কিন্তু সম্পূর্ণ সফল হন না। কৌশিক গাঙ্গুলির সিনেমায় তিনি বরং বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠেন, কারণ কৌশিক গাঙ্গুলি তাঁকে বাংলাদেশের মেয়ের চরিত্রেই কাস্ট করেন, বিসর্জন থেকে অর্ধাঙ্গিনী, সবখানেই।
সবাই তো আর পিটার সেলারস নন যে ব্রিটিশ হয়েও ভারতীয় লোকের ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়ে নিখুঁত ভারতীয় উচ্চারণে ইংরেজি বলতে পারবেন , সবাই তো মেরিল স্ট্রিপ নন যে আমেরিকান হয়েও ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থেচারের চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে ইংরেজি বলতে পারবেন ইংরেজদের উচ্চারণে, সবাই তো আর ব্র্যাড পিট নন যে আমেরিকান হয়েও নিখুঁত আইরিশ উচ্চারণে কথা বলতে পারবেন আই আর এর চরিত্রে অভিনয় করার সময়। "
তসলিমাকে কে বুঝাবে যে, এওয়ার্ড শুধু অভিনয় দেখে দেওয়া হয়না। ৩৯ বছর বয়সী একজন নারী কলকাতার বাঘী বাঘী অভিনেত্রী দের পেছনে ফেলে ডেডিকেশান, ফিটনেস, সৌন্দর্য, নিঁখুত এক্সপ্রেশন দিয়ে কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন। জয়া আহসান যে কোন চরিত্রে ফিট। মডেলিং এর ক্ষেত্রে ও পোজিং এর ক্ষেত্রে কিংবা এক্সপ্রেশন এর ক্ষেত্রে জয়া অনন্যা।তার অভিনীত 'অর্ধাঙ্গিনী' মুক্তির পর দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে। সিনেমাটি দুর্গাপূজায় মুক্তি পেলেও কয়েক মাস ধরে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়েছে। এতে বুঝা যায় কতো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল 'অর্ধাঙ্গিনী'। তার অভিনীত প্রথম হিন্দি সিনেমা 'কড়ক সিং'। সহজ কথা নয় বলিউডে জনপ্রিয়তা পাওয়া।তসলিমা নাসরিন কে মনে রাখতে হবে - এটা বলিউড। এখানে মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা, লারা, শাহরুক সালমান আমিররা অভিনয় করে। অভিনয় না জানলে এখানে স্থান করে নেয়া অসম্ভব। 'কডক সিং' সিনেমায় যেন তেন অভিনেতার সাথে অভিনয় করেন নি, বরং প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী পঙ্কজ ত্রিপাঠির সঙ্গে অভিনয় করেছনে তিনি। তার অভিনীত প্রথম ইরানি সিনেমা 'ফেরেশত' গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে।
আসলে তাসলিমা একজন পরায়ণ অসুখী নারী। তাই অন্যের সুখ দেখতে পারেনা। আমি বিখ্যাত সব সেলিব্রিটির ফটোশ্যুট করি, সিনেমাটোগ্রাফি বানাই। আমাদের দেশে ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সি অনেক ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ফ্যাশন ও র্যাম্প মডেল আছে। জয়া আহসানের শ্যুট ও সিনেমাটোগ্রাফিও করেছি। অনেস্টলি বলছি শুধু অভিনয় শিল্পী হিসেবে নয় মডেল হিসেবে জয়া বাংলাদেশে অতুলনীয়। তসলিমস নাসরিন হুদাই ম্যাওপ্যাও পোস্ট দিয়ে হাউকাউ করে পিগমি ও ডোডো মগজের পরিচয় দিয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১৬