এবার ঈদ এবং ১ লা বৈশাখ একসাথে। তাই লাল রঙ এর কামিজ, শাড়ি, পাঞ্জাবি বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ছবিতে আসন্ন ঈদ ও বৈশাখ ঘিরে আড়ং এর একটি নান্দনিক ডিজাইন। আমাদের ব্লগার শাইয়ান ভাইও দেখলাম লাল পাঞ্জাবি ও ভাবীর জন্য লাল ত্রিপীছ কিনছেন।
যাই হোক মূল পোস্টে আসি।
প্রত্যেক বছর ঈদ এলে আড়ং এ ভিড় করে বাংলাদেশের লোক। এমনকি লাইন ধরে কাপড় কিনে। উৎসব প্রিয় বাঙালী জাতি। সামনে ঈদ এবং পহেলা বৈশাখ দুইটাই।ফলে এবারের উৎসব বাঙালীর জন্য ডাবল আনন্দ বয়ে আনবে। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় হলো এক শ্রেণীর লোক বয়কট আড়ং বলে ক্রেতাদের মনে বিদ্বেষ সৃষ্টি করছে। আড়ং এর অপরাধ কি? সম্প্রতি তাদের প্রতি অভিযোগ আসছে তারা নাকি সমকামিতাকে প্রমোট করছে। আসলে ঘটনা হলো - সম্প্রতি আড়ং একটি পাঞ্জাবি ডিজাইন করে এবং সেখানে সুতো দিয়ে কারুকার্য করা একটা নকশা ইউজ করে।কাকতালীয় ভাবে নকশাটি এলজিবিটিকিউ এর লোগোর সাথে মিলে যায়। চাঁদে সাইদীকে দেকা বলদ শ্রেণী সে ডিজাইনের মধ্যে এলজিবিটিকিউ এর লোগোর মিল খুঁজে বের করে।এর পর থেকে বয়কট আড়ং এর ডাক দেয় মৌলবাদী গোষ্ঠী। সবাই জানেন যে নিষিদ্ধ জঙ্গি জামায়াত শিবির অনলাইনে বেশ একটিভ। বিশেষ করে ফেসবুকে। তাদের অসং্খ্য পেজ রয়েছে। সেগুলো থেকে সমানে আড়ং এর নামে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়াতে থাকে। আড়ং নাকি সমকামিতা স্প্রেড করছে। ফলে বয়কট ভারতের মতো বয়কট আড়ং নাটক চালিয়ে যাচ্ছে হিংসুক ও ঘৃণা কারীরা।
আসলে আড়ং নিয়ে মৌলবাদী জঙ্গিদের প্রধান সমস্যা হলো আড়ং ব্রাক এর একটি প্রতিষ্ঠান। এই সব ছাগল ও বলদদের ধর্মীয় অনুভুতি এতই সস্তা যে সামান্য একটা নকশার কারণে নাকি তাদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত এসেছে। কারণ আড়ং ইসলাম বিরোধী সমকামিতা স্প্রেড করছে। অথচ এদেশীয় কাঠমোল্লা জঙ্গি জামাত হেফাজত আর সমকামিতা/শিশু বলৎকার যেনো মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।
বয়কট আড়ং ও বয়কট ভারতের পেছনে যারা আছে তাদের অধিকাংশ আর রিপিট অধিকাংশই ভারত ও আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী ও পাকি প্রেমী।এদের কথা ২ টাকার পাত্তা না দিয়ে কেউ ভারতীয় কোন কিছুহ এবং আড়ংকে বয়কট না করলেও এরা ২ দিন পর পর এসব নাটক করতেই থাকে।
মৌলবাদী জঙ্গি জামায়াত শিবির মানের বাংলাদেশ বিরোধী ও বাংলাদেশের ভালো সহ্য করতে না পারা। দেশ এগিয়ে যাক, বাংলাদেশের মানুষ এর ভালো হোক তা এরা কোনদিন সহ্য করতে পারেনি।আড়ং বাংলাদেশে বেকারত্ব দূরীকরণে, সুবিধা বঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে অত্যন্ত প্রশংসাজনক ভুমিকা পালন করছে। ৪৬ বছর আগে জন্ম নিয়েছে আড়ং নামক প্রতিষ্ঠানটি। পুরা বাংলাদেশে ২৮ টি আউটলেট আছ আড়ং এর। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে ৭৫ হাজার কারু শিল্পী ও তাদের পরিবারের আয় আড়ং এর সাথে জড়িত। আড়ং এর সাথে সরাসরি কাজ করছে ৫ হাজার কর্মী।আড়ং যা লাভ করে তার অর্ধেক ব্যয় হয় - দারিদ্র পীড়িত মানুষ এর জন্য ব্রাক এর উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে। ফলে তাদের উপর স্রষ্টা খুশি হয়ে মানুষের দোয়ায় তাদেরকে শ্রেষ্ঠ বানিয়ে দিয়েছেন। অথচ ভণ্ড জঙ্গি মৌলবাদী ও কিছু মগজহীন ধার্মিক তাদের সাথে না বুঝে সহমত ভাই জানাচ্ছে শুধু মাত্র তারা নারীদের পরাধীনতার কারাগার থেকে বের করে স্বনির্ভর করছে বলছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৫২