আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ছাত্ররাজনীতি নতুন কিছু নয়। আবরার হত্যার পর পর বাংলাদেশে সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। এবং ছাত্রলীগ বুয়েটে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখে। আর এটার সুযোগ নেয় জঙ্গি জামায়াত শিবির। একেবারে ফাঁকা মাঠ। আস্তে আস্তে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে বুয়েটকে মাদ্রাসা বানানোর কার্যক্রম শুরু করে ও দারুণ সফলতা লাভ করে। মুলত ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ না থাকায় জঙ্গি সমর্থিত শিক্ষক দের ও সার্বিক সহযোগিতায় শিবিরের জঙ্গিরা তাদের মিশনে অনেকটা এগিয়ে যায়। শিবিরের পরিকল্পনা ছিল বুয়েটিয়ান দের মনে বাংলাদেশের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে মানুষের মনে ভারতের প্রতি বিষ ঢেলে দেয়া, মৌলবাদ কায়েমে জিহাদি জোস সৃষ্টি করা, ছাত্রদের জঙ্গি বানানো, সমকামিতা কায়েম করা, সব গুলো স্কুল কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদ্রাসা ওরফে বলৎকার এর আস্তানা বানানো, সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে জনবল তৈরী করা, মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট বাংলাদেশ পাকিস্তান থাকলেই ভালো হতো এমন মনোভাব সৃষ্টি করা, ছাত্রীদের বাঙালি পোশাকের পরিবর্তে বোরখা পড়ানো সহ সকল কুমতলবপূর্ণ উদ্দেশ্য সমূহ।
দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করার পর ছাত্রলীগ যখন নিশ্চিত হলো জঙ্গিরা ভয়াবহ হয়ে উঠছে, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার ঘৃণ্য নীল নকশা সম্পন্ন যার পরিকল্পনা করছে বুয়েট থেকে, তখন তাদের জন্য বাংলাদেশকে পাকি দোসরদের নীল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্থান জানন দেয়া ফরজ হয়ে উঠে। এখব ব্লগার নতুন ভাই বলবেন - "শিবিরের জোজো আর কত দিন, ক্যাম্পাসে জঙ্গি ঢুকলে সরকার পুলিশ র্যাব বিজিবি দিয়ে ঠেকাবে, বুয়েটে শিবির দমন ছাত্রলীগের কাজ নয় উহা কর্তৃপক্ষের কাজ"। উনাকে আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলতে চাই - হলে থাকা জঙ্গিরা যখন সমকামিতা করে পুলিশের পক্ষে কি সেটা আইডেন্টিফাই করা সম্ভব? নামাজ পড়তে গিয়ে এমনি কথা বলার মতো করে যদি সংঘবদ্ধ হওয়ার ষড়যন্ত্র করে তখন পুলিশ কিভাবে বুঝবে? ছাত্রলীগ হলে তো বুঝে ফেলবে। পুলিশ বড় জোর জঙ্গিদের মিছিল মিটিং এগুলো বন্ধ করতে পারবে। কিন্তু ক্লাসের ভেতর শিবিরের জঘন্য ষড়যন্ত্র, কূপরিকল্পনা, হলে বিশ্রি সমকামিতা রোধ করা সম্ভব নয়।
তাই জঙ্গি জামায়াত শিবির যখন বুয়েটকে মাদ্রাসা বানানোর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে - তখন স্বাধীন বাংলার জন্মদাতা জাতীর পিতার উত্তরসূরী, বাংলাদেশকে রাজাকার ও জঙ্গি মুক্ত করার বীর সেনানী ছাত্রলীগের বুয়েট ক্যাম্পাসে অবস্থান করা ইমানী দায়িত্ব। কারণ দেশ প্রেম ইমানের অঙ্গ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:০৮