ছবিতে আড়ং এর বৈশাখের ডিজাইন করা নান্দনিক শাড়ী।
জঙ্গি জামাত শিবির বয়কট ভারত ও বয়কট আড়ং এর ডাক দিয়েছে। শোয়রের চেয়ে নিকৃষ্ট পীনাকীর দালালরা বয়কট ভারত বয়কট আড়ং বলে হাউকাউ করছে। আফসোস এর বিষয় হইল এই শোয়র গুলো আপাদমস্তক ভন্ড।এরাই সবার আগে ভারতীয় ও আড়ং পোশাক কিনছে।
এদের ট্রোল করা স্যটায়ারটা ফেবুতে পেলাম। দারুণ লাগলো। তাই শেয়ার করলাম:
"আড়ংয়ে গিয়ে দেখি কোনো মানুষজন নাই। সবাই বয়কট করেছে। সেলসম্যানরা বসে বসে কাঁদছে। আমি গেটের সামনে দাঁড়াতেই সব সেলসম্যানরা আশার মুখ দেখলো। তারা দৌঁড়ে ছুটে এলো গেটের কাছে…
আমি প্রথমে গেটের ভেতর এক পা দিলাম। কয়েকজন সেলসম্যান হাসছে। তাদের হাসি দেখেই আমি পা বের করে নিলাম। এবার তাদের মন খারাপ হয়ে গেলো। আমি আবারো ভেতরে আরেক পা দিলাম। আবারো কিছু সেলসম্যানের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে। আমি পুনরায় পা বের করে নিলাম। ঢুকলাম না ভিতরে…
… সেলসম্যানরা হতাশ হয়ে ভিতরে চলে গেলো।
তাদের হতাশাগ্রস্থ মুখ দেখে আমি এবার ভেতরে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। ভেতরে ঢুকতেই সব সেলসম্যানরা ইয়েহহহহ বলে চিৎকার দিলো। একে অপরকে জড়িয়ে ধরলো। আহা সে কি উল্লাস !
ম্যানেজারকে ডেকে বললাম, "বলো তুমি কি কি বিক্রি করতে চাও। আমি কিনবো।"
সে তার সেলসম্যানদের ডাকলো। সবাই মিলে আমাকে সার্ভ করলো। একেক সেকশনে একেকজন। মুহুর্তেই কর্মতৎপর হয়ে পরলো আড়ং ! ২ ঘন্টা লাগিয়ে ৩০টা বাস্কেটে প্রায় ৩০০ জামাকাপড় ও শোপিস নিয়ে কাউন্টারের পাশে না গিয়ে ফ্লোরে ঝুড়িগুলো রেখে গেট দিয়ে বের হয়ে গেলাম। না কিনেই ফিরে এলাম। আমার ইচ্ছা, আমি কিনবোনা। কার কি !
শপিংমল থেকে ফেরার পথে আবারো আড়ংয়ের সামনে উঁকি দিলাম। আমার কাছে সদাই বেচতে না পেরে তারা ফ্লোরে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছে। দেখে ভালো লাগছে…
… এই ঈদে আমি কিচ্ছু পরবোনা ! "
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০১